আজ সকালে সৌদি আরব এবং তাঁর মিত্রশক্তি ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহী দলের উপর বিমান হামলা চালিয়েছে। ইয়মেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ হামলায় সর্বমোট ১৮ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং ২৪ জন লোক আহত হয়েছেন।
বাহারাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আরিমাত, কুয়েত, সুদান, মরক্কো, পাকিস্তান, মিশর এবং জর্ডান এই দশ জাতির জোট ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহী দলের উপর বিমান হামলা শুরু করেছে। হুথি বিদ্রোহী দলটি গত জানুয়ারি মাসে ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়। অপারেশন ডিসিসিভ স্টর্ম নামের এই বিমান হামলা মূলত সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ররের মদদেই করা হচ্ছে।
রাজধানী সানায় এই ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের ব্যাপারে ইয়েমেনিরা সোচ্চার হয়ে উঠলে টুইটারে বিষয়টি আলোচনায় আসে। রাত ২ টার ঠিক পড়েই প্রথম আক্রমণটি শুরু হয়।
ইয়েমেনের হালনাগাদ টুইটগুলোঃ
Ministry of Health: 18 civilian people were killed and 24 others were wounded in the #Saudi assault on #Sanaa, via SabaNews. #Yemen
— Yemen Updates (@yemen_updates) March 26, 2015
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ঃ সাবানিউজ জানিয়েছে, সানায় সৌদি পরিচালিত হামলায় সর্বমোট ১৮ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং ২৪ জন লোক আহত হয়েছেন।
ইয়েমেনি রাজনৈতিক কর্মী আমার আল-আলাকি টুইট করে জানিয়েছেন যে ভোর ৬ টা ৯ মিনিটে পুনরায় হামলা শুরু হলে অনেক পরিবার সানা থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলঃ
Heavy traffic on roads leading out of Sanaa, whole families are fleeing today. — Ammar Al-Aulaqi (@ammar82) March 26, 2015
আজ অনেকে সপরিবারে সানা থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন, তাই সানা থেকে বের হওয়ার রাস্তাগুলোতে প্রচন্ড যানজটের সৃষ্টি হয়।
আমার আল-আলাকির মতো অনেক টুইটার ব্যবহারকারি হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িঘরের ছবি শেয়ার করেছেন। সানার উত্তরাঞ্চলের আশেপাশের বেশ কয়েকটি বেসামরিক এলাকাও এ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
more casualties of saudi/US war on yemen. reports of many causalities on a neighbour hood north of sanaa. pic.twitter.com/kXMWzYzV26 — Hussain Albukhaiti (@HussainBukhaiti) March 26, 2015
ইয়েমেনে সৌদি অথবা মার্কিন হামলায় আরও প্রাণহানির ঘটনা। উত্তর সানার আশেপাশের বিভিন্ন এলাকাতে অনেক প্রাণহানির খবর জানানো হয়েছে।
the destroyed homes in sanaa that was targeted by Saudi/US lead war against yemen. pic.twitter.com/BahBx8DJo4 — Hussain Albukhaiti (@HussainBukhaiti) March 26, 2015
ইয়েমেনে সৌদি অথবা মার্কিন নেতৃত্বে হামলার শিকার সানাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ি।
in this neighbourhood north of sanaa many women and children were killed. pic.twitter.com/O1ZoxjVhkP — Hussain Albukhaiti (@HussainBukhaiti) March 26, 2015
উত্তর সানার আশেপাশের এলাকাগুলোতে অনেক নারী এবং শিশু মারা গেছেন।
ইয়েমেনি সাংবাদিক নাসের আরাবি হামলায় বেসামরিক ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়া সম্পর্কেও টুইট করেছেন।
Civilian houses and cars nearby Yemen Sanaa airport destroyed by Saudi bombing this morning. pic.twitter.com/GAHtadvjZF — Nasser Arrabyee (@narrabyee) March 26, 2015
আজ সকালের সৌদি বোমা হামলায় ইয়েমেনের সানা শহরে অবস্থিত বিমান বন্দরের কাছাকাছি থাকা বেসামরিক বাড়িঘর এবং গাড়িগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে।
ইয়েমেনি ব্লগার এবং সক্রিয় কর্মী আফরাহ নাসের টুইট করে এডেনের বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সেখানে সড়কগুলোতে রক্তাক্ত যুদ্ধ চলছে এবং বেশ কয়েকটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
.@lina22980 in #Aden tweets: a street war now in #Aden. Killed bodies lying on the ground down the streets. #Yemen
— Afrah Nasser (@Afrahnasser) March 26, 2015
এডেন থেকে @লিনা২২৯৮০ টুইট করেছেনঃ এডেনের সড়কে এখন যুদ্ধ চলছে। মৃতদেহগুলো সড়কের উপর পড়ে আছে।
তিনি সেখানকার মানবতা সংকটের উপরও গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, যেহেতু ইয়েমেনে বর্তমানে ১৫.৯ লক্ষেরও বেশি সংখ্যক মানুষের কোন না কোন ধরনের মানবিক সহযোগিতা প্রয়োজন, তাই এই হামলার পর পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
15.9 ml ppl – 8% more than last year – currently require some kind of humanitarian assistance in Yemen. http://t.co/VO6ISZVnAc — Afrah Nasser (@Afrahnasser) March 26, 2015
১৫.৯ লক্ষ লোক – গত বছরের চেয়ে এই সংখ্যা শতকরা ৮ ভাগের চেয়েও বেশি – ইয়েমেনে বর্তমানে এত সংখ্যক লোকের কোন না কোন ধরনের মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন।
The real tragedy would be the disastrous humanitarian situation. Starvation & lack of basic services would lead to more violence #Yemen
— Afrah Nasser (@Afrahnasser) March 26, 2015
মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতিই হবে এই অঞ্চলের প্রকৃত মর্মান্তিক ঘটনা। দুর্ভিক্ষ এবং মৌলিক সেবা পাওয়ার অভাবে ইয়েমেনে আরও বেশি সহিংসতা ঘটবে।
হিশাম আল-ওমেইসির টুইটে অবশেষে প্রকৃত বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। যুদ্ধ চলাকালীন বিশেষ করে, বিমান হামলার সময়ে বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষিত রাখতে এই স্থানগুলোতে কোন স্থাপনা নেই। যার কারনে বেসামরিক লোকের মৃত্যুর এবং হতাহতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
No bomb shelters, safehavens in Sana'a whatsoever..we never expected airstrikes/bombardment nor are prepared to deal with it.. #Yemen — Hisham Al-Omeisy (@omeisy) March 26, 2015
সানাতে বোমা হামলা থেকে বাঁচার কোন আশ্রয় কেন্দ্র বা নিরাপদ পোতাশ্রয় নেই, কেননা আমাদের উপর কখনও কোন বিমান হামলা অথবা বোমা হামলা হবে তা আমরা আশা করিনি। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কেও আমরা প্রস্তুত ছিলাম না…
ইয়েমেনের আরও খবর জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।