রয়েল স্প্যানিশ একাডেমীর অভিধানে চোলো অথবা চোলা শব্দের প্রথম লিখনিতে এটিকে “ইউরোপিয়ান এবং স্বদেশজাত রক্তধারী মেসটিজো (মিশ্র জাতি) ব্যক্তি” হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। শব্দটির শেষে সংকুচিত স্প্যানিশ শব্দাংশ – ইটা যুক্ত হয়ে শব্দটি ‘চোলিটা’ হয়েছে। বলিভিয়াতে স্বদেশজাত আয়মারা নারীদের স্নেহের সাথে বিশেষভাবে ডাকতে শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আয়মারা নারীরা মাথায় ধুচুনি টুপি, বৈশিষ্ট্যসূচক স্কার্ট এবং ব্লাউজ আর তাঁর সাথে রঙচঙে শাল পড়ে থাকে। চুলকে পেছনে টেনে দুটি লম্বা বিনুনি করে বাঁধে, যা পিঠ বেয়ে নিচে চলে যায়।
শব্দটি আসলে বেশ অবমাননাকর। যেসব স্বদেশজাত নারী শহরে চলে যায় এবং শহুরে মেসটিজোদের মতো জীবনধারণে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে তাদেরকে বোঝাতে শব্দটি ব্যবহৃত হয়। তবে বর্তমানে যেসব নারীরা লা পাজে জন্মগ্রহণ করে তাঁদের দেশীয় পরিচিতিকে সাদরে গ্রহণ করে তাঁদের উদ্দেশ্য করে শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
বলিভিয়াতে ২০১৪ সালে চালু হওয়া একটি ফ্যাশন ম্যাগাজিনের নামও চোলিটা। ম্যাগাজিনটিকে “আন্দেজের ভোগ” নামেও অভিহিত করা হয় এবং মূলত দেশীয় নারীদের জন্য যারা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে থাকেন এবং সমাজে ক্রমবর্ধমানভাবে আরও দৃশ্যমান এবং ক্ষমতাবান ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য করে প্রকাশ করা হয়।
পত্রিকাটির সম্পাদক এস্টার শায়িম ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে স্প্যানিশ সংবাদ সংস্থা ইএফই কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যাখ্যা করেছেন, পত্রিকাটি যদি কেবল ফ্যাশনের উপর লক্ষ্য করে প্রকাশ করা হয়, তবে “এমন কঠোর পরিশ্রমী, স্মার্ট, উদ্যোগ পূর্ণ এসব উদ্যোক্তা নারীদের” কাছে এটি একঘেয়ে হয়ে উঠবে।
স্প্যানিশ ভাষী মিডিয়া থেকে পাওয়া যা এই নিবন্ধ থেকে জানা যায় যে মাসিক পত্রিকাটি ২০১৪ সালের জুলাই মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। শায়িম ব্যাখ্যা করেছেন:
Es una revista que plantea el matriarcado como una alternativa para hacer de este mundo un lugar plenamente feliz y próspero, quizás ya es tiempo de turnarse y que sean las mujeres las que tengan el poder.
পত্রিকাটি বিশ্বকে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সুখী-সমৃদ্ধ জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মাতৃতন্ত্রকে একটি বিকল্প হিসেবে প্রস্তাব করে। নারীদের ক্ষমতায়নের আওতায় নিয়ে আসতে সম্ভবত এটা একটি পরিবর্তনের সময়।
পত্রিকাটির জন্য ধারণাটি তিনি কিভাবে পেলেন সেটাও তিনি শেয়ার করেছেন:
Chaym relató que la idea de editar una revista de estas características partió de la espontánea reacción de una niña alemana que, cuando llegó a Bolivia y vio a las mujeres ataviadas con las tradicionales mantas, polleras y sombreros tipo bombín, exclamó: “¡Este país está lleno de princesas!”
শায়িম স্মৃতিচারণ করেছেন, একজন জার্মান মেয়ের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়াই তাঁকে এই বৈশিষ্ট্যসূচক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। মেয়েটি যখন বলিভিয়ায় আসে এবং নারীদের ঐতিহ্যবাহী শাল, স্কার্ট এবং ধুচুনি টুপি পড়া নারী দেখেন, তখন তিনি উচ্ছ্বাসের সাথে বলেন: “এই দেশ রাজকুমারীতে পূর্ণ।”
পত্রিকা দলটি একদল চোলিটা’দের নিয়ে গঠিত, যারা তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে থাকেন।
টুইটারেও সেই সময়ে পত্রিকাটির খবর অনুরণিত হয়েছে:
“@ELTIEMPO: Nace en Bolivia la ‘Vogue andina’ con consejos de moda para ‘cholitas’ http://t.co/fwWinkf52d pic.twitter.com/cyncqmqKkr” / @GDiegoa
— Trilce Lovisolo (@trilcelovisolo) octubre 31, 2014
বলিভিয়াতে চোলিটা’দের জন্য ফ্যাশন টিপস নিয়ে ‘আন্দেজে ভোগ’ চালু হয়েছে।
#AhListoQueProgre Nace en Bolivia la “Vogue andina” para mujeres indígenas http://t.co/WervPNxAs1
— Ignacio Xoraxuria (@xoraxuria) octubre 25, 2014
বলিভিয়াতে আদিবাসী নারীদের জন্য ‘আন্দেজে ভোগ’ চালু হয়েছে।
Salió la Revista Para Ti de las cholitas bolivianas. Voy a coleccionarla. http://t.co/Up6qS4FSuQ
— enzo (@scargenz) noviembre 6, 2014
বলিভিয়ার চোলিটা’দের জন্য রয়েছে প্যারা টি পত্রিকা। আমি এটা সংগ্রহ করতে যাচ্ছি।
Vogue Andina…qué hijaputezZz #Cholitas
— Cecilia Giuffrida (@GIUFFRA) noviembre 17, 2014
আন্দেজে ভোগ… তুমি বাস্টার্ড। #চোলিটাদের
Las “cholitas” ahora son las reinas de la moda: Esta es la nueva “Vogue” boliviana http://t.co/Vo3KfZqpJd pic.twitter.com/2I3kQW6mvp
— MAFFY (@LidiaMaffy_2014) octubre 28, 2014
চোলিটারা এখন ফ্যাশানের রানীঃ এটা হচ্ছে বলিভিয়ার নতুন “ভোগ”।
২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে, বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজ’র স্থানীয় সরকার আইকনিক চোলিটা’কে শহরের “অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে।