- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

উপজাতি গ্রিকদের তাঁদের মাতৃভূমির একটি তুর্কি দ্বীপে ফিরে আসতে চালিত করছে গ্রীস সংকট

বিষয়বস্তু: গ্রীস, তুরস্ক, জাতি-বর্ণ, দেশান্তর ও অভিবাসন, নাগরিক মাধ্যম, ব্যবসা ও অর্থনীতি, ভ্রমণ, শিক্ষা
1024px-Gökceada_fort_1

উইকিমিডিয়া কমন্সে ব্যবহারকারী বিলডেরব্রেই (সিসি) এর কাছ থেকে পাওয়া সম্পাদিত ছবি।

সংবাদ পোর্টাল গ্রিক রিপোর্টার এবং আনাসটাসিওস আডামোপোলস সম্প্রতি একটি গল্প পুনরায় প্রকাশ [1] করেছে। একটি অনলাইন [2] তুর্কি দৈনিক সংবাদপত্র হুরিয়েত এ গল্পটি সর্বপ্রথম প্রকাশ হয়। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকা সংকটাপন্ন গ্রীস থেকে পালিয়ে যাওয়া অনেক গ্রিক পরিবারের মাঝে ইমব্রস (একটি তুর্কি দ্বীপ) দ্বীপ অর্থাৎ তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে আসার যে প্রবণতা দেখা যায় তাঁকে লক্ষ্য করেই গল্পটি লেখা হয়েছে। উল্লেখ্য ইমব্রস হিসেবে পরিচিত দ্বীপটি কানাক্কালে প্রদেশের গোকসিয়েদা তুর্কি দ্বীপে [3]অবস্থিত।

প্রতিবেদনে স্থানীয় মেয়র উনাল সেটিন নিজ দেশে ফিরে আসা বেশ কয়েকটি পরিবার জীবিকা নির্বাহ করতে ছোট ছোট বিভিন্ন বুটিক হোটেল চালু করে দ্বীপের স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে সাহায্য করার জন্য গ্রীকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এদিকে, দ্বীপের সৌন্দর্য উদযাপন করতে তুর্কি ও গ্রিক সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারকারীরা #ইমব্রস [4]এবং #গোকসিয়েদা [5]হ্যাশট্যাগের অধীনে একত্রিত হচ্ছেন।

অনেক গ্রিক পরিবার যারা অনাদিকাল থেকে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত জাতিগত গ্রীক, যারা এই দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বেড়ে উঠেছেন তাঁদের বেশিরভাগ বংশধর এখনও ইমব্রসে এসে তাঁদের গ্রীষ্মকাল কাঁটায়। তুর্কি রাষ্ট্রের-তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি বৈষম্যমূলক প্রচারাভিযানের কারণে এই পরিবারগুলো পরবর্তীকালে গ্রীসে চলে যায়। প্রকৃত বিষয়টি হচ্ছে আঙ্কারা এবং এথেন্সের মধ্যে তেমন নিখুঁত সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ফিরে আসছেন। গ্রীসে যে বিপর্যয় ঘটেছে তাঁর মাত্রা, পাশাপাশি দ্বীপটির সঙ্গে তাদের বন্ধনের দৃঢ়তা সম্পর্কে এ ঘটনা অনেক কিছুই বলে দেয়।

তাছাড়া, তাঁদের পেছনে ফেলে রেখে যাওয়া দেশের অর্থনৈতিক মন্দার খবর যখন দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে, তখন গোকসিয়েদাতে তাঁদের ফিরে আসার বিষয়টি ধীরে ধীরে পুনর্জন্ম এবং স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিক থেকে অন্যতম হয়ে উঠছেঃ

৪৯ বছর পর [গোকসিয়েদা বেসরকারি গ্রীক প্রাথমিক] বিদ্যালয়টি পুনরায় চালু করা হয়েছে। শুধুমাত্র দুইজন শিক্ষার্থী।