ইন্ডিয়েগোগোতে [1] এক প্রচারণা গাজার প্রতিবন্ধী শিশুদের একমাত্র স্কুল পুনরায় গড়ার জন্য তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছে, যে স্কুল গত গ্রীষ্মকালে [2]ইজরায়েলের তথাকথিত “অপারেশন প্রোটেক্টিভ এজ নামের অভিযানে ধ্বংস হয়ে যায়। গাজার আল শিফায় [3] অবস্থিত সবচেয়ে বড় হাসপাতালের ডাক্তার বাসেল আবু ওয়ার্দা [4] এবং এক মানবতাবাদী কর্মী মোস্তাফা আসি [5] মিলে “সেভ গাজা প্রজেক্ট [6]” গ্রহণ করেছে, যাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এপ্রিলের ১০ তারিখের মধ্যে ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার সংগ্রহ করা। এই লেখা শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার ৯১ শতাংশ অর্জিত হয়েছে, এ পর্যন্ত ৫০০ জন দাতা মিলে ৩১,৭৬৮ মার্কিন ডলার প্রদান করেছে।
গাজা হুইল চেয়ার [7] (#গাজাহুইলচেয়ার) নামক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ডা আবু ওয়ার্দা ব্যাখ্যা করেছেন কি ভাবে এই অনুদান স্কুলের শিশুদের সুবিধা প্রদান করবে:
#Gazawheelchairs [8] Please check , donate and retweet https://t.co/PFXWpx3ZUs [9] pic.twitter.com/IBcQGhTi3i [10]
— Dr.Bassel AbuWarda (@DrBaselAbuwarda) February 21, 2015 [11]
দয়া করে যাচাই করুন, দান করুন এবং এই টুইটটিকে পুনরায় টুইট করুন।
১৯৯২ সালে স্থাপিত গাজা ভিত্তিক এক এনজিও “সোসাইটি ফর ফিজিক্যাল হ্যান্ডিক্যাপ [12]-এর সাথে মিলে এই প্রচারণা পরিচালনা করা হচ্ছে, যা স্থাপন করে একই ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধী একদল তরুণ, যেমনটা তারা ইন্ডিগোগো [6] পাতায় ব্যাখ্যা করেছে। এটি আরো বলছে-এই প্রতিষ্ঠান হচ্ছে গাজার প্রথম এনজিও যা প্রতিবন্ধী তরুণদের নিজেদের সংগঠন স্থাপন এবং সেটির নেতৃত্ব প্রদানের সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে:
“যারা শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী তাদের অধিকার চর্চার শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দি সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল হ্যান্ডিক্যাপ প্রজেক্ট তাদের উৎসাহ, ক্ষমতায়ন এবং সক্রিয় করছে, তাদের লক্ষ্য অর্জনে তারা যাতে সফল হয় এবং সমাজের সাথে তারা যতটা সম্ভব যুক্ত হতে পারে তার জন্য এই প্রতিষ্ঠান চেষ্টা করে যাচ্ছে।
দি সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল হ্যান্ডিক্যাপ পিপল বিশেষ চিকিৎসা সেবা এবং শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে গাজা ভূখণ্ড এবং রাফায় সার্বিক স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসা পূনর্বাসন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, মনস্তাত্বিক-সামাজিক কর্মসূচি ও সেবার ব্যবস্থা করে থাকে, ১১,৬০০-জন যার সুবিধাভোগী, যারা চিরস্থায়ীরূপে শারীরিক প্রতিবন্ধী।
ডা আবু ওয়ার্দা এই প্রচারণার ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি ব্যাখ্যা করেন কি ভাবে এই স্কুল গাজার শত শত প্রতিবন্ধীদের সুবিধা প্রদান করে গেছে।
ইন্দোনেশিয়ার দুই দাতব্য প্রতিষ্ঠান, এক ইসলামি নারী আন্দোলন সংস্থা আখওয়াত বেরগেরাক [13] এবং এসিটি ইন্দোনেশিয়া [14] নামক মানবতাবাদী প্রতিষ্ঠান এই প্রচারণার সমর্থনে এগিয়ে এসেছে।