- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

গ্লোবাল ভয়েসেসে প্রকাশিত সিরিয়া থেকে পাঠানো চটজলদি সংবাদের সিরিজ অনলাইন সাংবাদিকতা পুরস্কার জয় করেছে

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., নাগরিক মাধ্যম, মানবাধিকার, যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ, ঘোষণা

Screen-shot-2015-08-11-at-12.49.55-PMআমরা রোমাঞ্চিত হয়ে ঘোষণা করছি যে গ্লোবাল ভয়েসেসে প্রকাশিত সিরিয়া থেকে পাঠানো চটজলদি সংবাদের সিরিজ: আলেপ্পোর জীবন বিষয়ে মার্সেল শেহ্‌ওয়ারো [1] অনলাইন ধারাভাষ্য বিভাগে একটি ২০১৫ অনলাইন সাংবাদিকতা পুরস্কার [2] (ওজেএ) জিতেছে। এই বিজয়টি সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখে লস এ্যাঞ্জেলেস-এ ওজেএ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ঘোষণা [3] করা হয়।

এই ক্রমের লেখক মার্সেল শেহ্‌ওয়ারো [4] ১২ অংশের এই নিয়মিত প্রতিবেদন সিরিজ তৈরী করার সময় গ্লোবাল ভয়েসেস সদস্যদের কাছ থেকে বেশ ভাল সহায়তা লাভ করে, সিরিজটি শুরু করা হয় ২০১৪ সালে, এবং তা প্রকাশিত হয় আমাদের তখনকার সদ্য চালু করা বিভাগ, [5]দা ব্রিজ (সেতু) এ, [6] যেখানে বিশ্ব ব্যাপী আমাদের সদস্যদের অদ্বিতীয় দৃষ্টিভঙ্গী [6]র আলোকে লিখিত মৌলিক লেখাগুলোকে প্রকাশ করা হয়।

মার্সেলের প্রবন্ধগুলোকে মৌলিক আরবী ভাষা থেকে ইংরেজীতে ভাষান্তরিত করতো আমিরা আল হুসেইনি [7] এবং লারা আল মালাকেহ্‌ [8] এবং সেগুলোকে সম্পাদনা করতো জর্জিয়া পপেলওয়েল [9]। আমাদের লিঙ্গুয়া জনগোষ্ঠীর অনেক সদস্যই সেগুলোকে স্পেনীয়, হিব্রু, আরবী, ফরাসী, চৈনিক, কোরীয়, এবং জার্মান ভাষায় পরবর্তী ভাষান্তর করতে সাহায্য করেছে।

পুরস্কার ঘোষণার [3] সময় বিচারকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে তারা বলেছেন ‘লেখকের প্রগাঢ় ব্যক্তিগত লেখা একটি যুদ্ধের ধূসর অধ্যায়গুলোকে তুলে ধরেছে যেগুলো সাধারণত চরম বিপরীত বলয় থেকে বলা হয়।

এই ওজেএ পুরস্কার ২০০০ সাল থেকেই বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠত্বকে সম্মানিত করে আসছে, এবং অনলাইন সংবাদ সমিতি (ওএনএ) দ্বারা এটি পরিচালিত [10] হয়। আমাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাহার হাবিব গাজি লস এ্যাঞ্জেলেস-এ ওএনএ ২০১৫ ভোজসভায় পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।

এই চমৎকার নারীদেরকে অভিনন্দন! আপনাদের জন্য গর্বিত

আমি যে কারণগুলোর জন্য অনলাইন সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়েছি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ দেখালেন @গ্লোবালভয়েসেস থেকে এই #ওএনএ১৫ পুরস্কার বিজেতারা

@গ্লোবালভয়েসেস লেখকরা #ওজেএ১৫ #ওএনএ১৫ পুরস্কার পেয়েছে দেখে যথেষ্ট ভাল লাগছে

@গ্লোবালভয়েসেস + #ওএনএ১৫#ওজেএ১৫-এর আর একজনের সাথে সান ফ্রান্সিসকোতে গাড়ী চালিয়ে ফেরত যাচ্ছি

সিরিয়াতে আমরা সকলেই খুনিতে পরিণত হয়েছি

সিরীয় সরকারের সৈনিকরা যে চৌকীঘাঁটিতে তার মাকে হত্যা করেছে সেটিকে একটি বোমা দ্বারা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে জানতে পারার পর, মার্সেল তার মনোনীত অংশে লেখে, [26] ‘আমার বেঁচে থাকার সামর্থ্য অন্যান্যদের মৃত্যুর উপর নির্ভর করে…এবং সিরিয়ার জন্য যে রাজনৈতিক পরিবর্তনই অপেক্ষা করে থাকুক না কেন এভাবেই এই খুনী সরকার শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে'।

ওএনএতে দাখিল করা সংবাদগুলোর সাথে প্রেরিত মনোনয়ন প্রবন্ধতে মার্সেল-এর সিরিজ প্রতিবেদনগুলোর গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা করছেন গ্লোবাল ভয়েসেস-এর নির্বাহী পরিচালক আইভান সিগাল [27]। এখানে তার উদ্ধৃতি দেয়া হলো:

Marcell is part of a community of writers and digital activists who participated in the original nonviolent reform movement in Syria. They are digitally networked journalists and activists closely tied to reform movements in other parts of the Middle East, and their habits of communication and communities are based in the culture of the Internet. As such, Marcell’s work is emblematic of the idea of online journalism – allowing us to hear voices and stories of people who had previously been subjects in the stories of outsiders. Marcell's voice is that of an insider reflecting her experience of the war in Aleppo for a global audience. Against the odds she and her peers continue to insist on the need for human dignity, and on the power of stories about individual lives in the face of extreme violence and geopolitical manipulation.

The framing of Marcell's essays runs counter to a presentation of the Syrian war in which stories about extremism and polarization are emphasized. We rarely hear about the nuances and complexities of the lives of individual Syrians. In her writing, Marcell's voice turns and winds through her days as she struggles to survive and make sense of the collapse of her world, the murder of her mother at a government checkpoint, the dilemmas of her friends and their families, and dreams of a forgone past. She brings us the complexity of Syrian society, showing us the fractures, alliances and impossible choices made by individuals living through war. Her stories again and again shatter the reality of those choices, the knowledge that making them requires people who in normal times might be fair, compassionate and caring to choose violence as a means of security.

মার্সেল হলেন লেখক ও ডিজিটাল কর্মীদের একটি অংশ যারা সিরিয়াতে আদি অসহিংস পুনর্গঠন আন্দোলন-এ যোগদান করেছে। তারা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অংশের পুনর্গঠন অন্দোলনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ডিজিটালভাবে নেটওয়র্কেযুক্ত সংবাদিক ও কর্মী এবং তাদের যোগাযোগের অভ্যাস এবং তাদের গোষ্ঠী ইন্টারনেট চর্চার ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সত্যিকার অর্থে, মার্সেলের কাজ অনলাইন সাংবাদিকতার ধারণার একটি প্রতীকস্বরূপ–আমাদেরকে এমন মানুষদের কণ্ঠ ও কাহিনী শুনতে সুযোগ দিয়েছে যারা পূর্বে বহিরাগতদের বলা কাহিনীর বিষয়বস্তু হিসেবে ছিল। মার্সেলের কণ্ঠস্বর একজন ঘরের লোকের কণ্ঠের মতো যে আলেপ্পোতে ঘটা যুদ্ধের বিষয়ে তার নিজের অভিজ্ঞতা বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের কাছে প্রতিফলিত করছে। সকল বাঁধাবিপত্তি অতিক্রম করে তিনি ও তার সহকর্মীরা মানবীয় মর্যাদার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে, এবং চরম সহিংসতা ও ভৌগলিকভাবে হীন উদ্দেশ্যসাধনের সম্মুখীন হওয়া ব্যক্তি জীবনের কাহিনীগুলোর ক্ষমতার বিষয়ে দৃঢ়চিত্তে কথা বলা অব্যাহত রেখেছেন।

মার্সেলের প্রবন্ধগুলোর কাঠামো এমনভাবে করা হয়েছে যে সেগুলো চরমপন্থা ও মেরুকরণের উপর গুরুত্ব দিয়ে লেখা কাহিনীর মাধ্যমে উপস্থাপিত করা সিরীয় যুদ্ধের একেবারে বিপরীত চিত্র তুলে ধরে। আমরা ব্যক্তি হিসেবে সিরীয়দের জীবনের সূক্ষ্ম তারতম্য এবং জটিলতাগুলো সম্পর্কে কদাচিৎ শুনতে পাই। তার লেখাতে মার্সেল-এর কণ্ঠ তার সেই দিনগুলোর মধ্যে দিয়ে আমদেরকে নিয়ে যায় যেই দিনগুলোতে সে বাঁচার জন্য এবং একটি সরকারী চৌকীঘাঁটিতে তার মায়ের হত্যা, তার বন্ধু ও আত্মীয়-পরিজনের উভয়সঙ্কটে পড়ার মধ্য দিয়ে তার পৃথিবী ধসে পড়ার অর্থ খোঁজার লড়াই করেছে, এবং একটি ফেলে আসা অতীতের স্বপ্ন দেখেছে। তিনি যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করা ব্যক্তি জীবনের চিড়গুলো, তাদের মিত্রতা, এবং তাদের নেওয়া অসম্ভব সিদ্ধান্তগুলোকে দেখানোর মাধ্যমে আমাদের কাছে সিরীয় সমাজের দুর্বোধ্যতা তুলে ধরেছেন। সাধারণ সময়ে হয়তো ন্যায্য, সহানুভূতিশীল এবং যত্নশীল এমন ব্যক্তিকে নিরাপত্তার খাতিরে সংহিসতা বেছে নিতে বাধ্য হয় এমন ব্যক্তিতে পরিণত করে যে জ্ঞান, সেই চয়নগুলোর বাস্তবতাকে তার কাহিনীগুলো বারংবার ভেঙে চুর্ণবিচুর্ণ করে দেয়।