- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

সরকার এবং বিরোধীদের মাঝে টানাপড়নে ইকুয়েডোরে হুমকির মুখে গণতন্ত্র

বিষয়বস্তু: ল্যাটিন আমেরিকা, ইকুয়েডর, নাগরিক মাধ্যম, প্রতিবাদ, রাজনীতি
"So you pretty well understand Correa...I am going to tell you in your own English...We don't like you. Get out." Photo by Twitter user @beadomenech95

ইকুয়েডোরিয়ান নাগরিকরা প্রেসিডেন্ট কোরেয়ার ভুল ইংরেজির বিদ্রূপ করে লেখা একটি প্রতীক ধরে আছেনঃ “আপনাকে বোঝাতে বলছি, (ভুল ইংরেজি) আমি আপনার ইংরেজিতেই বলবো… ‘আমরা আপনাকে চাই না। আপনি বিদায় নিন’”। টুইটার ব্যবহারকারী @বেডোমিনেক৯৫ এর দেয়া ছবি।

গত কয়েক বছর ধরে দারিদ্রতা হ্রাসের [1]জন্য ইকুয়েডর বার বার প্রশংসিত হয়ে আসছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দক্ষিণ আমেরিকান এই দেশটি বর্তমানে এর আর্থিক বাজেট [2] পূরণের ক্ষেত্রে এক কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। কারণ, দেশটির রপ্তানির প্রধান পণ্য তেলের দাম বিশ্ব বাজারে কিছুটা নিম্নগামী।

আর্থিক বিষয়গুলো নিয়ে রাজনীতিবিদেরা বিতর্কে জড়িয়ে যাওয়ায় দেশের বেশ কয়েকটি শহর জুড়ে বিক্ষোভ তরঙ্গ ইন্টারনেট থেকে রাজপথে ঢেউ তুলেছে।

একটি সম্পদ পুনর্বন্টন আইন [3]পাসের প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবাদ দানা বেঁধেছে। এ আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকার ও পুঁজি লাভের উপর কর আরোপ করা হয়েছে। এসব আন্দোলনের অবসান ঘটাতে এবং পোপ ফ্রান্সিসকোর জন্য দেশটিতে “শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক” একটি পরিবেশ তৈরি করতে প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া সম্প্রতি এই আইনটি সাময়িকভাবে স্থগিত [4] রেখেছেন। উল্লেখ্য পোপ ফ্রান্সিসকো রবিবারে দেশটির রাজধানী কুইটোতে পৌঁছাবেন।

যাইহোক, ইকুয়েডরের বিভিন্ন শহর জুড়ে কিছুটা মৃদু প্রতিবাদ এবং পাল্টা বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গুয়াকুইলের (দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর) মেয়র জাইমে নেবোট [5] এবং আজুয়ে প্রদেশের প্রধান পল কারাসকোর [6]নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলন।

বিশ্লেষক ম্যাথু কারপেনটার-আরেভালো (জন্মগতভাবে কানাডিয়ান হলেও আত্মিক দিক থেকে তিনি ইকুয়েডোরিয়ান) তাঁর জিকিলসিটি [7] প্রবন্ধটির নাম দিয়েছেন, ‘যদি #ফুয়েরাকোরেয়াফুয়েরা (#বাহিরহও কোরেয়া বাহিরহও) হ্যাশট্যাগটি সফল হয় তবে কি হবে?’ উল্লেখ্য তিনি এ নামে একটি হ্যাশট্যাগ চালু করেছেন। লক্ষ লক্ষ ইকুয়েডোরিয়ান যাদের মনে হচ্ছে তাঁরা এই সংগ্রামে অংশ নিতে পারছেন না, তাঁরা যেন এতে তর্কবিতর্কে অংশ নেয়ার সুযোগ পানঃ

Los gobiernos de turno seguirán profundizando la división ciudadana, porque su capacidad de mantenerse en el poder no dependerá de un diálogo abierto entre diferentes sectores, sino en su habilidad de mostrar la prevalencia del músculo de su militancia sobre otras. Si seguimos con golpes de Estado, no habrá fortalecimiento de las instituciones públicas, ya que ceder el control de cualquier institución significará generar debilidad y vulnerabilidad para sostener el poder. La inversión extranjera — que tanta falta nos hace para desarrollar nuevas industrias nativas— tampoco llegará, porque es justamente la inestabilidad política continúa que disuade cualquier inversión grande que genere beneficios en el largo plazo.

বর্তমান সরকার নাগরিকদের এই বিভাজনকে আরও গাঢ় করে তুলতে থাকবে। কেননা এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে একটি উন্মুক্ত সংলাপের উপর নির্ভর করবে না। বরং অন্যদের উপর তাদের জঙ্গি শক্তির ব্যাপকতা দেখিয়ে তাঁরা ক্ষমতায় থাকতে সক্ষম হবে। আমরা যদি এভাবেই সরকার পতনের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে থাকি তবে সরকারী প্রতিষ্ঠানের আর কোন জোর থাকবে না, যেহেতু প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ পরিত্যাগ করার অর্থ দাঁড়ায় ক্ষমতা বজায় রাখতে [সংগ্রামে] দুর্বল এবং নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। নতুন দেশীয় শিল্পের বিকাশের জন্য বৈদেশিক বিনিয়োগ আমাদের অত্যন্ত জরুরী – সীমাহীন এই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে যা আর আসছে না।

কোরেয়া প্রশাসন সম্পর্কে তিনি লিখেছেনঃ “জনগণের প্রতিনিধিত্ব করা ছাড়া কোন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল যদি ক্ষমতায় থাকে, তবে তা গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলার জন্য হুমকি স্বরূপ। যাইহোক, ব্যালটের মাধ্যমে জনগণের ভোটের বিকল্প হিসাবে অভ্যুত্থান কখনই একটি সরকারের পতন ঘটানোর জন্য সমর্থনীয় নয়।”

তিনি ইকুয়েডোরিয়ানদের মনে করিয়ে দিয়েছেন যে গণতন্ত্র বলতে একটি গণতন্ত্র বিরোধী দলের জায়গায় আরেকটির প্রতিস্থাপন নয়ঃ

Cuándo el Presidente dice que solo quiere hablar con oposición “de buena fe” —seguramente definida por él—, y cuándo el experiodista/excandidato Carlos Vera dice que “con la dictadura no se debate: se combate,” están manifestando una misma cultura política antidemocrática, en la que el diálogo no se da porque la descalificación (unilateral) del otro. En una cultura democrática el diálogo es una puerta que nunca se cierra a nadie. No es un aditivo secundario a la democracia: es su esencia sagrada.

প্রেসিডেন্ট যখন বলেছেন যে তিনি শুধুমাত্র “সরল বিশ্বাসে” বিরোধীদলের সঙ্গে কথা বলতে চান – নিশ্চিত ভাবে তাঁর ব্যবহৃত শব্দগুলো দিয়ে সংজ্ঞায়িত হয় – এবং সাবেক সাংবাদিক/ ভোট প্রার্থী কারলোস ভেরা তখন বলেছেন যে একনায়কতন্ত্র বিতর্ক করে হয় নাঃ এটার জন্য যুদ্ধ করতে হয়”। তাঁরা দুইজন একই ধরণের গনতন্ত্র-বিরোধী রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রকাশ করেছেন। এই সংস্কৃতিতে সংলাপ হতে পারে না। কেননা এক পক্ষ অন্য পক্ষকে অযোগ্য বলে মনে করছেন। একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে সংলাপ এমন এক দরজা যা কোন পক্ষই কখনও বন্ধ করতে পারে না। এটি গণতন্ত্রের কোন ছোটখাট শর্ত নয় – এটি এর খুব পবিত্র এক নির্যাস।