ফিফা ২০১০ বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল পাঁচ বছর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকরা ভাল সময়কে স্মরণ করছে

Soccer fans holding vuvuzelas watching the opening game of the World Cup. Photo by Marcello Casal Jr. Published by Agência Brasil under Creative Commons.

ফুটবল ভক্তরা ভুভুজেলা হাতে বিশ্বকাপের উদ্বোধন খেলাটি দেখছে। ছবি মার্সেলো কাসাল জুনিয়ারের, ক্রিয়েটিভ কমন্স-এর অধীনে এজেন্সিয় ব্রাজিল এটি প্রকাশ করেছে।

পাঁচ বছর আগে জুন ১১ মাসের তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৯তম ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হয়। সেটা ছিল বিশ্বে প্রথমবারের মত আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত কোন ফুটবল বিশ্বকাপ। ২০১০ সালের স্মৃতি (#২০১০মেমোরিজ) নামক হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার করে, দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকরা টুইটারে যে দিন থেকে বিশ্বকাপে ভুভুজেলা তার অবস্থান তৈরী করে নিল, সেই দিনটিকে স্মরণ করছে।

ভাহা মাসুন্দা, সেই মূহূর্তের এক ছবি প্রদর্শন করেছে যা দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকদের কাদিয়েছিল। এটি ছিল মেক্সিকোর বিরুদ্ধে করা দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রাইকার তাশাবালালার করা টুর্নামেন্টের প্রথম গোল, যা ১-১ গোলে পরিসমাপ্ত হয়:

সেই মুহূর্ত যা দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকদের চোখে পানি এনে দিয়েছিল। আমরা এক হয়ে গিয়েছিলাম। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের জন্য আমাদের আমাদের সরকারকে ধন্যবাদ।

নীচের এই ইউটিউব ভিডিওতে আপনারা দেখতে পাবেন শাকিরা গাইছে ওয়াকা ওয়াকা গানটি, ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সে এই গানটি গেয়েছিল:

যখন এই সবাই প্রতিযোগিতা নিয়ে উন্মত্ত ছিল তখন খুলেকানি মাথে স্মরণ করছে তার উন্মাদনার কথা, যা ছিল অন্য এক বিষয়ে:

২০১০ সালে আমি ভারতে অবস্থান করছিলাম, সে সময় সবাই যখন উদ্বোধনী খেলা নিয়ে পাগল হয়ে গিয়েছিল, তখন আমার পাগল হওয়ার দশা হয়েছিল খেলা দেখতে না পেরে।

টুইটার ব্যবহারকারী কিং বেলী সেই সময় জোহান্সবার্গের রাস্তায় কখনোই এতটা নিরাপদ অনুভব করেননি, যা বিশ্বের অন্যতম এক সহিংস শহর বিবেচিত:

বিশ্বকাপের স্মৃতির কথা ভাবলে আমি ভাবি, আমার সমগ্র জীবনে আমি কোনদিন জোহান্সবার্গের রাস্তায় হাঁটার সময় নিজেকে এতটা নিরাপদ অনুভব করিনি। বেঁচে থাকা অসাধারণ।

ভুমা আগস্টিন বলেন তিনি তার সারা জীবন ধরে সে সময়ের মত একতাবদ্ধ হতে দেখেননি:

আমি আমার জীবনে নাগরিকদের আরো কোনদিন এতটা একতাবদ্ধ হতে দেখিনি । ২০১০ সালের উত্তেজনার অভাব অনুভব করছি।

দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েক জন নাগরিক দেশটির বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠায় ক্ষিপ্ত।

টুইটার ব্যবহারকারী ইয়াং এন্ড রেকলেস বলছে এই কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে সে মোটেও চিন্তিত নয়:

২০১০ সালে স্মৃতিতে রয়েছে এক সুন্দর রাষ্ট্রের একত্রিত হওয়ার ঘটনা, ২০১০ সালে ঘুষ দেওয়া বা না দেওয়ার এখন মাতামাতি করার কিছু নেই।

অনলাইনে অন্যেরা আরো অভিন্ন সুরে বলছে :

ফিফার ঘুষ কেলেঙ্কারি গোল্লায় যাক। ঘুষ দেওয়া বা না দেওয়া নিয়ে কি আসে যায়। আমরা কিছু অসাধরণ স্টেডিয়াম পেয়েছিলাম। এখনো পর্যটকেরা আসছে। তাহলে আর কি।

নাকাতেকো বালোই বলছে ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতায় অন্য দেশগুলো ঈর্ষান্বিত :

ফিফার কেলেঙ্কারি কি আপনার বিশ্বকাপের স্মৃতিকে কলঙ্কিত করেছে? আমাকে অথবা @ইএনসিএ টুইট করুন

লেখিকার জবাবে একটি টুইটে লেখা হয়েছে, কেন আমরা অতীত ঘাটাঘাটি করবে যখন অন্য রাষ্ট্র অসধারণ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য আমাদের প্রতি ঈর্ষানবিত

কাবাওয়ে সোনোগোলোর মতে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এবং ফিফার উচিত নয় ক্রীড়ার মজা থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলা :

দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ফিফার কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড যেন বিশ্বকাপের আয়োজনের সাথে গুলিয়ে ফেলা না হয়। দয়া করে তাদের সাথে এই ঘটনাকে যুক্ত করবেন না।

কোন কোন ইন্টারনেট ব্যবহার কারী যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার উদ্দেশ্য টুইট করেছে, যাদের তদন্তের ভিত্তিতে সাম্প্রতিক সময়ে সুইজারল্যান্ডের ফিফার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে এফবিআই একটি জিনিস ছিনিয়ে নিতে পারবে না তা হচ্ছে তার ২০১০-এর গর্বিত স্মৃতি।

তবে টুইটারে অনেক মানুষের যেমন বিশ্বকাপ নিয়ে ভাল স্মৃতি রয়েছে, চার্লি ল্যাঙ্গারের স্মৃতি ততটা ইতিবাচক না:

উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত, দূর্নীতি, ফন্দিবাজি, মুদ্রা পাচার, কর ফাঁকি দেওয়া। তালিকাটা অনেক দীর্ঘ=৭৮৩

এদিকে টম মোলট্রায়ে বিস্মিত বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকা তার নিষ্পাপ চরিত্র হারিয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .