টুইট করার অপরাধে মানবাধিকার রক্ষা কর্মী নাবিল রজবের ছয় মাসের কারাদণ্ড বহাল রাখল বাহরাইনি আদালত

Nabeel Rajab. Photo by Conor McCabe via Wikimedia (CC BY-SA 2.0)

নাবিল রজব। ছবিঃ উইকিমিডিয়ার মাধ্যমে কনর ম্যাককেইব (সিসি বাই-এসএ ২.০)

বাহরাইনের একটি আদালত আজ মানবাধিকার রক্ষা কর্মী নাবিল রজবের বিরুদ্ধে জারিকৃত ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে। তিনি টুইটারে আইএসআইএস সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর সেই মন্তব্যের কারনে এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল।

ইতিমধ্যেই বাহরাইন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর অন্যান্য টুইটগুলোও তদন্তাধীন। তাই তিনি আরও দীর্ঘায়িত কারাদন্ড ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

রজবের টুইটার অ্যাকাউন্টে ২৬১,০০০ জন অনুসরণকারী রয়েছেন। বর্তমানে তাঁর একজন বন্ধু অ্যাকাউন্টটি চালাচ্ছেন। রজব যে টুইটের কারনে অভিযুক্ত হয়েছেন, তাঁর সেই বন্ধু সেটি পুনরায় টুইট করে ঘোষণা দিয়েছেন:

ব্রেকিং: বাহরাইনের আপীল আদালত একটি টুইট সম্পর্কিত অভিযোগে নাবিল রজবের ছয় মাসের কারাদণ্ড বহাল রেখেছন।

রজবের বিরুদ্ধে নেয়া আইনগত ব্যবস্থাগুলোর এটি সর্বশেষ পদক্ষেপ, যাকে প্রথমে টুইটে “সরকারী কর্তৃপক্ষকে অপমানকারী” বলে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেই টুইটে বাহরাইনি নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তিনি আইএসআইএস যোদ্ধাদের জন্য প্রজনন ক্ষেত্র বা একটি “ইনকিউবেটর” এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। সেই টুইটে তিনি বলেছেন, বাহরাইনের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের একটি সংখ্যা আইএসআইএস এর মতো সন্ত্রাসী দলগুলোতে যোগ দিয়েছেন।

রজব হলেন বাহরাইন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান – আইনি সত্তা হিসেবে যদিও সরকারের কাছে স্বীকৃত নয় – “সরকারি আদেশ ব্যাহত” করার অপরাধে দুই বছর কারা ভোগের পর সবেমাত্র ২০১৪ সালের মে মাসে কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। ২০১১ সালে বাহরাইনের জনপ্রিয় বিপ্লব চলাকালে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তের চেষ্টা করার জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপরই তাঁকে ঐ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

গত ২ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে রজবকে তাঁর বনী জামড়ার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাহরাইনের য কারাগারে বন্দীদের কল্যাণ এবং সেই সাথে মার্চের শেষ থেকে ইয়েমেন বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট কর্তৃক চলানো বিমান হামলা সম্পর্কিত খবর বিষয়ে টুইটের জন্য তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .