- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ইন্টারনেট ব্যবহার কম হওয়া সত্ত্বেও বুরুন্ডিতে ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপ অবরুদ্ধ

বিষয়বস্তু: বুরুন্ডি, অ্যাক্টিভিজম, নাগরিক মাধ্যম, প্রযুক্তি, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, জিভি এডভোকেসী
La maison de la presse: lieu de la formation

লা মাইসন ডি লা প্রেসেঃ পরিবর্তে ডি লা গঠন। ছবিঃ চারলোট নবলেট, সিসি বাই-এনসি-এসএ ২.০

বুরুন্ডির ১০ দশমিক ২ মিলিয়ন বাসিন্দাদের মধ্যে শতকরা ২ শতাংশেরও কম জনগণ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তবে ব্যবহারকারী এত কম হলেও কঠোর অবস্থান নেয়া থেকে সরকারকে বিরত রাখা যায়নি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রচন্ড বিক্ষোভের মাঝেও এ সপ্তাহে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ভাইবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে [1] – দক্ষিন-পূর্ব আফ্রিকান দেশগুলোতে – প্রধান টেলিকম কোম্পানিগুলো অন্তত তাই করেছে।

ক্ষমতাসীন দলের পিয়েরে কুরুনজিজা তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট মনোনীত হওয়ার পর গত সপ্তাহে রাজধানী বুজুম্বুরাতে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন শুরু হয়েছে [2]প্রতিবেদন অনুযায়ী [2], এই বিক্ষোভের জবাবে রাজধানী শহরটিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রাইভেট রেডিও স্টেশনের [3]টেলিফোন লাইনগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। গত মাসে ২৪ হাজারেরও বেশি সংখ্যক লোক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

শুধুমাত্র ২ লক্ষ বা এই সংখ্যক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের একটি দেশে ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো আলাপচারীতার জন্য ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্মগুলোকে কেন সেন্সরের বিড়ম্বনায় পড়তে হবে? মূলত প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবহারের উদ্দেশ্যই এজন্য দায়ীঃ দ্রুত এবং ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করতে প্রতিবাদকারীরা এই দুইটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছেন। ২০১১ সালে মিসরের গণজাগরণের সময়ে যেমন টুইটার এবং ব্যাকবেরি ম্যাসেঞ্জার ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তেমনি বুরুন্ডিয়ানরাও জনপ্রিয় সব মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনের দিকে ঝুঁকেছিলেন, কিন্তু সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হল।

এই নির্দিস্ট প্ল্যাটফর্ম দুইটি প্রথম বারের মতো অবরোধ করা হলেও বুরুন্ডিতে বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নতুন কিছু নয়। দেশটির সরকার ২০১৩ সালে নিয়ন্ত্রণমূলক প্রেস আইন [4] বাস্তবায়ন করে। এই আইনের অধীনে দেশটির সাংবাদিকদের সরকারের কাছে আস্থাভাজন হিসেবে বিবেচিত হতে হবে এবং কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে তাদের গোপনীয় তথ্যের সূত্র প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া “সুষম” প্রতিবেদন তৈরি করতে সাংবাদিকদের উপর কঠোর প্রচারসূচী নিয়ন্ত্রণ আইন আরোপ করা হবে। এই আইনে প্রচার পূর্ব সেন্সরশিপও অনুমোদন দেয়া হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু প্রকাশনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং আইন অমান্যকারী সম্পাদক এবং সাংবাদিকদের উপর বিপুল অর্থের জরিমানা ধার্য করা হবে। বর্তমানে বুরুন্ডি সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং প্রচার মাধ্যম আইনগত প্রতিরক্ষা উদ্যোগের কাছ থেকে এটি ব্যাপক আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।

দুর্ভাগ্যবশত, বুরুন্ডিতে সর্বশেষ যে সেন্সরশিপ চালানো হয়েছে, তা বিভিন্ন মহাদেশে সেন্সরশিপ চালানোর একটি বড় প্রবণতার অংশে পরিণত হতে পারে। ইথিওপিয়া যেখানে ভিন্নমতাবলম্বিদের শ্বাসরোধ করতে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ব্যবহার [5] চালিয়ে যাচ্ছে, তানজানিয়া সেখানে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত কঠোর একটি আইন [6]পাস করেছে মাত্র। সম্প্রতি বিবিসিকে প্রশ্ন করতে [7]প্ররোচিত করা হয়েছেঃ “আফ্রিকা কি সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এবং মানবাধিকার রক্ষা করতে পারবে?”। আর তাই কেনিয়া [8] থেকে সাউথ আফ্রিকা পর্যন্ত সাইবার অপরাধ সম্পর্কে “কিছু করার” দাবী উঠেছে।

যদিও উত্তর দেখা এখনও বাকি রয়েছে। তাই আমাদের আফ্রিকান পাঠকদের আমরা ইলেক্ট্রনিক সীমান্ত ফাউন্ডেশনের নজরদারী আত্মরক্ষা [9]গাইডটিতে ভিজিট করার পরামর্শ দিচ্ছি। এটি এমন একটি গাইড, যা আপনার অনলাইন যোগাযোগকে রক্ষা করবে – ফরাসি [10] এবং আরবি [11]সহ বিভিন্ন ভাষায়, এখন এটি পাওয়া যাচ্ছে।

এই পোস্টের একটি সংস্করণ [12]ইলেক্ট্রনিক সীমান্ত ফাউন্ডেশন এর ডিপলিংক ব্লগে প্রথম প্রকাশিত হয়েছে।