সোমবার রাত পর্যন্ত ছিল সময়সীমা। অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন দিন শেষ হওয়ার আগেই চুক্তির ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছানো যাবে। কিন্তু তারপরেও আলোচনার ধীরগতি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছিল। গত দু’বছর ধরে পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে ইরানের সাথে বিশ্বশক্তিগুলোর আলোচনা চলছিল। উল্লেখ্য, ইরানের পরমাণু ইস্যুটি পুরোনো হলেও ২০১৩ সালে ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে ফলপ্রসু আলোচনার সূত্রপাত ঘটে।
#IranTalks done. We have the agreement. #IranDeal
— Federica Mogherini (@FedericaMog) July 14, 2015
ইরান বিষয়ক আলোচনা শেষ। আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছে গেছি।
মঙ্গলবার সকালে চুক্তির বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হয়। সে সময়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জাফরি এবং আলোচনাকারী দলের প্রধান সংবাদমাধ্যমকে জানান:
We are reaching an agreement that is not perfect for anybody, but it is what we could accomplish, and it is an important achievement for all of us. Today could have been the end of hope on this issue. But now we are starting a new chapter of hope.
আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছে গেছি। এটি সবার কাছে ভালো নাও হতে পারে। তবে আমরা সবাই মিলে সেটা সম্পন্ন করতে পারি। এটি আমাদের সবার জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এই ইস্যুতে আজ আমাদের এতোদিনের আশা’র সমাপ্তি ঘটলো। তবে আমরা আশাবাদী হওয়ার মতো নতুন আরেকটি অধ্যায়ের সূচনা করলাম।
দেশে এবং দেশের বাইরে অবস্থানকারী ইরানিরা এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছেন। সবাই আশা করছেন, চুক্তির ফলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হবে। পাশাপাশি দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির ব্যাপারেও অনেকে আশা করছেন।
#IranDeal shows constructive engagement works. With this unnecessary crisis resolved, new horizons emerge with a focus on shared challenges.
— Hassan Rouhani (@HassanRouhani) July 14, 2015
#ইরানচুক্তি এটিই দেখিয়ে দিল, গঠনমূলক সমঝোতা কাজ করে। এই অপ্রয়োজনীয় সংকটের সমাধানের সাথে সাথে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হলো। এবার এর চ্যালেজ্ঞগুলোর প্রতি আমাদের নজর দিতে হবে।
Nuclear Accord with Iran is a Victory 4 Diplomacy & Peace http://t.co/WgOAm3ySpR #IranDeal #IranTalksVienna by @ICHRI pic.twitter.com/ake4y4lvyH
— Omid Memarian (@Omid_M) July 14, 2015
ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তির ফলে গণতন্ত্র ও শান্তি বিজয়ী হলো।
this should be day of (cautious) celebration for human rights defenders, breath of fresh air, inspiration to work harder.
— sarah grow (@podocnjace) July 14, 2015
এই দিনটি উদযাপনের ব্যাপারে মানবাধিকারকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। নতুন করে দম আর অনুপ্রেরণা নিয়ে কাজ করতে হবে।
এই চুক্তি থেকে কী আশা করা হচ্ছে?
খুব দ্রুতই যৌথ কর্মপরিকল্পনার বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে। তবে চুক্তি থেকে প্রাথমিকভাবে যেসব বিষয় আশা করা হচ্ছে সেগুলো হলো:
ইরানের ওপর আরো ৫ বছর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা যখন জানাবে ইরানের কোনো পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা নেই, তখনই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।
১০০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ জব্দ সম্পদ ইরান ফেরত পাবে। তাছাড়া ইরানের তেল এবং ব্যাংকগুলোর উপর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।