- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

টর নেটওয়ার্কের কারিগরি দিক, গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলো আলোচনা করেছেন অ্যাডভোক্সাররা

বিষয়বস্তু: অ্যাডভোকেসী, নজরদারী, নাগরিক মাধ্যম, জিভি এডভোকেসী

টর নেটওয়ার্ক [1]আসলে ঠিক কি? টর হচ্ছে এমন একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা যার মাধ্যমে নাগরিকরা সরকারের সেন্সরশিপকে পাশ কাটাতে সক্ষম হন এবং ভিন্নমতাবলন্বীরা বেনামে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন। এটা কিভাবে কাজ করে? টর নেটওয়ার্ক স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা পরিচালিত বিশ্ব জুড়ে অবস্থিত সার্ভারের একটি সংকলন। নেটওয়ার্কটি ব্যবহারকারীদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবার পূর্বে বেনামে অন্তত তিনটি টর সার্ভারের মধ্যে ট্রাফিক পাঠিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ করতে সাহায্য করে। এর ফলে ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারীর কাছে এটা বোঝা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় যে এই ট্রাফিক ঠিক কোথা থেকে আসছে এবং ঠিক কোথায় যাচ্ছে। এই সংযোগ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত টর “প্রস্থান নোড” হচ্ছে সার্ভারটির চূড়ান্ত সেট। এখান থেকেই একজন ব্যবহারকারীর ট্রাফিক টর নেটওয়ার্ক থেকে প্রস্থান করে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।

টর নেটওয়ার্ক “লুকানো সেবা” এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট মালিক এবং তাদের ব্যবহারকারীদের অজ্ঞাতপরিচয় থাকতে বিশেষ সাহায্য করে। সন্ত্রাসীরা মাদক কেনাবেচার মত অপরাধী কর্মকাণ্ডের জন্য অবশ্য “লুকানো সেবা” ব্যবহার করে, কিন্তু টর কমিউনিটি বলছে, এই ধরণের ট্রাফিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা শতকরা ৪ ভাগেরও কম। ব্লগাররা বেনামে এবং নিরাপদে ব্লগ করতে লুকানো পরিষেবাগুলো ব্যবহার করেন। মানবাধিকার রক্ষাকর্মীরা এই ক্ষেত্রে লিকিং বা ফাঁস হওয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিডিয়ার সাথে তথ্য আদান প্রদান করে থাকেন। ওয়াশিংটন পোস্ট একটি ব্যবহার করে, যেমনটি করে থাকে অনেক মানবাধিকার সংগঠন।

গ্লোবাল ভয়েসেসের ইরানি সম্পাদক মাশা আলিমারদানি টর এর বিভিন্ন টুল বা সম্ভার, এর ব্যবহার এবং এটির বিতর্কের দিকগুলো বুঝতে ইরানের টর প্রস্তুতকারী নিমা ফাতেমী ও টরের যোগাযোগ পরিচালক, সক্রিয় কর্মী কেট ক্রুস এর সঙ্গে নীচের ভিডিওতে আলোচনা করেছেন। উপরে টর নিয়ে নিমার তৈরি একটি সুন্দর ভিডিও টিউটোরিয়ালও দেখুন।