ইরাক কি ফেসবুকে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে?

Image source Wikipedia

পোস্টটি শুরুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

ইরাকি বিচার বিভাগীয় মুখপাত্র আবদেল সাতের আল বায়রাকদার গতকাল একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি শেয়ার করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ফেসবুকে কারও বিরুদ্ধে মানহানিকর বিবৃতি দেয়া এবং অপমান করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। আর ফেসবুককে এখন থেকে একটি প্রচার মাধ্যম মঞ্চ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এই বিবৃতি অনুযায়ী, ইরাকি শাস্তি প্রদান বিধির (১৯৬৯ থেকে ১১১ নম্বর) অনুচ্ছেদ ৪ থেকে নতুন এই নীতির সত্যতা প্রতিপাদিত হয়। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মানহানি মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদন্ড এবং সর্বোচ্চ ১০০ দিনার জরিমানা আদায়ের বিধান রয়েছে। দিনারের বর্তমান মূল্য সমন্বয় করে এই জরিমানা অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫ লক্ষ দিনার অর্থাৎ প্রায় ৪ হাজার ৬ শত মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ করা হতে পারে। সাংবাদিক ইমাদ আল শারা বলেছেন, এর আগেও বিভিন্ন জনকে অনলাইনে মানহানির অভিযোগে আদালতে তলব করা হয়েছে, তবে বেশিরভাগ মামলার ক্ষেত্রেই অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত পক্ষের মাঝে মীমাংসার মাধ্যমেই মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। ইরাকে একটি বেনামী সূত্র পরামর্শ দিয়েছে যে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে অনলাইন যুদ্ধ তীব্রতর হওয়া এবং গত সপ্তাহে ভিন্নমতাবলম্বী জর্ডানিয়ান বিমান চালক মুয়াথ আল-কাসাসবেহের মৃত্যদন্ড কার্যকর করার সময় থেকে সৃষ্ট পরিস্থিতি সামাল দিতেই হয়তোবা নতুন এই নীতি প্রণয়নকে উদ্বুদ্ধ করেছে। এটি অনলাইন সামাজিক উত্তেজনা প্রশমিত করার একটি প্রচেষ্টা। সূত্রটি আরও বলেছে, এ ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। শারা এবং অন্যান্যরা, যেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর জন্য ইরাকি নেটওয়ার্ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত ইরাকে অনলাইন বাক স্বাধীনতার উপর নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।         

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .