ইকুয়েডোরের সাংবাদিক তার খোলামেলা টুইটের জন্য চকুরিচ্যুত হয়েছে

A screenshot of journalist Martín Pallares' Twitter account.

সাংবাদিক মার্টিন প্যালারেস এর টুইটার একাউন্টের স্ক্রিনশট

সাংবাদিক মার্টিন প্যালারেসকে, ১৭ আগস্টে ২০১৫-এ সংবাদপত্র এল কোমেরসিও থেকে চাকুরিচ্যুত করা হয়, যেখানে সে ১৩ বছর ধরে চাকুরি করেছে গেছে। সে তার ব্যক্তিগত টুইটারে এই সংবাদ প্রদান করে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক সংগঠন ফান্ডামিডিওস-এর সূত্র অনুসারে প্যালারেস তার টুইটারে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড সমালোচনা মুখর ছিল।

টুইটারে নিজস্ব মন্তব্যের কারণে সাংবাদিক চাকুরিচ্যুত।

সংবাদপত্রের কর্মকর্তারা বলেছেন সে কয়েক মাস আগে তাকে প্রদান করা স্যোশাল নেটওয়ার্ক নীতিমালা মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে সেরা কাজটি করার জন্য সংবাদপত্র তাকে যে “বিনীত অনুরোধ” করে, তা সে উপেক্ষা করেছে, আর এ কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্যালারেস-এর টুইটার একাউন্ট, যেখানে ১৫,৮০০ জন ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করছে, সেখানে সে এক বিবৃতি প্রদান করেছে, “এখানে আমি যা বলি তা আমার নিজ দায়িত্বে বলি এবং এর সাথে আমার চাকরিদাতাদের কোন সম্পর্ক নেই”।

ইকুয়েডোরের রাষ্ট্রপতি রাফায়েল কোরেয়া প্রতি শনিবার জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ প্রদান করা, সে এবার তার প্রদান করা সাপ্তাহিক ভাষণে বারবার এই সাংবাদিকের কথা তুলে ধরছিলেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠান আইএফইএক্স -এর ২০১৩ সালের বাৎসরিক প্রতিবেদন মোতাবেক “অন্তত দশটি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় রাষ্ট্রপতি কোরেয়া এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে, মানসিক ভাবে অসুস্থ,কলম দিয়ে করা খুনী, বাজে, লোক ইত্যাদি বিশেষণ ব্যবহার করে।

আমেরিকার সাংবাদিকের জন্য গড়া নাইট সেন্টার-এর ব্লগে প্রদান করা এক সাক্ষাত্কারে প্যালারেস তাকে চাকুরিচ্যুত করার বিষয়টি পুনরায় উল্লেখ করে এবং ইকুয়েডোরের মিডিয়া যে বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে এই বিষয়টিও সে তুলে ধরে:

ভেনেজুয়েলা অথবা কিউবার ঘটনাবলীর সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অনেক বেশী যুক্ত, এর কারণ সম্ভবত তারা আন্তর্জাতিক ভাবে আরো আকর্ষণীয়। ইকুয়েডোরের পরিস্থিতি আরো বেশী মনোযোগের দাবী রাখে।, কিন্তু আমি মনে করি আন্তর্জাতিক সংগঠন সমূহের উচিত সকল সাংবাদিকদের সাহায্য করা, কারণ এখানে আমি একমাত্র ব্যক্তি নই, এখানে এমন অন্য অনেক ব্যক্তি রয়েছে যাদের অবস্থা বেশ জটিল এবং তারা যে সমস্ত সংবাদ মাধ্যমে কাজ করত সে সমস্ত পত্রিকা তাদের চাকুরিচ্যুত করেছে।

যোগযোগ মাধ্যম, যার মধ্যে স্যোশাল মিডিয়ায় অর্ন্তভুক্ত, রাষ্ট্রীয় এক জরুরী আইনে সেগুলোর প্রতি সেন্সরশিপ আরোপের ঘটনার পর তাকে বরখাস্ত করার ঘটনা ঘটে। এই জরুরী আইন ঘোষণা করা হয় কটোপাক্সি নামক আগ্নেয়গিরি উদগিরণ-এর পর। এই ঘটনা এর নিকটবর্তী শহর খালি করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে সরকার ফরাসি- ব্রাজিলীয় বংশদ্ভূত সাংবাদিক ম্যানুয়েল পিককিউ–এর ভিসা বাতিল করে দেয়

আমেরিকার সাংবাদিকরা নামক ব্লগ সংবাদ প্রদান করেছে যে, ইকুয়েডোরে সাংবাদিক, মিডিয়া এবং একটিভিস্টদের বিরুদ্ধে আক্রমণ দেশটিতে আতঙ্কে তৈরি করেছে এবং দেশটিতে প্রায়শ মত প্রকাশের বিরুদ্ধে হামলা চালানো হচ্ছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .