আসুন জাতিসংঘ মহাসচিব নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এক পরিবর্তন সাধন করি

Who is Ban Ki-Moon answerable too? Wikipedia image.

বান কি মুন কাকে উত্তর প্রদান করছে? উইকিমিডিয়ার ছবি

পৃথবীর বিভিন্ন সমস্যা এবং শত কোটি মানুষের জীবনের মান উন্নয়নে জাতিসংঘের মহাসচিব এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর তাই এই কাজের জন্য সেরা ব্যক্তিটিকে বেছে নেওয়া জরুরী। কিন্তু আপনি কি জানেন এই নির্বাচন প্রক্রিয়া গোপনীয় এবং সেকেলে? মাত্র পাঁচটি রাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে ক্ষমতা রাখে যা আমাদের সবাইকে প্রভাবিত করে।

জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচন আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্বচ্ছ এক প্রক্রিয়ায় যাতে সম্পন্ন হয়, তার জন্য এক অনলাইন প্রচারণা ব্যক্তি এবং বিভিন্ন সংগঠনের কাছে দাবী জানাচ্ছে, উল্লেখ্য যে আগামীতে জাতিসংঘের নতুন যিনি মহাসচিব হতে যাচ্ছেন তিনি ২০১৬ সালে তার দায়িত্ব ভার গ্রহণ করবেন। এই ভিডিওতে উক্ত প্রচারণার সংগঠকেরা ব্যাখ্যা করছে কেন এই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন প্রয়োজন :

বলা হয়ে থাকে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাজ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল এক পেশা। একই সাথে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বটে।

‘সাতশ কোটি মানুষের জন্য একজন’ নামক প্রচারণার অনুষ্ঠানিক পরিচালনা পর্ষদে অর্ন্তভুক্ত রয়েছে:

তারা যুক্তি প্রদর্শন করছে যে পরবর্তী জাতিসংঘ মহাসচিবের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে হবে এভাবে:

  • সম্ভাব্য সেরা প্রার্থীকে যেন বেছে নেওয়া সম্ভব হয়, সে বিষয়ের প্রতি মনোযোগ প্রদান করতে হবে
  • সময়মত এবং কাঠামোগত পদ্ধতিতে তা সম্পন্ন হতে হবে
  • প্রথাগত এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে তাঁকে নির্বাচিত করতে হবে
  • লিঙ্গয় সমতাকে তুলে ধরা এবং সাম্য ও বৈচিত্র্যময়ভাবে সেরা বিষয়গুলো যাতে সে অনুশীলন করতে পারে সেই ভাবে পরিকল্পনা করতে হবে।
  • জতিসংঘের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের কাছে এই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে
  • সুশীল সমাজ, সাধারণ নাগরিক এবং প্রচার মাধ্যমের কাছে এই প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করে তুলতে হবে
  • জাতিসংঘের সাধারণ সভার সকল সদস্যর এতে অর্ন্তভুক্ত করতে হবে এবং সুশীল সমাজ যাতে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া খানিকটা অবদান রাখতে পারে তার জন্য এটিকে উন্মুক্ত রাখতে হবে

এই প্রচারণায় ২৭ এপ্রিল তারিখে একটি থান্ডারক্লাপ প্রচারণা যুক্ত করা হয়, যখন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে এক বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় প্রায়, বিশ্বের প্রায় ১৩ লক্ষ দর্শক যে বিতর্ক দেখেছে।

আজকের এই বিতর্কে আমাদের দশটি সংস্কার প্রস্তাবনার প্রতি এত সমর্থন দেখে দারুণ লাগছে।

1 for 7 billion campaign thunderclap for April 27 debate

২৭ এপ্রিলের বিতর্কে ৭০০ কোটির জন্য একজন নামক প্রচারণার থান্ডারক্লাপ।

এই সংগঠনের টুইটার একাউন্ট গর্বের সাথে দেখছে যে তার কয়েকটি প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখেছে :

এই প্রচারণার ওয়েবসাইটে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের এক তালিকায় রয়েছে, যা উক্ত প্রার্থীদের সরকার অথবা সংবাদ মাধ্যম প্রদান করেছে।

যাদের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত রয়েছে বেশ কয়েকজন নারী যেমন বুলগেরিয়ার ইরিনা বোকোভা, যিনি ইউনেস্কোর বর্তমান মহাপরিচালক, চিলির রাষ্ট্রপতি মিশেল ব্যাসলেট, যিনি এক সময় ইউএন ওমেন নামক সংস্থার প্রধান ছিলেন, এবং নাইজেরিয়ার প্রার্থী আমিনা মোহাম্মদ, যিনি ২০১৫ সালের জাতিসংঘ মহাপরিচালকের উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং অন্যান্য বিষয়ে উপদেষ্টা পদে রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের মহাসচিব পদে কোন নারী নির্বাচিত হয়নি।

এই প্রচারণার নীতিমালার কর্মপন্থা (প্লাটফর্ম) ছয়টি ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে ইংরেজি, আরবী, স্প্যানিশ, চীনা, ফরাসী এবং রাশিয়ান।

কিছু কিছু টুইটার ব্যবহারকারী ইতোমধ্যে এই বিষয়ে তাদের চিন্তা প্রকাশ করেছে, যা এই বিতর্কে বিভিন্ন দেশের অবস্থান তুলে ধরছেঃ

পরবর্তী জাতিসংঘ মহাসচিবকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং ২০১৫ পরবর্তী ঘটনাবলী মোকাবেলার মত যোগ্য হতে হবে

নির্বাচন এবং ভোট প্রদান এই নির্বাচনী নির্দেশাবলী দুর্বল করে না, বরঞ্চ একে শক্তিশালী করে।

কিউবা- এই বিষয়ে যথাযথ কার্যাবলী তৈরীতে ব্যর্থ হওয়ার মধ্যে দিয়ে আমরা কি বলছি না যে জাতিসংঘ মহাসচিব নির্বাচন কেবল নিরাপত্তা পরিষদের নিজস্ব বিষয়

ইন্দোনেশিয়া- নিরাপত্তা পরিষদের উচিত একের অধিক প্রার্থীর নাম সুপারিশ করা এবং এতে ভোটের ব্যবস্থা থাকা উচিত নয়, রাজনৈতিক সচিচ্ছার জন্য দরকার সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যে এক আলোচনার

এই প্রচারণার ওয়েবসাইটে স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে, জাতিসংঘ মহাসচিব পদে সেরা জনকে খুঁজে বের কর (#ফাইন্ডদিবেস্টইউএনলিডার) নামক হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে টুইটারে এবং ডি হ্যান্ডেল-এ সাতশ কোটির জন্য একজন( @১ ফর ৭ বিলিয়ন)-এর মাধ্যমে আপনি তাদের এই প্রচারণাকে অনুসরণ করতে পারেন।

* থান্ডারক্লাপ হচ্ছে একটি ক্রাউড স্পিকিং টুল যা একদল শ্রোতার কাছে ঘোষণা, কারণ এবং প্রচারণা তুলে ধরার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .