[1]তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি। ছবি তুলেছেন রিয়াজ সুমন। স্বত্ত্ব: ডেমোটিক্স (১৫/০৬/২০১৫)
কোথাও এক হাঁটু পানি, কোথাও ইঞ্জিন বিকল হয়ে রাস্তায় পড়ে আছে গাড়ি, কোথাও অসহনীয় যানজট। এরমধ্যে অবিরাম বর্ষণ তো চলছেই। এভাবেই বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার মাধ্যমে [2] বর্ষাকে স্বাগত জানালো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মানুষ।
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সবাই গরমে অতিষ্ঠ [3] হয়ে তাপমাত্রার ‘ফিল লাইক’ কত তার পোস্ট দিচ্ছিলেন। তখনই বৃষ্টি নামলো ঝমঝমিয়ে। আর এর মধ্যে দিয়ে সূচনা ঘটলো বর্ষাকালের।
ষড়ঋতু’র দেশ বাংলাদেশ। এর একটি ঋতু বর্ষা [4]। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস মিলে যার ব্যাপ্তি (মধ্য জুন থেকে মধ্য আগস্ট)। এ সময়ে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বার্ষিক মোট বৃষ্টিপাতের ৮০ শতাংশ হয় বর্ষাকালে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ষাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি এর নিন্দেমন্দ কম হচ্ছে না। কারণ জলাবদ্ধতা বিশ্বের ১১তম জনবহুল [5] এই দেশ কর্মব্যস্ত নাগরিক জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। রাস্তায় পানি জমে গেছে। সাংবাদিক প্রভাষ আমিন [6] বর্ষা বন্দনার পাশাপাশি এর দুর্ভোগের দিকটাও তুলে ধরেছেন:
বৃষ্টি আমার খুব প্রিয়। বিশেষ করে বৃষ্টি ভেজা সকালে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে। বৃষ্টি ভেজা সকালটা সবুজের সাথে কাটাতে ভালো লাগে। আমি জানি বৃষ্টি হলে অনেক মানুষের অনেক অসুবিধা হয়, যেমন সকালে প্রসূনকে স্কুলে দিতে গিয়ে আমাকেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সকালের বৃষ্টি স্কুল আর অফিসগামী মানুষকে চরম দুর্ভোগে ফেলে। আর খোলা আকাশের নিচে যাদের বাস, তাদের দুর্ভোগের তো সীমা নেই। […]
মুক্তিযোদ্ধা ও অ্যাক্টিভিস্ট আক্কু চৌধুরী [7] লিখেছেন:
What a beautiful monsoon day to start the morning with! Walked to work in the rain as the avenue is blocked for rain and PM visit!
কী চমৎকার ভাবেই না বর্ষার সকাল শুরু হলো! অফিসে যেতে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাস্তায় নামলাম। এখন দেখছি বৃষ্টি ও প্রধানমন্ত্রীর যাতায়াতের জন্য রাস্তা বন্ধ!
বর্ষার আগমন নানা বৈচিত্র্যময় ছবির সমাহার ঘটায়ঃ
[8]বর্ষায় ঢাকার রাস্তায় পানি জমা খুব সাধারণ একটি চিত্র। ছবি তুলেছেন এসকে হাসান আলী। স্বত্ত্ব: ডেমোটিক্স (১১/০৬/২০১৫)
[9]রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে অহরহ দুর্ঘটনাও ঘটে। ছবি তুলেছেন এসকে হাসান আলী। স্বত্ত্ব: ডেমোটিক্স (১১/০৬/২০১৫)
[10]বৃষ্টির কারণে মানুষজন বাইরে কম বের হয়। তাই দোকানের বেচাকেনা কমে যায়। ছবি তুলেছেন এসকে হাসান আলী। স্বত্ত্ব: ডেমোটিক্স (১১/০৬/২০১৫)
[11]তবুও থেমে থাকে না জীবন। যে যার গন্তব্যে ছোটেন। ছবি তুলেছেন এসকে হাসান আলী। স্বত্ত্ব: ডেমোটিক্স (১৪/০৮/২০১৪)
তবে বাংলাদেশে বর্ষার অন্যরূপও আছে। সেটা উদযাপনের, সাড়ম্বরে বরণ করে নেয়ার। বর্ষার বর্ণিল আয়োজনে আপনাকে স্বাগতম।
[12]বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানাতে প্রতিবছর চারুকলা’য় বর্ষা উৎসবের আয়োজন করা হয়। ছবি তুলেছেন রিয়াজসুমন। স্বত্ত্ব: ডেমোটিক্স (১৫/০৬/২০১৫)।
[13]কয়েকদিনের টানা তাপদাহ। তারপরে আসে স্বস্তির এই বৃষ্টি। তাই তো বৃষ্টিতে শরীর জুড়িয়ে নেন নাগরিক মানুষজন। ছবি তুলেছেন বায়েজিদ আক্তার। স্বত্ত্ব: ডেমোটিক্স (২৮/০৮/২০১০)।
[14]শিশুরাও পিছিয়ে নেই। তারাও নেমে পড়ে নবধারা জলে, ভিজতে। ছবি তুলেছেন মোহাম্মদ আসাদ। স্বত্ত্ব: ডেমোটিক্স (২৩/০৮/২০১৪)
[15]বৃষ্টিতে নদী-নালা পানিতে ভরে যায়। তখন আয়োজন করা হয় নৌকাবাইচের। ছবি তুলেছেন ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। স্বত্ত্ব: ডেমোটিক্স (২৮/০৯/২০১৩)।
[16]কদম ফুল। বর্ষার ফুল হিসেবে বাংলা সাহিত্যে অনেকটা জায়গা নিয়ে আছে। ছবি তুলেছেন জাকির হোসেন চৌধুরী। স্বত্ত্ব: ডেমোটিক্স (১৮/০৫/২০১৩)
[17]বাদল দিনের বিশেষ খাবার। খিচুড়ি, ইলিশ আর ভিম ভূনা। ছবি তুলেছেন মোহাম্মদ আসাদ। স্বত্ত্ব: ডেমোটিক্স (১৪/০৮/২০১৪)
[18]বাংলাদেশের বর্ষা দেখার মতো। প্রকৃতির যাওয়ার আকুলতায় তাই তো ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পর্যটক। বিছনাকান্দি, সিলেট। ছবি তুলেছেন আনোয়ার শামীম। স্বত্ত্ব: ডেমোটিক্স (০৬/০৮/২০১৪)।