
ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন ৫০,০০০ রিয়ালের এক ব্যাংক নোট বাজারে ছেড়েছে, যে নোটের অপরপ্রান্তে রয়েছে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারের ছবি। দেশটির মানচিত্রসহ পরমাণুর প্রতীকের যে ছবি আগের নোটে ছিল, তার বদলে নতুন নোটে এখন এই প্রবেশদ্বারের ছবিটি শোভা পাচ্ছে।
২ মার্চে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি ৫০,০০০ রিয়ালের নোট বাজারে ছেড়েছে, যা কিছু পর্যবেক্ষকের মতে “রাজনৈতিক চাল” বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। নতুন এই নোট ৪ মার্চ, ২০১৫ তারিখে ইরানের তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদের শিক্ষকরা উন্মোচন করেন, যে নোটে ইরানের মানচিত্রের মাঝে আঁকা পরমাণুর প্রতীকের বদলে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ দ্বারের ছবি রয়েছে।
এই মুহূর্তে, সুইজারল্যান্ডের লুজানে বিশ্বের শক্তিধর ছয় জাতির (পি৫+১) সাথে ইরানের নিজের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এই আলোচনায় চুক্তি চূড়ান্ত করার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে মার্চের শেষ দিনটিতে। ইরানের উপর থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কি ভাবে উঠিয়ে নেওয়া হবে সে বিষয়টি ছাড়াও পরমাণবিক এক চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধি করনের বিষয়টিও এই আলোচনায় নির্ধারিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সমাজ বিজ্ঞানী এবং প্রিন্সটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরান সেন্টারের সহযোগী পরিচালক কেভিন হ্যারিস তাঁর টুইটারের পাতায় এই সংবাদটি পোস্ট করেছে :
Iran's Central Bank issues new 50K rial note. Old one had nuclear symbol, new one has Tehran University gates: http://t.co/AM8aN0yhX7
— Kevan Harris (@kevankharris) March 16, 2015
ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন এক ৫০,০০০ রিয়ালের নোট ছেপেছে। পুরোনো নোটে রয়েছে পরমাণুর প্রতীক, আর নতুন নোটে আছে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট।
Yes it is political. The previous 50K bill: http://t.co/pOl2IXB5ZZ
— Kevan Harris (@kevankharris) March 16, 2015
হ্যাঁ বিষয়টি ছিল রাজনৈতিক, এর আগের ৫০,০০০ টাকার নোটটি।
Also replaces a quote from Muhamad with one from Ferdowsi, but I won't go there because the Muhamad quote was pure Iranian nationalism too.
— Kevan Harris (@kevankharris) March 16, 2015
একই সাথে এই নোটে কবি ফেরদৌসির বাণীর বদলে নবী মুহাম্মদের এক বাণী তুলে ধরা হয়েছে, কিন্তু আমি সেদিকে আলোকপাত করতে চাই না, কারণ নবী মুহাম্মদের বাণীও পুরোপুরি ইরান জাতীয়তাবাদের সাথে খাপ খায়।
গ্লোবাল ভয়েসেস-এর সাথে এক আলোচনায়, হ্যারিস ব্যাখ্যা করেছে এই পরিবর্তন হচ্ছে এক সূত্র, যা পাওয়া যায় ১৯৭৯ সালে বিপ্লবের ঠিক পরবর্তী সময়ে ছাপানো এক নোটে:

১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের ঠিক পরে ৫০০ রিয়ালের এক নোট ছাপা হয় যেখানে প্রথম তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ দ্বারের ছবি ছাপানো হয়েছিল। ছবি উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া।
১৯৮১ সাল বা এর পরে মুদ্রিত ইরানের ৫০০ রিয়াল নোটে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশদ্বারের ছবি দেখা গিয়েছিল। কাজে বর্তমানে বাজারে আসা এই নোটটি সেই সময় ছাপা হওয়া নোটের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা একই সাথে বিপ্লবের আদেশ এবং এর সাথে যে সকল বিষয় জড়িত সেসবের ক্ষেত্রে উচ্চতর গবেষণা এবং শিক্ষা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমাদের মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু নিঃসন্দেহে পারমাণবিক শক্তি এবং বিজ্ঞান ও উন্নতির সাথে একে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে একই কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন।