কয়েক বছরের বিরোধীতা শেষে নিনটেনডো তাদের গেইমের মোবাইল সংস্করণ বাজারে আনছে

nintendo

নিনটেনডো কন্ট্রোলার। ছবিটি পিক্সাবে থেকে নেয়া হয়েছে।

জাপানের ইলেক্ট্রনিক্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিনটেনডো তাদের জনপ্রিয় গেইমগুলো স্মার্টফোন ও অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।

সপ্তাহখানে আগে নিনটেনডো জাপানি মোবাইল গেইম ডেভলপার প্রতিষ্ঠান ডেনা'র সাথে একটি অংশীদারিত্ব চুক্তির ঘোষণা দেয়। এই চুক্তি অনুসারে ডেনা নিনটেনডোর জনপ্রিয় গেইম ও চরিত্রগুলো দিয়ে নতুন গেইম বানাবে।

অ্যান্ড্রয়েট এবং আইএসও অপারেটিং সিস্টেমের ডিভাইসে গেইম বানানোর কাজে ডেনা'র দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইতোমধ্যে তারা হাজারের উপরের গেইম ডেভলপ করেছে। আশা করা হচ্ছে, তারা ভালোভাবেই নিনটেনডোর গেইমগুলো বাজারে আনতে সফল হবে।

যদিও নিনটেনডো এতোদিন ধরে তাদের গেইম বয়, পরে ডিএস সিরিজের ডিভাইসের জন্য গেইম ডেভলপ করে আসছিল। এমনকি তারা অনেকদিন ধরেই মোবাইল মার্কেটের জন্য গেইম বানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল।

আইটি মিডিয়া নিউজ জাপানের গেইম ও কনজুমার ইলেক্ট্রনিক্স বিষয়ের উপর সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। তারা তাদের একটি লেখায় উল্লেখ করেছে:

 任天堂は、これまで「マリオ」など既存タイトルのスマートフォン向け移植などは否定していた (link)

তবে এখন পর্যন্ত নিনটেনডো মারিও এবং অন্যান্য গেইম স্মার্টফোন এবং মোবাইল ডিভাইসে আনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

জাপানের প্রযুক্তি বিষয়ক জনপ্রিয় লেখক ইউকা ওকাদা আইটি মিডিয়া নিউজে নিয়মিত লিখে থাকেন। এ বিষয়ে তার পর্যবেক্ষণের কথা সেখানে তুলে ধরেছেন:

 任天堂はスマホゲームに本格的に踏み出す(link)

স্মার্টফোনের জন্য নিনটেনডো সত্যিই একটা পদক্ষেপ নিলো।

২০০৬ সালে নিনটেনডো উই হোম কনসোল রিলিজ দিয়ে বিপুল সফলতা পেয়েছিল। তবে ২০১২ সালে তারা যখন নেক্সট জেনারেশন কনসোল উই ইউ রিলিজ দেয়, তখন বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। ফলে ২০১৩ সালে কোম্পানি প্রথমবারের মতো লোকসানের সম্মুখীন হয়। যদিও ২০১৪ সালে তারা লাভের মুখ দেখে।

সারাবিশ্বে স্মার্টফোনের বিক্রি বৃদ্ধি এবং মোবাইলে ডিভাইসগুলোতে গেইম খেলার সুযোগের কারণে নিনটেনডোর ব্যবসা ব্যাপক হ্রাস পায়।

নিপ্পন ডটকম নিয়মিতভাবে জাপানের নানা বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরে সেগুলো ইংরেজিতে ভাষান্তর করা হয়। তাদের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে:

 一方、据え置き型ゲーム機「Wii U」の販売が落ち込んだことも響いて赤字が拡大した (link)

উই ইউ স্ট্যান্ডালন কনসোলের বিক্রি দিন দিন কমছেই। ফলে কোম্পানির লোকসান বাড়ছেই।

এদিকে মোবাইল গেইমগুলো নিনটেনডোর প্রাধান্যকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। ২০১২ সালে রিলিজ হওয়া উই ইউ কনসোলের বেশি দাম সবাইকে হতাশ করে। দামের কারণে অনেক ক্রেতাই মুখ ফিরিয়ে নেন।

 ユーザーはおもしろいソフトを楽しむために、しかたなくハードを買うのだから、ゲームの命綱はソフトにこそある (link)

ক্রেতাদের নিনটেনডোর কনসোল এবং অন্যান্য হার্ডওয়্যার কেনার একমাত্র কারণ হলো, তারা নিনটেনডোর গেইমগুলো খেলতে পছন্দ করেন। এটাই কোম্পানির একমাত্র লাইফ লাইন।

শেষমেশ নিনটেনডো মোবাইল প্রযুক্তির খাতায় নাম লেখাচ্ছে। এর এটাই মানে হয়, নিনটেনডো যুগ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

নিনটেনডো মোবাইল মার্কেটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এটা তাদের ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত। খুবই বাজে ব্যাপার এটি।

তবে নিনটেনডোর প্রেসিডেন্ট সাতোরু আইওয়াটা কনসোল গেমিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। তিনি জানিয়েছেন, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কতোটা জনপ্রিয় হলো সেটা ব্যাপার না। দীর্ঘমেয়াদের সময়ের সাথে সাথে আমরাও সামনে এগোবো। গেমিং মেশিন পুরোপুরি হারিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

যদিও নিনটেনডো প্রেসিডেন্টের আত্মবিশ্বাস নিয়ে সবাই আশাবাদী নন:

নিনটেনডো প্রেসিডেন্ট আইওয়াটা: “নিনটেনডো সবসময়ই জাপানের একশ্রেণির লোকের কাছ থেকে বিরোধীতার সম্মুখীন হয়েছে। তিনি বলেছেন, সবাই যেটা খেলে, তা সবার কাছে মজাদার হতে পারে না। আমরা কঠোর পরিশ্রম করে সাফল্যের ভিন্ন পথ খুঁজে বের করতে চাই।” (*゚∀゚)イイ!

এদিকে অংশীদারিত্বের খবর প্রকাশের পরে কিয়োটোর নিনটেনডো এবং ইয়োকোহামার ডেনা'কে নিয়ে কিছুর মজাদার মিম বানানো হয়েছে।

নিনটেনডো ভিডিও গেইম চরিত্র ম্যারিও জন্য বিখ্যাত। আর ডেনা ইয়োকোহামা বেস্টার বেজবল টিম কিনে বিখ্যাত হয়েছে। আর এই যোগসূত্রেই জাপানের অনলাইন দুনিয়ায় নানা ধরনের মিম তৈরি হচ্ছে:

নিনটেনডো যখন ম্যারিও-কে ডেনা'র কাছে দেয়, এতে মনে হয়, সে ডেনার সাথে কিছু সময় থেকেছে।

এটা বলা যায় যে, কার্লোস পন্স যিনি ইয়োকোহামা তাইয়ো হোয়েলস-এ দীর্ঘদিন খেলেছেন, নিনটেনডোর ম্যারিও চরিত্র তেমনিভাবেই আক্রমণাক্তভঙ্গিতে খেলবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .