১৯৬৫ সালে সিঙ্গাপুর যখন স্বাধীনতা লাভ করে, তখন দেশটি খুবই গরীব ছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে দেশটি অভাবনীয় উন্নতি করেছে। সিঙ্গাপুর গ্লোবাল শহর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সারাবিশ্বের অনেক মানুষই ৯ আগস্ট দেশটির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কিছু অনলাইন উদ্যোগও রয়েছে। আর এই উদ্যোগগুলো সিঙ্গাপুরের অনেক মানুষকেই স্মৃতিকাতর করে দিয়েছে। বিশেষ করে যাদের সিঙ্গাপুরের পুরোনো দিনের কথা মনে আছে।
উদাহরণ হিসেবে থ্রিডি ভিজুয়ালাইজেশন স্টুডিও’র উদ্যোগের কথা বলা যায়। তারা এমন কিছু ভিডিও বানিয়েছে, যেখানে সিঙ্গাপুরের কিছু পুরোনো ভবন এবং আইকনের দৃশ্য রয়েছে, যেগুলো বর্তমানে নেই। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে #সিঙ্গাপুরিয়ানহিসেবেবড়হওয়া হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সবাই তাদের ছেলেবেলার স্মৃতিগুলো শেয়ার করছেন।
স্মৃতিময় পুরোনো দিন
কম্পিউটার গ্রাফিক্স আর ভিজুয়াল ইফেক্ট ব্যবহার করে সিক্সট্রিস কিছু ভিডিও আপলোড করেছেন, যাতে পুরোনো দিনের বিখ্যাত আইকন আর ভবন তুলে ধরা হয়েছে, যেগুলো আর এখনকার ছেলেমেয়েরা দেখতে পান না।
The main objective is to relive memories for the earlier generation and introduce these to the younger ones for a deeper appreciation of the Lion City’s rich history and rise to success.
পুরোনো প্রজন্মের স্মৃতিগুলো ফিরিয়ে আনার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, লায়ন সিটি’র সমৃদ্ধ ইতিহাস আর সফলতার কথা তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা। যাতে তারা ইতিহাসের রসাস্বাদন নিতে পারে।
তাছাড়া শিশুদেরকে তাদের সম্প্রদায়ে ইতিহাস জানানোর ক্ষেত্রেও এই ভিডিওগুলো শিক্ষার সৃজনশীল উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর যারা সিঙ্গাপুরের অধিবাসী নন, তারাও ভিডিওগুলো দেখে অভিভূত হবেন। কেননা, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন জায়গার বিলুপ্ত বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
নিচে সিঙ্গাপুরের স্বর্ণালি দিনগুলোর কিছু ভিডিও রইলো:
১. সিঙ্গাপুরের জাতীয় নাট্যশালা। আশির দশকের শুরুতেই সেটা ভেঙ্গে ফেলা হয়।
২. মারদেকা ব্রিজ লায়ন্স: ১৯৫০ সালের আইকনিক ব্রিজ। বর্তমানে এটা মিলিটারি ইনস্টিটিউট।
৩. টানজং পাগার রেলওয়ে স্টেশন। ১৯৩২ সালে চালু হয়েছিল। আর ২০১১ সালে বন্ধ হয়ে গেছে।
#সিঙ্গাপুরিয়ানহিসেবেবড়হওয়া
সিঙ্গাপুরের নেটিজেনরা তাদের বেড়ে ওঠার দিনগুলোর স্মৃতি শেয়ার করার সাথে সাথে টুইটারে #সিঙ্গাপুরিয়ানহিসেবেবড়হওয়া হ্যাশট্যাগ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তাদের স্মৃতিকথায় পুরোনো দিনের এমন সব বিষয় উঠে আসে, যেসব বিষয়ে সিঙ্গাপুরের বর্তমান প্রজন্মের অনেক ছেলেমেয়ে কিছুই জানেন না। নিচে কিছু টুইট তুলে ধরা হলো:
#GrowingUpSingaporean Buying these erasers, poking staples inside, and spinning like beyblade pic.twitter.com/ZkxrzKz9pR
— iÅmai™ (@i4mai) August 3, 2015
আমরা একদিন এই রকমের ইরেজার, পকিং স্ট্যাপল এবং বেব্লেডের মতো ঘূর্ণয়মান জিনিসগুলো কিনেছি। #সিঙ্গাপুরিয়ানহিসেবেবড়হওয়া
We don't call TV shows by their name we call them by timings like “the 7 o'clock show” “the 9 o'clock show” 😂 #growingupsingaporean
— HAppY BiRthDay SHawN (@L0WKEYSARAH) July 15, 2015
আমরা টিভি শো-গুলোর নাম ধরে ডাকতাম না। প্রচারের সময় ধরে ডাকতাম। যেমন: সাতটার শো. নয়টার শো। #সিঙ্গাপুরিয়ানহিসেবেবড়হওয়া
#GrowingUpSingaporean Only 90s kids knows.. pic.twitter.com/GG47invjaw
— Zaidi Zaid (@ZackAmina) July 21, 2015
এটা কি তা শুধু নব্বইয়ের ছেলেমেয়েরাই জানে। #সিঙ্গাপুরিয়ানহিসেবেবড়হওয়া
#GrowingUpSingaporean Our first ciggarette stick 😂 pic.twitter.com/sshEsJfdoN
— -you- (@sxrxzanaaa) July 21, 2015
আমাদের প্রথম সিগারেট স্টিক। #সিঙ্গাপুরিয়ানহিসেবেবড়হওয়া