কাগজের টুকরো, ব্রোকোলি এবং মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে, জাপানের এক শিল্প প্রতিদিন বিচিত্র সব ক্ষুদ্রাকৃতির দৃশ্য তৈরি করছে।

The Miniature Calendar of Tatsuya Tanaka

তাতসুইয়া তানাকার গড়া ক্ষুদ্রাকৃতির ক্যালেন্ডার, ছবি আমাজান.কপ.জাপ থেকে নেওয়া।

ঘরের সাধারণ জিনিস ব্যবহার করে, ২০ এপ্রিল, ২০১১ সাল থেকে জাপানের শিল্পী তাতসুইয়া তানাকা প্রতিদিন বিচিত্র সব ক্ষুদ্রাকৃতির দৃশ্য তৈরি করছে।

১৫০০ টি ক্ষুদ্রাকৃতির দৃশ্যের ছবি তার ওয়েব সাইটে মিনিয়েচার ক্যালেন্ডার বা ক্ষুদ্রাকৃতির ক্যালেন্ডার হিসেবে তার ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে, যা একই সাথে আমাজন জাপানের সাইটে বিক্রির জন্য রাখা আছে। একই সাথে সে তার সৃষ্টির ছবি ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেছে, যেখানে সে ২৬০,০০০ জন অনুসারীর ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

তানাকা, যার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল বলছে যে তিনি জাপানের এক শহরের কোন এক বিজ্ঞাপনী সংস্থার শিল্প নির্দেশক, তিনি তার ওয়েবসাইটে এই প্রকল্প সম্বন্ধে বলছেনঃ

প্রত্যেকের মনে অন্তত একবার একই রকমের এক ভাবনা মাথায় আসে।

ব্রোকোলি এবং ধনে পাতাকে দেখতে অনেক সময় বনের মত মনে হয়, অথবা মনে হতে পারে যে পানির উপরে গাছের পাতা ভাসছে যেন মনে হয় ছোট্ট এক নৌকা। এক ক্ষুদ্রাকৃতির (পিগমির) দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা প্রতিদিনের ঘটনা আমাদের মাঝে মজাদার অনেক চিন্তার খোরাক জোগায়।

আমি এই চিন্তাটা ধারাটি গ্রহণ করতে চেয়েছি এবং ছবির মাধ্যমে তা প্রকাশ করেছি, যার ফেল একসাথে এক “ক্ষুদ্রাকৃতির ক্যালেন্ডার” তৈরি করা শুরু করি। এই সকল ছবি প্রাথমিক ভাবে ছোট আকারের মডেল বা ডায়ারোমা স্টাইলের চরিত্র, প্রতিদিনের প্রয়োজনীতা যাদের জীবনকে ঘিরে রয়েছে।

প্রতিদিনের এক আদর্শ ডেইলি ক্যালেন্ডারের মত, ওয়েবসাইট এবং এসএনএস পাতায় প্রতিদিন নতুন নতুন ছবি প্রদান করা হচ্ছে, এ কারণে এটি “মিনিয়েচার ক্যালেন্ডার” নাম অর্জন করেছে।

যদি আপনি আপনার প্রতিদিনের জীবনে আনন্দ বেয়ে আনার জন্য এটাকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে তা হবে দারুণ এক ব্যাপার।

এখানে ইনস্টাগ্রামে পোষ্ট করা তার কিছু মডেল ছবি সে পোস্ট করেছে। এই সমস্ত ছবিতে সাধারণ ভাবে কয়েকটি অদ্ভুত ( এবং কোন কোন ছবিতে অর্থহীন) শিরোনাম প্রদান করা হয়েছে:

পুরুষঃ আমরা আরো বেশী বেশী সৌর প্যানেল স্থাপন করতে চাই ।

শ্রমিকঃ বেশ, এটার জন্য ভাল মূল্য দিত হবে!

আমাদের ছাড়া আদৌও কোন কিছু করা হয় কি, সময় বয়ে চলছে এক চলন্ত সিঁড়ির মত।

“তাতোইনা নিশ্চিত ভাবে ভীষণ উষ্ণ গ্রহ! “

একটু খানি সময় দাও, আমি গুগল থেকে এটা খুঁজে নিচ্ছি।

“সময় হয়েছে এবার গলানো লোহা বের করে নেওয়ার”। (আমি ঠিক এই কথাটি বলতে চেয়েছিলাম)।

“বাঁশবন”- আমরা সোজা এবং লম্বা হয়ে বেড়ে উঠেছি, কোন ধরনের বাকনো অংশ ছাড়াই।
(ছুটির দিন: ৭ জুলাই, তানাবাতা উৎসবের) সময়।

রোববারে বৃষ্টি হওয়ার কি খুব দরকার?

এটা জুলাই-এর প্রথম দিবস… গ্রীষ্মকাল শুরু হয়েছে আর সময় এসেছে সমুদ্র তরঙ্গে সারফিং বোর্ড নিয়ে খেলা করার!

আরো ছবির জন্য তাতসুইয়া তানাকার ইনস্টাগ্রাম ফিডে প্রবেশ করুন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .