আবহাওয়া যেমন হোক, ভোট দেবে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর জনগণ

মুষলধারে বৃষ্টিপাত। পাবলিক ডোমেইন, ছবি পিক্সবাই-এর। ছবি রিমিক্স গ্লোবাল ভয়েসেস-এর।

আজ ত্রিনিদাদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুপুরের খাবার সময় মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যার ফলে বন্যা দেখা দেয় এবং উদ্বেগ তৈরি হয় যে আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব ভোট প্রদানের উপর না প্রভাব ফেলে। এমনকি কয়েকজন নেট নাগরিক বিস্মিত যে আবহওয়ার কারণে ভোট প্রদানের সময় যৌক্তিক ভাবে বাড়ানো উচিতঃ

ত্রিনিদাদের নির্বাচনে বৃষ্টি প্রবাদের মত শান্তি বর্ষণ করছে

নির্বাচনের দিন ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোতে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। চার্চিল রুজভেল্ট মহাসড়কের এই ছবিটি তুলেছেন আচশাহ গুলস্টোন।

দুপুরের এই বৃষ্টিপাতের মনে হচ্ছে দুপুরের শুরুতেই দক্ষিণ কোউভা নির্বাচনী এলাকায় ভোট প্রদানের উপর প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে।

এই বাজে আবহওয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি করেছ, ঠিক সুনির্দিষ্ট স্থানে যেখানে ঘোষণা করা হয় গুরুত্ব অনুসারে বাস ছাড়ার নির্ধারিত রুট, এমন এক সড়কপথের যে সব স্থান গণ পরিবহন এবং জরুরী কাজে ব্যবহৃত-গাড়ির জন্য সংরক্ষিত, সেগুলো আজ ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকদের জন্য খুলে রাখা হবেঃ

অজস্র গাড়ী রাস্তায় এবং পূর্ব এবং মধ্যখানের রাস্তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছে

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলা বাস যে সব পথ দিয়ে গমন করত, সে সব রাস্তা আজ জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে

এদিকে যখন কেউ কেউ বৃষ্টির কারণে বন্যার পানিতে আটকে পড়া অবস্থায় নিজেকে আবিষ্কার করেছে, তখন অন্যরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল যে সামান্য বৃষ্টিপাত তাদের অধিকার অনুশীলনের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না:

বৃষ্টি/ বন্যার কারণে অগ্নি নির্বাপক কর্মকর্তারা কর্নার সাউথ কোয়ে এবং শার্লটে স্ট্রিট এ আটকে পড়া নাগরিকদের সাহায্য করছে।

বৃষ্টি অথবা রৌদ্রজ্জ্বল দিন যাই হোক না কেন, আমি আমার ভোট প্রদান করব।

বৃষ্টির দিনে এক ভোট কেন্দ্রে।

আজ আমি খুশি যে আমি ভোট দিতে পেরেছি, কোন বৃষ্টি আমাকে থামাতে পারেনি।

একজন টুইটার ব্যবহারকারী এমন একজনকে একটি দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরেছে যে হয়ত আবহওয়ার কারণে ঘরে বসে থাকার কথা বিবেচনার করছে :

নিজের অধিকার রক্ষা করুন। বৃষ্টি আমাদের ভোট প্রদান করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।

রোহডা ভারথ নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী বিষয়টিকে আরো পরিষ্কার ভাবে তুলে ধরেছে:

ভোট দেওয়ার সময় শেষ হতে আর ৯০ মিনিট বাকী।
বৃষ্টিকে ভোটের বিপরীতে জিততে দেওয়া যাবে না।
ঘর থেকে বের হয়ে আসি এবং ভোট দেই।

ফেসবুকে, সংবাদিক ভেরনন ও'র‍্যায়লি রামেশ্বর ঝড়ো মেঘের ছবি আর তার নিচে শিরোনাম প্রদান করে প্রচার মাধ্যম যে ভাবে পরিস্থিতিকে তুলে ধরছে সে বিষয়টিকে আঘাত করার সুযোগ ছাড়েনি:

এবং পুরো দেশজুড়ে, যেমনটা তারা নিজেদের ভাষায় যে হিজিবিজি বর্ণনা করেছে, সে হিসেবে তারা নিজেরাই নিজেদের উদ্ভাবনী লেখার প্রতি হেসেছে…। এমনকি ভারী বৃষ্টিপাতও উৎসাহী ভোটদাতাদের উৎসাহে পানি ঢালতে পারেনি।

যদিও বিষয়টি হয়ত খুব গতানুগতিক, তবে দেখা গেছে আবহওয়া খারাপ হোক বা না হোক এখানে ভোট প্রদানের হার অনেক বেশী:

নাগরিকেরা সত্যিকার অর্থে ভোট দিচ্ছে–

আমার ইনস্টাগ্রাম ফিড কালি দিয়ে পূর্ণ আঙ্গুলের সেলফিতে ভরে গেছে, এর মানে হচ্ছে ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোতে আজ ভোট হচ্ছে। এখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে যে ভোট গ্রহণের সময় এক ঘন্টা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, এখন ৭ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে, আর এর-কারণ বন্যা এবং যানজটের মত অনাকাঙ্খিত ঘটনা, যার ফলে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরী হয়েছে।

আবহওয়ার কারণে, ইবিসি কেবল ত্রিনিদাদে ভোট গ্রহণের সময় বাড়িয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত করেছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .