নগদ অর্থের সঙ্কট গ্রীসে সাধারণ মানুষের জীবনকে কি ভাবে আক্রান্ত করেছে

Athens, Greece. 27 June 2015 -- People line up at an ATM outside a branch of Piraeus Bank, in Athens. Photo by Alexandros Michailidis. Copyright Demotix

এথেন্স, গ্রীস। ২৭ জুন ২০১৫- এথেন্সের পিরেয়ুস ব্যাংক–এর এক শাখার এটিএম-বুথের সামনে নাগরিকদের সারী

দি ওয়ার্ল্ড-এর জন্য প্রস্তুত করা এই প্রবন্ধ এবং রেডিও প্রতিবেদন মূলত জুলাই ৮, ২০১৫-এ পিআরআই-এ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এবং কন্টেন্ট বিনিময় চুক্তি অনুসারে এটি এখানে পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে।

গ্রীসের এই ঋণ সঙ্কটের কারণে লেটুস চাষী আন্দোনিস ভেজইয়ারোগ্লো সরাসরি আক্রান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন “আমরা আশা করছিলাম যে বিক্রি খানিকটা কমে যাবে, কিন্তু এর প্রভাব কি ভাবে পড়তে যাচ্ছে সে সম্বন্ধে আমাদের বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না”।

শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে তার আয় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমে গেছে এবং তার ঠিক ধারণা নেই এই বিষয়টি কতদূর পর্যন্ত যাবে। তিনি বলেন “যখন আপনি সমুদ্রে নীচে নামতে থাকবেন, তখন আপনি নিশ্চিত নন আপনি সমুদ্রের তলদেশে এসে পৌঁছেছেন কিনা”।

ভেজইয়ারাগ্লো এবং তার পিতা আলেকজান্দ্রিয়ায় এক লেটুস খামার-এর মালিক, যা উত্তর গ্রীসের থেসালোনিকির একটি ছোট্ট শহর। তারা সারা দেশের সুপার মার্কেট এবং ছোট ছোট খুচরা বিক্রেতাদের কাছে লেটুস পাতা সরবরাহ করে থাকে।

তার অনেক সরবরাহকারীরা এখন কেবল নগদ অর্থ গ্রহণ করছে, যেমন এক উদাহরণ হচ্ছে, এখন ভেজইয়ারোগ্লোর মোবাইল ফোন পেতে খানিকটা বেশী সময় লাগছে তার পণ্যর জন্য চূড়ান্ত ব্যবস্থা করার জন্য। বাড়তি পণ্য হয় ধ্বংস করা হচ্ছে অথবা কাউকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

হল্যান্ড-এ তার এক সরবরাহকারী রয়েছে, এই সংবাদটি জানাচ্ছে লিলাহ রাপটোপাপোলোস, যে ভেজইয়ারোগ্লোর –এর সাথে সাক্ষাৎ করেন, তিনি জানান “তারা এখন নগদ টাকা চাচ্ছে, কারণ তারা গ্রীসের ব্যাংকগুলোকে আর বিশ্বাস করে না”। ব্যবসার কারণে তার কাছে এখন আর নগদ টাকা নেই, তিনি এখন সেই সকল সাধারণ মানুষের মত যারা ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারছে না। যার ফলে তাকে গ্রাহকদের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে যে নগদ টাকা প্রদান করবে, এরপর তিনি তিনি এই টাকা কোম্পানিকে প্রদান করবেন, সবাই এখন গ্রীসের ব্যাংকগুলোর প্রতি আস্থা এতটাই হারিয়েছে যে তারা এখন গ্রীস থেকে টাকা তোলার জন্য একজন ব্যক্তিকে পাঠাচ্ছে যে এসে টাকাগুলো হল্যান্ডে নিয়ে যাবে।

এর ফলে ভেজইয়োরগ্লো আক্ষরিক অর্থে চিন্তা করছে কি ভাবে তার সরবরাহকারীদের টাকা প্রদান করবে এবং কি ভাবে তার খরিদ্দাররা তাকে তাদের অর্থ প্রদান করবে। রাপটোপৌলোস বলছে, “তারা এখন তাদের ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়ার ভয়ে ভীত”।

রাপটোপৌলোস বলেন “এই ব্যবসার ভাল দিক হচ্ছে যে এই যে লোকজনের সবসময় খাবারের প্রয়োজন। অন্য অনেক ব্যবসায়ীর ব্যবসায় বিক্রি ৮০ শতাংশ কমে গেছে”।

তিনি আরো যোগ করেন, তাদের এই লেটুস নামক খাবারের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, যখন লোকজন সমস্যার সম্মুখীন হয়, তখন তারা যাকে বাহুল্য খাবার বলে মনে করে সেগুলো খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তারা সত্যিকার অর্থে লেটুস এবং টমেটোর মত খাবার কেনে না।

1 টি মন্তব্য

এই জবাবটি দিতে চাই না

আলোচনায় যোগ দিন -> Arman Hossain

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .