ভিয়েনায় ইরানের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি সম্পন্ন

Frederica Mogherini and Javad Zarif announce their arrival at the final nuclear agreement in Vienna Tuesday morning following their final meeting.

ফ্রেদেরিকা মঘেরিনি এবং জাভেদ জারিফ পরমাণু বিষয়ক সমঝোতার ঘোষণা দিচ্ছেন। চূড়ান্ত আলোচনার পর মঙ্গলবার সকালে ভিয়েনায় তারা এই ঘোষণা দেন।

সোমবার রাত পর্যন্ত ছিল সময়সীমা। অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন দিন শেষ হওয়ার আগেই চুক্তির ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছানো যাবে। কিন্তু তারপরেও আলোচনার ধীরগতি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছিল। গত দু’বছর ধরে পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে ইরানের সাথে বিশ্বশক্তিগুলোর আলোচনা চলছিল। উল্লেখ্য, ইরানের পরমাণু ইস্যুটি পুরোনো হলেও ২০১৩ সালে ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে ফলপ্রসু আলোচনার সূত্রপাত ঘটে।

ইরান বিষয়ক আলোচনা শেষ। আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছে গেছি।

মঙ্গলবার সকালে চুক্তির বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হয়। সে সময়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জাফরি এবং আলোচনাকারী দলের প্রধান সংবাদমাধ্যমকে জানান:

We are reaching an agreement that is not perfect for anybody, but it is what we could accomplish, and it is an important achievement for all of us. Today could have been the end of hope on this issue. But now we are starting a new chapter of hope.

আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছে গেছি। এটি সবার কাছে ভালো নাও হতে পারে। তবে আমরা সবাই মিলে সেটা সম্পন্ন করতে পারি। এটি আমাদের সবার জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এই ইস্যুতে আজ আমাদের এতোদিনের আশা’র সমাপ্তি ঘটলো। তবে আমরা আশাবাদী হওয়ার মতো নতুন আরেকটি অধ্যায়ের সূচনা করলাম।

দেশে এবং দেশের বাইরে অবস্থানকারী ইরানিরা এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছেন। সবাই আশা করছেন, চুক্তির ফলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হবে। পাশাপাশি দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির ব্যাপারেও অনেকে আশা করছেন।

#ইরানচুক্তি এটিই দেখিয়ে দিল, গঠনমূলক সমঝোতা কাজ করে। এই অপ্রয়োজনীয় সংকটের সমাধানের সাথে সাথে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হলো। এবার এর চ্যালেজ্ঞগুলোর প্রতি আমাদের নজর দিতে হবে।

ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তির ফলে গণতন্ত্র ও শান্তি বিজয়ী হলো।

এই দিনটি উদযাপনের ব্যাপারে মানবাধিকারকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। নতুন করে দম আর অনুপ্রেরণা নিয়ে কাজ করতে হবে।

এই চুক্তি থেকে কী আশা করা হচ্ছে?

খুব দ্রুতই যৌথ কর্মপরিকল্পনার বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে। তবে চুক্তি থেকে প্রাথমিকভাবে যেসব বিষয় আশা করা হচ্ছে সেগুলো হলো:

  • ইরানকে কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য পরমাণু কর্মসূচী বন্ধ রাখতে হবে। তাছাড়া যেকোনো সময় পরমাণু স্থাপনা ও সামরিক স্থানসমূহ পরিদর্শন করতে দিতে হবে।
  • ইরানের ওপর আরো ৫ বছর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা যখন জানাবে ইরানের কোনো পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা নেই, তখনই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।

  • জাতিসংঘের তদন্তকারীরা ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করতে পারবে। যদিও চুক্তিতে এ ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে কিছু উল্লেখ নেই। এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এই ধারার তীব্র বিরোধীতা করেছিলেন।
  • ১০০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ জব্দ সম্পদ ইরান ফেরত পাবে। তাছাড়া ইরানের তেল এবং ব্যাংকগুলোর উপর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।

    আলোচনা শুরু করুন

    লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

    নীতিমালা

    • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .