“Марги Фархундаи ноком ба ман мегӯяд,
Ки ба ҳар як дару девор нависам ба зуғол:
Марг ба Афғонистон!
Сангдевори занон!!
Маҳбаси зан!!!Агар ин аст мусалмонии Афғонистон,
Ҳама он бомба, ки янки ба сараш рехт кам аст,
Кам аст.”
অপয়া ফারখুনদার মৃত্যুর আমাকে বাধ্য করে
কাঠকয়লা দিয়ে প্রতিটি দরজা ও প্রাচীর-এ লিখতে:
আফগানিস্তানের মৃত্যু! নারীর বন্দিনিবাস!এই যদি আফগানিস্তানে ইসলাম হয়
তার মাথার উপর মার্কিনীদের দ্বারা নিক্ষিপ্ত সমস্ত বোমা
এখনও যথেষ্ট নয়।
এভাবেই বোজর সোবির-এর লেখা সর্বশেষ কাব্যিক উৎসর্গটি করা হয়, যিনি একসময় সাম্যবাদী তাজিকিস্তানের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সবচেয়ে পরিবর্তনশীল গীতিকার ছিলেন।
একটি পুরো দেশের উপর সোবিরের নিন্দাজ্ঞাপনের জন্য তিনি তাজিকিস্তানে আফগানী দূতের কাছে থেকে উত্তপ্ত বাক্য অর্জন করেছেন সেই সাথে সাথে সামাজিক মাধ্যমগুলো থেকে অবজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছেন যেখানে কবিতার প্রতি তাদের ভালবাসার জন্য পরিচিত কয়েকজন তাজিক কাব্যর মাধ্যমে তাদের সাড়া প্রদান করেছেন।
কিন্তু ৭৭ বছর বয়সেও সোবির কে কী ভাবলো সে বিষয়ে গ্রাহ্য করবেন বলে মনে হয় না।
বদমেজাজী এই বৃদ্ধ কবি লেনিন, সাম্যবাদী, রাশিয়া, বা সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থনে প্রকাশ্যে কোন লেখা লেখায় ব্যর্থ হওয়ার মাধ্যমে সোভিয়েত সাহিত্যিক ধারাকে এড়িয়ে চলেছেন, এই লক্ষণ তাকে দীর্ঘদিন ধরে একটি কাজ পাওয়া কঠিন করে তুলেছিল।
স্বাধিনতার প্রাক্কালে লেখা তাজিক ভাষা সম্পর্কে তার কবিতা সেসময়ে তাজিক জাতীয়তাবাদের একটি স্তবগান-এ পরিণত হয়, ১৯৯০য়ের সালগুলোতে খুব কম সংখ্যাক উঠতি বয়েসের বিদ্যালয় শিশু পাওয়া যাবে যারা এটিকে মুখস্ত বলতে পারে না।
দেশের স্থায়ী-শক্তিশালী রাষ্ট্রপতি এমোমালি রামোনের সাথে গৃহ যুদ্ধের সময় (১৯৯২-৭) মতানৈক্য হওয়ার কারণে সোবির ইরান, রাশিয়া, এবং যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান এবং সেখানে থাকাকালীন প্রতিটি দেশকেই তিনি তার পঙ্কিল কাব্য দ্বারা অভিশাপ দিয়েছেন।
তারপর তিনি তাজিকিস্তানে আবার ফেরত আসেন, রামোনের প্রতি তার প্রশংসা বর্ষণ করেছেন এবং এগুলো করে রাজধানী দুশানবেতে তিনি তার নিজের জন্য একটি বিনামূল্যের ফ্ল্যাট বাগিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে আর কিছু না থাকুক তার কবিতায় বেশীরভাগ সময়ই মস্কো ঘেষা রঙ লাগানো থাকে।
কাবুলে কোরানের একটি খণ্ড পোড়ানোর অভিযোগে একজন মানসিক অসুস্থ নারী ফারকুনদাকে প্রহার করে হত্যার পর পোড়ানোর অভিযোগ রয়েছে, যার হত্যাকাণ্ডটি একটি বর্বরতা ছিল বলে সোবির এই কবিতা লিখেছেন বলে তিনি ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু যখন জনতার রায়ে ফারকুনদার হত্যাকে ব্যাপকভাবে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আফগানিস্তানসহ বিশ্ব জুড়ে নিন্দা করা হয় তখন অনেকেই এই মত দিয়েছেন যে সোবিরের কবিতা একটি সস্তা প্ররোচণার বেশী আর কিছু নয়।
একটি স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ওজোদাগন-এ একটি সাক্ষাৎকার দেওয়া তাজিকিস্তানে নিয়োজিত আফগানী দূত তাদের একজন।
ড: আব্দুলগাফুর অরজু যিনি নিজেও একজন কবি তিনি সোবিরের কবিতাকে একটি ‘রাজনৈতিক বুলি’ অভিহিত করে আক্রমণ করেছেন।
নদী দ্বারা বিভাজিত এই দুই দেশের মধ্যে জাতিগত, ভাষাগত, ধর্মীয়, এবং ইতিহাসগত ঐতিহ্যের মিল মাথায় রেখে অরজু বলেছেন:
Ман бовар дорам, ҳар касе ба Афғонистон марг мегӯяд, ҳаргиз ишқ ба Тоҷикистон надорад. Агар муҳаббат ба Тоҷикистон медошт, муҳаббат ба фарҳанги ниёгон медошт, дар ин шеър ба фарҳанги ниёгон тавҳин намекард.
আমি বিশ্বাস করি যে, যে কেউ আফগানিস্তানের মৃত্যু চায়, তার তাজিকিস্তানের প্রতি কোন ভালবাসা থাকতে পারে না। সে যদি তাজিকিস্তানকে ভালবাসতো, তার পূর্বপুরুষদের সংস্কৃতিকে ভালবাসতো তবে সে তার এই কবিতার মধ্যে তাদের সংস্কৃতিকে অবমাননা করতো না। জনাব বোজর সোবির কি জানেন যে কতজন প্রিয় তাজিক নাগরিককে প্রতি বছর রাশিয়াতে হত্যা করা হচ্ছে? আজকের দিন পর্যন্ত আমি দেখি নি যে বোজর সোবির মস্কোতে তাজিক যুবদের খুনের ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন।
যখন অজোদাগন এই তাজিক কবিকে ফোন করে তার উত্তর জানতে চায়, তখন সে রাগে ফেটে পড়ে:
“Дурӯғ, дурӯғ, дурӯғ. Ман дар ин бора чандин бор навиштагиям. Нахондаанд. Ҳатто ҳамин хел навиштам, ки ин кори саҳюнистҳо аст. Ҳамин кушторҳое, ки шумо гумон мекунед, миллатгароҳои рус мекушанд, не. Инҳоро созмонҳои саҳюнистӣ мекушанд.”
মিথ্যা, মিথ্যা মিথ্যা। আমি এ ব্যাপরে বারংবার লিখেছি। সে ওগুলো পড়ে নি। আমি এমনও লিখেছি যে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলীয়রা দায়ী। [তাজিক অভিবাসীদেরকে] রুশিয় জাতিয়তাবাদীরা হত্যা করে নি বরং ইসরায়েলীয় সংগঠনগুলো করেছে।
যার দেশ রাশিয়াতে থাকা অভিবাসীদের পাঠানো অর্থের উপর প্রবলভাবে নির্ভরশীল সেই কবি তার উপর আনিত আফগান-বিরোধী জাতিয়তাবাদের অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছেন এই বলে যে তিনি বিশ্বাস করেন যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার স্বদেশী তাজিক ব্যক্তিরাই, যারা আফগানিস্তানে দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতিগত গোষ্ঠী।
কিন্তু এটি তাকে অনলাইন ক্রোধ থেকে বাঁচাতে পারে নি।
তারবিয়াইয়ে ইমোনি নামের ফেসবুকের সবচেয়ে সক্রিয় তাজিক দলের নিয়ন্ত্রক উদিয়মান ধর্মীয় তারকা আবদুল্লহ মুকাম্মিলভ একটি গীতিধর্মী প্রতিউত্তর পাঠিয়েছে:
“Магар ғайр аз мусалмон номусалмон нест дар олам?!
Магар ҷуз кишвари Афғон пурафғон нест дар олам?!
Магар мазлумкушон танҳо мусалмонанд?!
Магар бадбахтии инсониятро муҷрим эшонанд?!
Магар ҳеҷ кишваре қотил надорад?!
Магар ҳеҷ мамлакат ҷоҳил надорад?!
মুসলমানরা ছাড়া আর কি কোন খারাপ লোকে নেই এই পৃথিবীতে?
আফগানিস্তান ছাড়া আর কি কোন করুণ দেশ নেই এই পৃথিবীতে?
শুধু কি মুসলমানেরাই মানুষ খুন করে বা তাদেরই কি মানবতার দুর্দশার ভার বহন করতে হবে?
আর কোন দেশে কি খুনিরা নেই?
আর কোন দেশে কি অজ্ঞ লোকরা নেই?
অন্যদিকে একজন সুপরিচিত তাজিক সাংবাদিক দারিউস রাজাবিয়ান একটি রূঢ় জবাব দেন:
“Чи тафовуте миёни худ ва он муллои тангназар мебинад, ки дастури қатли Фархундаро дода буд? Он мулло фарёд зада буд: “Марг бар Фархунда!” ва Бозор Собир мегӯяд: “Марг бар Афғонистон!” (Ҳамон Афғонистоне, ки Кремлини мавриди парастиши Бозор Собир ба чунин ҳоле афканд.)”
সে তার নিজের আর যে অজ্ঞ মোল্লাটি ফারখুনদাকে হত্যার আদেশ দিয়েছিল তার মধ্যে কী পার্থক্য দেখতে পায়? ঐ মোল্লাটি চিৎকার করেছে: ‘ফারখুনদার মৃত্যু!’ এবং বোজর সোবির চিৎকার করেছে: ‘আফগানিস্তানের মৃত্যু!’ যেই আফগানিস্তান এই অবস্থায় এসেছে ক্রেমলিনের কারণে [১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক আফগানিস্তান আক্রমণ করার একটি উদ্ধৃতি], যেই একই ক্রেমলিন যাকে বোজর সোবির এখন প্রশংসা করছে।