
আগস্ট ২০১১-এ ত্রিপোলির শিশুরা। ছবি মিতসুয়োগি আইঅয়াসিগের। কপিরাইটস ডেমোটিক্সের।
দি ওয়ার্ল্ডের জন্য তৈরী করা শিরীন জাফারির এই প্রবন্ধ এবং রেডিও প্রতিবেদন মূলত পিআরআই.অর্গে প্রকাশিত হয়েছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে এবং লেখা বিনিময় চুক্তির অধীনে এখানে পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১১ সালের বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে লিবিয়া ছিন্ন বিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, সে সময় হাইফা এল-জাহাউয়ি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের উদ্দেশ্য তার দেশ ত্যাগ করেন।
এখন এই দন্ত চিকিৎসক, এক চাকুরির অনুসন্ধান করছেন। কিন্তু একই সাথে তিনি এক ভিন্ন প্রকল্পে নিজেকে উৎসর্গ করেছেনঃ লিবিয়ায় ফিরে গিয়ে সেখানকার শিশুদের শিক্ষা প্রদান করা।
লিবিয়ায় বিপর্যয়কর নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের অক্টোবর থেকে শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। তখন এল জাহাউয়ি চিন্তা করলেন যদি শিশুরা স্কুলে যেতে সক্ষম না হয়, তাহলে কেন না শ্রেণীকক্ষকে তাদের কাছে এনে হাজির করা হোক? আর এভাবে বেনগাজির স্কাইপি স্কুলের জন্ম।
নিউইয়র্ক থেকে এল-জাহাউয়ি বলেন, “আমরা একটা ব্যক্তিগত একাউন্ট এবং স্কাইপি দিয়ে যাত্রা শুরু করি”। তিনি তার প্রজেক্ট সম্বন্ধে লেখা স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, এতে তিনি লিবিয়ানদের আহ্বান জানিয়েছেন সম্ভব হলে যেন তারা সাহায্য করে। এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি সত্যিকার অর্থ “ব্যাপক এবং ইতিবাচক সাড়া পান”। এমন কি লিবিয়ার এক প্রযুক্তি কোম্পানি তাকে জানায় যে উক্ত কোম্পানি তার এই প্রকল্পে স্পনসর করতে ইচ্ছুক। .
“নিঃসন্দেহে ইন্টারনেট শ্রেণীকক্ষের নিজস্ব কিছু সমস্যা রয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে চালানো ইন্টারনেট সংযোগ এর এক প্রধান বাঁধা, সাথে বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়া, বিশেষ করে লিবীয় নাগরিক সে সমস্যা মোকাবেলা করছে। এল-জাহাউয়ি বলেন “ আমরা যতটা পারি শ্রেণী কক্ষকে সজীব করে রাখার চেষ্টা করি, কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা কারণে… আমরা পাঠগুলো রেকর্ড করা ও সেগুলোকে অনলাইনে পোস্ট করার চেষ্টা করি।
কিন্তু এই সকল সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, এখন পর্যন্ত বেনগাজির স্কাইপি বিদ্যালয়কে সফল বলা যেতে পারে। এল-জাহাউয়ি বলেন, “পরিবারগুলো, তাদের সন্তানরা বাড়ির কাজ করছে এমন ছবি আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। এমনকি সে সময় তারা তাদের বিদ্যালয়ের পোষাক পড়ে ছিল” ।”
এল-জাহাউয়ি বলেন, “এই স্কুলের পেছনে সবচেয়ে যে বড় চিন্তা সেট হচ্ছে লিবিয়ার পরিবার এবং তাদের সন্তানদের মাঝে আশাকে আবার ফিরিয়ে আনা, ‘যা তাদের সত্যিকার অর্থে প্রয়োজন’। সম্প্রতি লিবিয়ায় একদল মানবের শিরশ্ছেদের সংবাদে তিনি উদ্বিগ্ন এবং আশা করেন যে লিবিয়ার শিশুদের শিক্ষা প্রদান উগ্রবাদ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, “আমাদের উচিত আমাদের শিশুদের শিক্ষা প্রদান করা, কেবল শিক্ষার মাধ্যমে আমরা লড়াই করতে পারব”।