
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের চিত্র। ছবিঃ আলফ্রেডো ভেলাজকো।
এ মাসের শুরুর দিকে সমগ্র ইকুয়েডর জুড়ে বিভিন্ন শহরে জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। নতুন উত্তরাধিকার এবং মূলধনী মুনাফা কর আরোপ, সেইসাথে কম তেলের দাম এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধি মোকাবেলায় অন্যান্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটি সিরিজ বাস্তবায়ন করতে সরকারের প্রস্তাবনা থেকেই এই বিক্ষোভের সূচনা হয়েছে।
যেহেতু ইকুয়েডরের ১৬ মিলিয়ন বাসিন্দাদের মাঝে শতকরা ৪৬ শতাংশের ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে। তাই সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকদের একত্রিত করে বিক্ষোভ কর্মসূচীগুলোতে বিপুল পরিমাণে তাঁদের অংশগ্রহণ বিশেষভাবে উল্লেখ্য।
দেশের এক মিলিয়ন ব্যবহারকারীর এই টুইটার নেটওয়ার্কে রাষ্ট্রপতি রাফায়েল কোরেয়ার বিরুদ্ধে সর্বাধিক পরিমাণ সমালোচনামূলক হ্যাশট্যাগ কার্যকলাপ সংঘটিত হতে দেখা গেছে।
বিক্ষোভের সময় অন্তত কুইটো এবং গুয়াকুইলে যারা উপস্থিত ছিলেন তারাও ব্যক্তিগত সেবা প্রদানকারীদের সরবরাহকৃত মোবাইল ইন্টারনেট সেবা পাবার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। মানুষ সমস্যাগুলো লক্ষ্য করেছে এবং বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীর উপস্থিতি সিগন্যাল জ্যামার ব্যবহারের কারণে নেটওয়ার্কের ভগ্নদশা থেকে শুরু করে সকল সমস্যার ব্যাখ্যা চেয়ে হাজির হয়েছেন। কেননা সিগন্যাল জ্যামার ব্যবহার ইকুয়েডরের আইন অনুযায়ী অবৈধ।
টেলিযোগাযোগ তত্ত্বাবধানের জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত সরকারি সংস্থা আরকোটেল টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার এই ভাঙ্গন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।
Now, mobile phone signal interceptors in La Shyris?… They still don't get it!
— Carlos Vera (@CarlosVerareal) junio 12, 2015
এই মুহূর্তে লা সিরিসে মোবাইল ফোন সিগন্যাল অনুপস্থিত ?… তারা এখনও এই সেবার বাইরে!
#Ecuador government bloking cell/internet access via @RossyFloresR#FueraCorreaFuera#Shyrispic.twitter.com/oQmqQrLdvD — Magdanifica (@Magdanifica1) junio 13, 2015
ইকুয়েডর সরকার মোবাইল/ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
হংকং বিক্ষোভের সময় যেমন ব্যবহৃত হয়েছে, তেমনভাবে পিয়ার টু পিয়ার এ্যাপগুলো ব্যবহার করা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
গণ সমাবেশের সময়ে মোবাইল ইন্টারনেট সমস্যাগুলো স্বচক্ষে দেখার প্রাক্কালে, সাক্ষী বিরোধীদলীয় সিনেটর আন্দ্রেস পায়েজ ফায়ার চ্যাট অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এটি এমন একটি মেসেজিং সেবা যা সামাজিক বিক্ষোভ, কনসার্ট বা ফুটবল খেলা এবং এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও নিশ্চিতভাবে কাজ করে।
সম্ভাব্য মোবাইল ফোন সিগন্যাল জ্যামারের কথা তারা আমার কাছে উল্লেখ করেছেন। গতকালের প্রতিবাদ স্থলে এটি কাজ করেছে, কিছু … এড়াতে
Posted by Andrés Páez asambleísta on Thursday, June 11, 2015
বিক্ষোভের সময় কিছু মিডিয়া সেবা দিতে অস্বীকার (ডিডুস) করা থেকে শুরু করে তথ্য বিকৃত করার উদ্দেশ্যে জাল অ্যাকাউন্ট সৃষ্টি পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকৃতির আক্রমণ নিয়ে নানা প্রতিবেদন প্রচার করেছে।
We have suffered an external attack on our website http://t.co/N7lEPrrMb4 and we are working on immediate solutions.
— Ecuavisa (@ecuavisa) junio 11, 2015
We regret to inform our audience that we have fallen victim to cyber attacks that have disabled our website pic.twitter.com/9D9944jcsy — Teleamazonas (@teleamazonasec) junio 12, 2015
Day four and LaRepública's website is still under cyber attack, the perpetrators are still unknown.
— La República EC (@larepublica_ec) junio 11, 2015
আমাদের পাঠকদের উদ্দেশ্যে,
১০ জুন, ২০১৫ তারিখ রোজ বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি নকল প্রোফাইল তৈরি করা হয়। এই প্রোফাইলে এল কোমেরসিও’র নাম, লোগো এবং ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এল কোমেরসিও আমাদের বাকস্বাধীনতা এবং মূলত আমাদের মেধাস্বত্ত অধিকার সুরক্ষার উপড় আক্রমণ চালিয়ে এসেছে। আমরা এই কার্যকলাপ সম্পর্কে জানাচ্ছি, যা সন্দেহভাজন “বিরোধীদলীয় সাংবাদিকদের” তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া আমাদের কয়েকজন সহযোগীর টুইটার এ্যাকাউন্টের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে। আমরা আমাদের পাঠকদের প্রহরীদের হাতে ধরা না পড়তে অনুরোধ করছি। আমরা এল কোমেরসিও’তে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদির উপর স্বাধীন এবং সঠিকভাবে প্রতিবেদন তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অবস্থান করা লোকজনের মোবাইল ইন্টারনেট সেবাকে প্রভাবিত করার মত কাজ এবং বিরোধীদলকে জনসম্মুখে লজ্জা দিতে সরকারের চালানো বিভিন্ন প্রচারাভিযানের মাঝপথে প্রচার মাধ্যমের উপর আক্রমণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে জনমতকে নিজেদের কাজে লাগাতে “দানব কেন্দ্র” স্থাপনের দাবি জানাই।
১৫ জুন তারিখে ইউরোপ সফর থেকে ফেরা এবং প্রতিবাদ কর্মসূচীর বিরুদ্ধে কথা বলার কয়েক ঘন্টা পর কোরেয়া ঘোষণা দিয়েছেন, উত্তরাধিকার ও মূলধনী মুনাফার উপর কর খসড়া আইনগুলো পাস করার কাজ সাময়িকভাবে আটকে রাখা হল। আগামী ৫ থেকে ৮ জুলাই তারিখে পোপ ফ্রান্সিসের সফরকালে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।