কোথাও এক হাঁটু পানি, কোথাও ইঞ্জিন বিকল হয়ে রাস্তায় পড়ে আছে গাড়ি, কোথাও অসহনীয় যানজট। এরমধ্যে অবিরাম বর্ষণ তো চলছেই। এভাবেই বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার মাধ্যমে বর্ষাকে স্বাগত জানালো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মানুষ।
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সবাই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে তাপমাত্রার ‘ফিল লাইক’ কত তার পোস্ট দিচ্ছিলেন। তখনই বৃষ্টি নামলো ঝমঝমিয়ে। আর এর মধ্যে দিয়ে সূচনা ঘটলো বর্ষাকালের।
ষড়ঋতু’র দেশ বাংলাদেশ। এর একটি ঋতু বর্ষা। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস মিলে যার ব্যাপ্তি (মধ্য জুন থেকে মধ্য আগস্ট)। এ সময়ে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বার্ষিক মোট বৃষ্টিপাতের ৮০ শতাংশ হয় বর্ষাকালে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ষাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি এর নিন্দেমন্দ কম হচ্ছে না। কারণ জলাবদ্ধতা বিশ্বের ১১তম জনবহুল এই দেশ কর্মব্যস্ত নাগরিক জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। রাস্তায় পানি জমে গেছে। সাংবাদিক প্রভাষ আমিন বর্ষা বন্দনার পাশাপাশি এর দুর্ভোগের দিকটাও তুলে ধরেছেন:
বৃষ্টি আমার খুব প্রিয়। বিশেষ করে বৃষ্টি ভেজা সকালে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে। বৃষ্টি ভেজা সকালটা সবুজের সাথে কাটাতে ভালো লাগে। আমি জানি বৃষ্টি হলে অনেক মানুষের অনেক অসুবিধা হয়, যেমন সকালে প্রসূনকে স্কুলে দিতে গিয়ে আমাকেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সকালের বৃষ্টি স্কুল আর অফিসগামী মানুষকে চরম দুর্ভোগে ফেলে। আর খোলা আকাশের নিচে যাদের বাস, তাদের দুর্ভোগের তো সীমা নেই। […]
মুক্তিযোদ্ধা ও অ্যাক্টিভিস্ট আক্কু চৌধুরী লিখেছেন:
What a beautiful monsoon day to start the morning with! Walked to work in the rain as the avenue is blocked for rain and PM visit!
কী চমৎকার ভাবেই না বর্ষার সকাল শুরু হলো! অফিসে যেতে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাস্তায় নামলাম। এখন দেখছি বৃষ্টি ও প্রধানমন্ত্রীর যাতায়াতের জন্য রাস্তা বন্ধ!
বর্ষার আগমন নানা বৈচিত্র্যময় ছবির সমাহার ঘটায়ঃ
তবে বাংলাদেশে বর্ষার অন্যরূপও আছে। সেটা উদযাপনের, সাড়ম্বরে বরণ করে নেয়ার। বর্ষার বর্ণিল আয়োজনে আপনাকে স্বাগতম।