সুরিগাও প্রদেশের লুমাড-এর নেতারা সংবাদ প্রদান করেছে যে আধা সামরিক বাহিনীর তাদের স্কুল এবং সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালিয়েছে। প্রায় ২,০০০ নাগরিককে পাহাড়ে অবস্থিত নিজেদের আবাস ছেড়ে দিতে বাধ্য করে এবং এর ফলে তারা শহরের সিটি সেন্টার–এ আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। আশ্রয় গ্রহণকারীদের মধ্যে অনেকে লুমাড সম্প্রদায়ের থেকে এসেছে, যারা খনিজ সম্পদ আরোহণকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে এই এলাকায় প্রবেশ সক্রিয় ভাবে বাঁধা দিচ্ছে।
সরকারের এক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল কমিশন ফর কালচার এন্ড দি আর্টস (এনসিসিএ) লুমাডদের উপর হামলাকে ফিলিপাইনের সংস্কৃতির উপর হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছে:
এনসিসি এই সকল আদিবাসী সম্প্রদায়কে স্বীকৃতি প্রদান করে এবং তাদের নেতাদের দেশটির মৌলিক এবং সূক্ষ্ম সংস্কৃতি ঐতিহ্যের মূল হিসেবে বিবেচনা করে। আমাদের যে স্বতন্ত্র শৈল্পিক ঐতিহ্য রয়েছে, তারা এর বাহক। এগুলোর হত্যা করা মানে আমাদের জনগোষ্ঠীর আত্মাকে খুন করা। যেহেতু সময়ের পরীক্ষায় পাশ করা জ্ঞান পদ্ধতি, দক্ষতা এবং অনুশীলনের তারা হচ্ছে জীবন্ত পরিবাহক, তাদের কে আহত করা মানে আমাদের দেশের গ্রহণযোগ্য উন্নয়নের সংস্কৃতিক ভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্থ করা।
সেপ্টেম্বরের বেশ কয়েক দিন, টুইটার হ্যাশট্যাগ #স্টপলুমাডকিলিং বা “লুমাড এ হত্যাকাণ্ড বন্ধ কর” ফিলিপাইনের নেট নাগরিকদের আলোচিত ধারায় পরিণত হয়, যখন বাস্তুচ্যুত লুমাডদের প্রতি একাত্মতা প্রদর্শনের জন্য স্যোশাল মিডিয়ার সাহায্য নেওয়া হয়। নিচে কিছু ছবি এবং মেমে লুমাডদের প্রতি নেট নাগরিকদের সমর্থন প্রদর্শন করছে:
Students from St. Scho-Manila held a noise barrage in support to #StopLumadKillings. | Photos via Edd Gumban pic.twitter.com/CXimqdTcv0
— The Philippine Star (@PhilippineStar) September 15, 2015
সেন্ট সাকো ম্যানিলার ছাত্ররা স্টপ লুমাড-এর সমর্থনে এক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। ছবি এডা গুমবানের:
স্টপ কিলিং লুমাদ নামক আন্দোলন অন্য দেশেও গিয়ে পৌঁছেছে। নীচের ছবি প্রদর্শন করছে লুমাদের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ভিক্টোরিয়া তাউলি করপোজ এবং মানবাধিকার রক্ষা অধিকর্তা মিশেল ফ্রস্ট সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন সামরিক বাহিনী উক্ত এলাকার আদিবাসী শিশুদের কয়েকটি বিদ্যালয় থেকে তাদের দখলদারিত্বের অবসান ঘটায়:
বেসামরিক প্রতিষ্ঠানে সামরিক বাহিনীর অবস্থান এবং বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা, বিশেষ করে বিদ্যালয়ে, যেটি শিশুদের জন্য এক নিরাপদ স্বর্গ, এই ধরণের লড়াই থেকে যে সকল স্থান দূরে থাকে, এই বিষয়টি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, বিষয়টি ক্ষমাহীন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আদর্শের বিপরীত।
এই ঘটনায় সামরিক বাহিনী অস্বীকার করেছে যে তারা লুমাড জনগোষ্ঠীকে হয়রান করছে। বরঞ্চ তারা উৎসাহ প্রদান করছে যে, আদিবাসীদের মাঝে যুদ্ধ লুমাড এলাকার হানাহানির কারণ। কিন্তু এখানকার অঞ্চলিক সরকার এই ঘটনাকে খণ্ডন করেছে এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে তারা এক আধা সামরিক বাহিনী তৈরি করেছে এবং তাদের সশস্ত্র করছে। ফিলিপাইনের সিনেট প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে যে তারা এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখবে।