ভিডিও: জাপানের ইউরাতো দ্বীপপুঞ্জ যেভাবে সুনামির ধকল কাটিয়ে উঠলো

View of Matsushima Japan

উত্তরপূর্ব জাপানের মাতসুশিমা। ছবি কৃতজ্ঞতা উইকিমিডিয়া ব্যবহারকারী কুমামুশি। .

ইউরাতো দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান জাপানের উত্তরপূর্ব অঞ্চলে। হাজার হাজার বছর ধরে জাপানিরা দ্বীপটিকে চিনে এসেছে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে। তাছাড়া জাপানের তিনটি প্রধান অপরূপ প্রাকৃতিক কেন্দ্রের একটি এই দ্বীপ। সেই নিওলিথিক সময় থেকেই এখানকার মানুষজন সমুদ্র নির্ভর জীবনযাপন করে আসছে।

তবে ২০১১ সালের ১১ মার্চ সবকিছুর পরিবর্তন হয়। ওইদিন ভয়াল সুনামি আঘাত হানে। দ্বীপে বসবাসকারী জেলে সম্প্রদায়ের ভাগ্যে বিপর্যয় নেমে আসে। মাত্র একঘণ্টার সুনামিতে ঘরবাড়ি, ঝিনুকের আবাসস্থল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। অথচ প্রায় ২ হাজার বছর ধরে মাতসুশিমা উপসাগরের এই দ্বীপভূমিতেই মানুষ ও অন্যান্য প্রাণিকুল বসবাস করে আসছিলো। উল্লেখ্য, একটি ব্যাপক মাত্রার ভূমিকম্প থেকে এই সুনামির উৎপত্তি হয়েছিল।

ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি ফর দ্য অ্যাডভান্সড স্টাডি অব সাসটেইনাবিলি (ইউএনইউ-আইএএস) একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই ভিডিও বানিয়েছে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল, সুনামির পরের সময়ে ইউরাতোর বিভিন্ন সম্প্রদায় কীভাবে সুনামির ধকল কাটিয়ে উঠলো, ঝিনুক চাষের মতো ঐতিহ্যবাহী শিল্পগুলো আবার চালু করতে সক্ষম হলো, তার তথ্য সংগ্রহ করা।

ইউএনইউ-আইএএস-এর পাশাপাশি জাপানের তোহুকু বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্যাটোয়ামা ইনিশিয়েটিভ এই প্রকল্পের সাথে আরো যুক্ত রয়েছে। তারাও ইউরাতোর দ্বীপবাসীসহ মাতসুশিমার ইকোসিস্টেম পুনর্জীবনে সহযোগিতা করছে।

জাপানের পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ইউএনইউ-আইএএস যৌথভাবে দ্য স্যাটোয়ামা ইনিশিয়েটিভ পরিচালনা করছে। জাপানে স্যাটোয়ামা বলতে পাহাড়ি অঞ্চলে আবাদ যোগ্য সমতল ভূমিকে বোঝায়, যেখানে কৃষিকাজ, বনায়ন, মাছ চাষ করার পাশাপাশি অন্যান্য প্রাণিকুলও নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারে। সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপকে স্যাটোয়ামার মতো করে গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .