পৃথিবীব্যাপী সংঘাত ও বিদ্বেষের মূলে ছিল অন্যান্য জাতীয়তা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বৈষম্য।
এটা বলে, আমরা কি আসলে জানি যে কিভাবে বর্ণবৈষম্য শুরু হয় এবং আমরা কিভাবে এর বিস্তৃতি রোধ করতে পারি? বর্ণবাদী বক্তব্যের প্রাক্তন সমর্থকদের নীচের এই অনুপ্রেরণামূলক স্বীকারোক্তি এই প্রশ্নের উত্তরে আমাদেরকে কিছুটা ধারণা দিতে পারে।
টুইটার ব্যবহারকারী @New-OC-MAN স্বীকারোক্তি করেছে যে তার একাকীত্ব, এবং তার বিচ্ছিন্নতা কাটাতে এক ধরনের আয়েস পাবার আকাঙ্খা থেকে আসলে সে একসময় জাপানের অনলাইন নেটো-ইউয়োকু (ネット右翼) আন্দোলনের অংশ হিসেবে চায়না ও দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কে বর্ণবাদমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে বাধ্য করছে। নেটো-ইউয়োকু হলো ইন্টারনেট মন্তব্যকারী যারা অতি ডানপন্থী ও বর্ণবাদমূলক মতামতের সমর্থন ও প্রসার করে।
実家でTVの音声聞いてるとほんとに「外国人が日本を褒めまくる」番組増えてるなあと感じる。これ、個人的に怖いなと思っている。なぜなら私が引きこもり時代ネトウヨになりかけたきっかけが、こういう「日本大好き外国人まとめ」みたいなサイトを読み漁ることだったから。(続
— 新しきOC-MAN (@tori7810) October 5, 2014
続き)そうやって日本凄い日本素敵なまとめサイトを見続けるうちに、自然とリンクを辿って中韓叩きが多く取り上げられているまとめサイトに行き着いた。すでに日本スゴイエライモードになっていたので、そこに書かれている中国や韓国の悪印象のあるエピソードを素直に信じてしまった。(続く
— 新しきOC-MAN (@tori7810) October 5, 2014
আমি যখন ঘরে টিভি দেখি, তখন আমার ধারণা হয় যে জাপানের উপর বিদেশীদের প্রশংসা বর্ষণ হয় এ ধরনের অনুষ্ঠান উত্তরোত্তর জনপ্রিয় হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটিকে ভীতিজনক মনে করি কারণ আমি যখন হিকিকোমোরি [সামাজিক জীবন থেকে গভীরভাবে প্রত্যাহার করা] ছিলাম তখন আমি এই ওয়েবসাইটগুলোর প্রচুর লেখা পড়েছি, যেখানে জাপানের প্রতি মুক্তহস্তে প্রশংসা করা হয়েছে, এবং এটিই আমাকে প্রায় একজন নেটো-ইউয়োকু [একজন ইন্টারনেট মন্তব্যকারী যে অতি ডানপন্থী ও বর্ণবাদী মতবাদ সমর্থন ও প্রসার করে] বানিয়ে ফেলেছিল…
প্রায় দশ বছর আগে আমি যখন হিকিকোমোরি ছিলাম এবং অবসাদে ভুগছিলাম, আমি তখন শুধুমাত্র সেই ওয়েবসাইটগুলোই পড়তাম যেগুলোতে জাপানের প্রতি বিদেশীদের প্রশংসার সংকলন করা হতো এবং আমার মনে হতো যে আমি এগুলো দ্বারা বেশ তৃপ্তি পেতাম। সে সময়ে আমি ভেবেছিলাম, আমি সমাজের প্রতিটি বিষয় থেকে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত রেখেছি। একমাত্র একটি জিনিসই রয়ে গেছে তা হলো আমি একজন ‘জাপানী'।
সুতরাং, আমি যখন লোককে জাপানের প্রতি তাদের ভালবাসাকে ব্যক্ত করতে দেখলাম তখন আমার মনে হলো তারা আমাকেও ভালবাসে…
…আমি ঐ ওযেবসাইটগুলো পরিদর্শন করার অভ্যেস অব্যাহত রাখলে তাদের লিংক এবং প্রসঙ্গগুলো আমাকে প্রায়শই অন্যান্য ওয়েবসাইটে নিয়ে যেত যেখানে চীন ও কোরিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রচুর সংখ্যায় বর্ণবাদমূলক মন্তব্য আমি দেখেছি। ততক্ষণে আমি ‘জাপান মহৎ!’ এই মতবাদের একজন উৎসুক বিশ্বাসী হয়ে গেছি, সুতরাং ঐ দুই দেশ সম্পর্কে করা নেতিবাচক মন্তব্যগুলোকে সত্য বলে আমি খুব সহজেই মেনে নিতাম।
সৌভাগ্যক্রমে, @New-OC-MAN অবশেষে নিজে নিজেই অনুধাবন করতে সক্ষম হয় যে এই মন্তব্যগুলো সত্যি ছিল না।
続き)そういったサイトに書かれている事がおかしいと思うようになったきっかけは、コメント欄での女叩きの酷さ。情けない話だけど、外国や外国人が叩かれている時は気にならなかったのに、自分と同じ女という属性が叩かれているのを読んで、やっとその行為の酷さと非論理的な部分に気付いた。(続く
— 新しきOC-MAN (@tori7810) October 5, 2014
এই মন্তব্যগুলোকে সন্দেহ করায় যে বিষয়টি আমাকে বাধ্য করেছে তা হলো এগুলো নারীদের প্রতি খুবই জঘন্য ছিল। আমি বলতে লজ্জিত হচ্ছি যে যতক্ষণ পর্যন্ত এই বৈষম্যমূলক মন্তব্যগুলো বিদেশী ব্যক্তি বা দেশের প্রতি ছোড়া হতো ততক্ষণ আমার কোন অসুবিধা ছিল না, কিন্তু যখন এগুলো ঘুরে নারীর প্রতি গেল, যেখানে আমি নিজে একজন নারী, তখন আমি চুড়ান্তভাবে তাদের তর্কের অর্থহীনতা ও কদার্যতা অনুধাবন করলাম…
সুকুশি কাওয়াই-এর ব্লগের লেখা অনুযায়ী এটি তার একাকীত্ব থেকে মুক্তি পাবার একটি উপায় ছাড়াও অন্যের কাছে নেই এমন তথ্য বিনিময় করাও তার জন্য একটি আমোদ ছিল, যার কারণেই সে এই বৈষম্যমূলক আলোচনায় জড়িত হতে বাধ্য হয়েছে।
さみしかったわけだ。暇だったのもある。だからネットに熱中した。当時はやり始めていたまとめサイト。あれを読むとね、学校やテレビでは「得られない情報」に触れることができたんだと当時は思った。そしてそういう情報を見知らぬ「誰か」だったとしても、共有できるのはうれしかったな。しかも天下国家を論じる話ばかりだ。自分が偉くなった気がしたね。
[中略]
あの当時の自分は、韓国の人を馬鹿にした、あるいはもっと酷い言葉でののしられた文章を見てもなんとも思わなかった。単に罵られている側の人を知らなかったからかもしれんが…自分と違う世界に住む人が何を言われようが、正直どうでもよかったんだと思う。
আমি একাকী ছিলাম এবং সে সময় আমার কিছু করার ছিল না। সুতরাং আমি ইন্টারনেটে প্রচুর সময় ব্যয় করতাম। এটা ছিল শুধুমাত্র ‘সংকলিত’ একই ধরনের সংবাদ সংগ্রহকারী ওয়েবসাইট যেগুলো তখন জাপানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল। বৈষম্যের উপর আলোকপাত করে এমন ওয়েবসাইট পড়ার পর, আমার কাছে খুব মহান লাগছিল কারণ আমার মনে হয়েছিল যে আমি প্রচুর জ্ঞান অর্জন করেছি যেগুলো তারা বিদ্যালয়ে শিক্ষা দেয় না এমনকি এগুলো টিভি দেখেও আপনি জানতে পারবেন না।
আমি খুবই খুশী ছিলাম কারণ আমি ‘কাউকে’ জ্ঞান বিতরণ করছিলাম, যাকে আমি কখনও সামনাসামনি দেখিনি। আমরা যে বিষয় আলোচনা করছিলাম সেগুলো প্রায়শই বিশ্বকে কিভাবে সঠিক পথে আনা যায় তার উপর ছিল।
সুতরাং, আমার মনে হয়েছিল যে আমি গুরুত্বপূর্ণ একজন…যখন দেখলাম এই মন্তব্যগুলো কোরিয়দেরকে নিয়ে মজা বা তার থেকে খারাপ কিছু করছে তখন সেগুলো মোটেই আমার গায়ে লাগতো না। হতে পারে, আমি কোরিয়া ও কোরিয়দের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না…
যাই হোক না কেন, তারা আমার থেকে ভিন্ন জগতে বাস করতো এবং সত্যি বলতে আমার কাছে এটা আদৌ কোন ব্যাপারই ছিল না।
সুকুশি বলেন বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে পরিচিত হওয়া এবং বই পড়ার মাধ্যমে প্রকৃত ও আন্তরিক মানুষদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা পরিশেষে তার এই বর্ণবাদমূলক মতামত দূর করতে সাহায্য করেছে।
俺がネトウヨを辞めた理由は、3つある。
一つは、一応大学に入れてもらって…今度こそ友達を作ろうとして、いろいろと自分なりに努力したから。
[中略]
見知らぬ人と情報を共有してさみしさを紛らわせる必要もなかった。
二つ目は、たくさん本を読んだからネトウヨ的な考え方がばかばかしく思えるようになったこと。 ネトウヨ時代に見聞きした、愛国サイト、いかがわしい書き込み、そして「保守本」(日本は素晴らしいからこの国を愛そうみたいな)とは違う種類の本を読んだ。自分が特に熱中したのは、昭和維新の生き残りの人の本とプロレタリア文学の人の本だ。詳しくは触れないけど…あの人たちの本には「なぜ自分がこの国を愛そうとおもったのか」とか「なぜ自分が貧しい人々を救いたいのか」が明確に書かれた。昭和維新の生き残りの方でいうならば、軍人として戦場で戦った経験、貧しい部下の新兵の家庭の事情を知ったこと…とかかな。プロレタリア文学ならば、自分が労働者として実際に働いた経験、そこで見聞きした経験なんかが克明に描いてあった。そういう経験を踏んだうえで、今の世の中は間違っている、だから正さなきゃならないんだ…とちゃんと書いてあった。
আমি কেন নেটো-ইউয়োকু হওয়া ছেড়ে দিলাম তার তিনটি কারণ ছিল।
প্রথমত আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম এবং এইবার আমি সেখান বন্ধু বানানোর সত্যিকারের চেষ্টা করলাম…তারপর আমি চিনি না এমন কারো সাথে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমার মতামত বিনিময় করে আমার একাকীত্বকে সান্তনা দেবার কোন প্রয়োজনীয়তা আমি আর অনুভব করলাম না।
দ্বিতীয় কারণ ছিল বই। অনেকগুলো বই পড়ার পর নেটো-ইউয়োকু মতামতগুলো যে একেবারে অযৌক্তিক তা আমি দেখতে শুরু করলাম। আমি নেটো-ইউয়ো থাকার সময় পড়তে অভ্যস্ত ছিলাম তেমন সাধারণ বা অযৌক্তিক যুক্তির মাধ্যমে জাতীয়তার উদ্রেক করা সাধারণ বই থেকে ভিন্ন ঘরানার বই পড়লাম।
আমি যে বইগুলো পড়লাম তার মধ্যে শোওয়া ইশিন-এর বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের প্রচুর লেখা ছিল এবং আর ছিল সর্বহারা সাহিত্য থেকে। আমি বিস্তারিত কিছু বলবো না, কিন্তু সেখানে পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করা ছিল কেন তারা এই জাতিকে ভালবেসেছে বা কেন তারা দরিদ্রদেরকে সাহায্য করতে চেয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, শোওয়া ইশিন এর বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের লেখা বইগুলোতে তারা সৈনিক হিসেবে যুদ্ধ ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছে, সেই সাথে সাথে তাদের অধীনে থাকা নতুন সৈনিকদের পরিবারগুলো যে চরম দারিদ্রের সম্মুখীন হতে বাধ্য হয়েছে তাও বর্ণনা করেছে।
সর্বহারা সাহিত্য থেকে লেখকরা নিজেরা যে কর্ম পরিবেশের মধ্যে থেকে কাজ করছে এবং তারা সেখানে কী দেখেছে ও কী শুনেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে তারা একটি পরিষ্কার ও বৈধ যুক্ত তুলে ধরেছে, যে জগতে তারা বাস করছে তা সঠিক নেই এবং এটিকে সঠিক করতে হবে।
সুকুশি জানিয়েছে যে অবশেষে তার একধরনের বিশোধনবোধের অভিজ্ঞতা হয়েছে:
[中略]
そしてもう一つ…。それは俺が障害者施設にかかわり始めたこと。
[中略]
見た目は、涎を垂らしているような人でも、何度も話すうちにこの人にも趣味があるんだなーとか、家族がいるんだよなーとか…そういうことを思うようになった。結局ね、見た目は違っても、あるいはできることが違っても、人間ってのはどこかしら似たようなものなのだと…なんとなくだけど気づけた。
এবং শেষটি ছিল যে আমি প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি দিবা যত্ন কেন্দ্রের সাথে জড়িয়ে গিয়েছিলাম…
উদাহরণস্বরূপ, বেশ কয়েকবারই অনবরত লালা ঝরছিল এরকম একজনের সাথে কথা বলে সেখানে আমি আবিষ্কার করলাম, যে তারও আসলে শখ আছে বা তার একটি স্নেহময়ী পরিবার আছে। পরিশেষে, আমি উপলব্ধি করলাম যে আমাদের বাহ্যতা ও সক্ষমতা বা প্রতিবন্ধিতার ভিন্নতা নিয়েও আমরা প্রকৃতিতে একই রকম।