মিয়ানমারে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান ঘৃণা, বৈষম্য এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মধ্যে সহিষ্ণুতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রচারের উদ্দেশে সে দেশে একটি সেলফি প্রচারণা শুরু হয়েছে।
ফেসবুক প্রচারণাটি দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াংগুন থেকে কিছু যুবকের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। প্রচারাভিযানটি গত এপ্রিলে উদ্বোধন করা হয়। যাদের ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বা ধর্মের বন্ধু রয়েছে, তাদের সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য আহ্বান জানিয়ে প্রচারাভিযানটি শুরু হয়েছে।
প্রচারণাটি #আমারবন্ধু এবং #বন্ধুত্বের_কোন_সীমানা_নাই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছে।
২০১২ সাল থেকে কেন্দ্রীয় মিয়ানমার, পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলের কিছু বৌদ্ধ এবং সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে অবিরাম সংঘর্ষ চলছে। এসব স্থানের মধ্যে কেন্দ্রীয় মিয়ানমারের মেইখটিলা অঞ্চলও রয়েছে। সেখানে বৌদ্ধ ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং এর ফলে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। সবচেয়ে গুরুতর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সংঘটিত হয় ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। সেখানকার রোহিঙ্গা মুসলমানরা সিত্তে শহরের কাছে শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করে।
একই সময়ে মিয়ানমারের সামাজিক মিডিয়ায় অনলাইনে ঘৃণাত্মক কথন এবং হয়রানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে একটি অসহিষ্ণুতা এবং বর্ণবাদের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
মিয়ানমারে মানুষ, বিশেষ করে তরুণ সম্প্রদায়ের সবাই যে সম্মান এবং বন্ধুত্ব প্রদর্শনের মাধ্যমে ঘৃণার এই অসুস্থ পরিবেশের পরিসমাপ্তি ঘটাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তাঁর প্রমাণ দিতে #আমারবন্ধু প্রচারণা থেকে কিছু ছবি নীচে দেওয়া হলঃ
হান শেঠ লু নামের একজন মুসলিম তার বৌদ্ধ বন্ধুর সঙ্গে একটি ছবি আপলোড করেছেন:
রডি দীন নামের একজন খ্রিস্টান থাইল্যান্ড থেকে তার বৌদ্ধ বন্ধুর সাথে একটি ছবি শেয়ার করেছেন:
সু ইয়াদানার মিন্ত নামের মুসলিম একজন শিখের সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য গর্বিত: