পূর্ব ইন্দোনেশিয়ায় উত্তর মোলাক্কা দ্বীপের তেরানাতে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে এক অপেশাদার ভিডিও আপলোড করার কারণে বর্তমানে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে, যে তার কাছ থেকে এক ট্রাফিক পুলিশের জোর করে অর্থ আদায় প্রচেষ্টার ভিডিও প্রদর্শন করে।
ছাত্রদের সংবাদ পোর্টাল কাবার ক্যাম্পাস–এর সংবাদ অনুসারে আদলুন ফিকরিকে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে এবং পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আরোপ করা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার ইলেকট্রনিক ট্রানজেকশন এবং ইনফরমেশন আইনের ধারায়
টুইটারে, সচেতন নাগরিকেরা তার গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে টুইট করেছে, যারা এর জন্য #সেভআদলুনফিকরি এবং #সেভআদুলন নামক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছে।
ini untuk adlun fiqri solidaritas untuk bebaskan #SaveAldunDikri @SaveAldunFikri pic.twitter.com/XJl5jtCg1L
— #FRIENDZITIndonesia (@jl_cnate) October 2, 2015
এটি আদলুন ফিকরির জন্য, তার মুক্তির প্রতি একাত্মতা প্রদর্শন করে।
Jangan Kerdilkan Mereka yg Bersuara untuk sebuah kebenaran! #SaveAdlun
— Mhia Joram (@MhiaJoram) October 2, 2015
যারা সত্যের স্বপক্ষে কথা বলে তাদের খাটো করে দেখবেন না।
#saveadlun Dasar penangkapan adlun itu karena pencemaran nama baik atau karena dia mengungkapkan bukti dan fakta moral polisi ..
— Tony Harto (@Tony_Harto) October 2, 2015
পুলিশের মানহানি করাই কি আদুলানকে গ্রেফতারের কারণ, নাকি তাদের আচরণের বাস্তবতা উন্মোচন করে ফেলা?
স্বাধীন সাংবাদিক জোট (এজিআই) সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন এবং মানবাধিকার সংগঠন এনজিও কোনট্রাস্ট আদুলানের ঘটনা তাকে সাহায্য করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। উত্তর মোলাক্কার আদিবাসী জনতার জোট নামে এক এনজিও শুরুর সময় থেকে আদুলানের গ্রেফতারে ঘটনাকে ঘিরে যা ঘটেছে তার এক ধারাবাহিক বিবরণ প্রকাশ করেছে।
দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিও এখন আর ইউটিউবে কিংবা ফেসবুকে নেই। ইন্দোনেশীয় পুলিশের জোর করে টাকা আদায় করার এই ভিডিওকে গুগল অজস্র অপেশাদার ভিডিওর তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছে। তবে, এই প্রথম বার কোন একজন ভিডিও আপলোডকারি আইটিই আইনের আধীনে গ্রেফতার হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ইউইউআইটিই আইনের ২৭-এর (তৃতীয়) ধারা বাক স্বাধীনতা হরণ এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনের জন্য কুখ্যাত।