‘এক সিরীয় প্রেমগাঁথা’ একটি পরিবারের যুদ্ধ ও নির্বাসন যাত্রাকে অনুসরণ করেছে

A new film follows one Syrian family through five years of upheaval (Sean McAllister) Credit: (Sean McAllister).

নতুন এক চলচ্চিত্রে একটি পরিবারের উপর পাঁচ বছর ধরে চলতে থাকা বিপর্যয়ের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। কৃতিত্বঃ চলচ্চিত্র নির্মাতা সিন ম্যাকঅ্যালিস্টারের

দি ওয়ার্ল্ড-এর জন্য লেখা লিও হোরনাক-এর এই প্রবন্ধ এবং রেডিও প্রতিবেদন ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫-এ প্রথম প্রকাশিত হয় পিআরআই.অর্গ-এ, এবং কনটেন্ট বিনিয়ম চুক্তি অনুসারে এখানে পুনরায় প্রকাশিত হল।

সিরীয় নাগরিকদের বেদনার উপাখ্যানের পরিমাপ করা কঠিন, কারণ গৃহযুদ্ধে সে দেশে ইতোমধ্যে ২০০০,০০০ জন নাগরিক নিহত হয়েছে, ৬০ লক্ষ নাগরিক বাস্তুহারা হয়েছে, ৩০ লক্ষ নাগরিক শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। .

এখন এক পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র যুদ্ধে সাধারণ নাগরিকের নিজস্ব জীবনের ঘটনাকে সমানে নিয়ে এসেছে।

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে, ২০০৯ সালে থেকে বৃটিশ এক চলচ্চিত্র নির্মাতা সিন ম্যাকঅ্যালিস্টার দামেস্কে বসবাসরত একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে এক তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন।

আমের দাউদ এবং তার স্ত্রী রাগাদা হাসান–এর প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে এখন থেকে ১৫ বছর আগে, যখন রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে তারা সিরিয়ার এক কারাগারের একটি কামরায় অবস্থান করছিল এবং প্রথম দর্শনে তাদের মধ্যে প্রেমের সঞ্চার হয়। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তারা বিয়ে করে এবং এক তাদের একটি পরিবার হয়।

ম্যাক অ্যালিস্টার বলছে যে যখন বিপ্লব শুরু হয় তখন থেকে সে এই চলচ্চিত্রের জন্য ভিডিও গ্রহণ করতে শুরু করে। আমি তখন এক ডাক শুনতে পাইঃ জান কি সিরিয়ায় বিষয়টি শুরু হয়ে গেছে-আর রাস্তায় নেমে আসা প্রথম নাগরিকদের মধ্যে ছিল আমের এবং তার পুত্র কাকা, আর তাদের উভয়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

ঘটনাক্রমে এই পরিবারকে মুক্তি দেয়া হয়, কিন্তু স্বয়ং চলচিত্র নির্মাতা সিনকে কয়েক সপ্তাহ সিরিয়ার কারাগারে কাটাতে হয়। যখন কর্তৃপক্ষ আবিষ্কার করে যে সে কাদের উপর চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে, সাথে সাথে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আমের, রাঘাদা এবং তাদের সন্তানেরা স্বেচ্ছা নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়।

ঘটনাক্রমে এই পরিবারকে মুক্তি দেয়া হয়, কিন্তু স্বয়ং চলচিত্র নির্মাতা সিনকে কয়েক সপ্তাহ সিরিয়ার কারাগারে কাটাতে হয়। যখন কর্তৃপক্ষ আবিষ্কার করে যে সে কাদের উপর চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে, সাথে সাথে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আমের, রাঘাদা এবং তাদের সন্তানেরা স্বেচ্ছা নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়।

যখন এই পরিবারটি নতুন এক দেশ এবং নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে, তখন আমের এবং রাঘাদার বিবাহিত জীবনে টানা পোড়েন দেখা দেয়।

যেমনটা দেখা যাচ্ছে, এত যন্ত্রণা তুলে ধরা সত্বেও ম্যাকঅ্যালিস্টার এখনো একে এক আশাবাদী চলচ্চিত্র হিসেবে দেখছেঃ “আমি মনে করি এখানে আশাবাদের যে বার্তা তা অবাধ্য হয়ে ওঠার মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠেছে- এটি এক পরিবারের অবাধ্যতার কাহিনী, যাদের সবসময় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে”।

সে বিশ্বাস করে যে এই চলচ্চিত্র যা অভিবাসন এবং শরণার্থীদের মানবিক রূপে উপস্থাপন করেছে, এই দুটি বিষয় এখন যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ, “আমরা টেলিভিশনে দেখেছি যে উদ্বাস্তু নাগরিকেরা সমুদ্রের উপকূলে ভেসে যাচ্ছে। সংবাদে যে সমস্ত নাগরিকদের আপনারা দেখেছেন, আমের এবং রাঘাদা তাদের সকলকে এক কণ্ঠস্বর প্রদান করেছে”।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .