জাপানের প্রত্যন্ত রাস্তায় আপন খেয়ালে ঘুরে বেড়ানো

Matsushima, Tsuruga. Photo: Nevin Thompson

মাতসুসিমা, তাসুরগা। ছবি নেভিন থম্পসনের

সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া স্মার্টফোন ক্যামেরা এবং ফ্রি অনলাইন ভিডিও সংরক্ষণের এই যুগে, স্লো টিভি এক বিশেষ উপাদানে পরিণত হয়েছে। এই তরুণ প্রজন্মের যুগে, এক সম্পূর্ণ ট্রেন যাত্রা নিয়ে করা স্লো টিভির ভিডিও অত্যন্ত জনপ্রিয়, সাথে ক্রান্তীয় অঞ্চলের মাছ নিয়ে করা তিন ঘন্টার ভিডিওটিও। শিল্পী কিস কলিনজিন একটি ভিডিও প্রকল্পে দৃশ্যমান হয়েছেন, যেটি তার “পূর্বের পথে হাঁটা” নামক বিষয়কে নথিবদ্ধ করেছে।

সাতোবো ৩১০৪ নামে জাপানের এক ইউটিউব ব্যবহারকারী শত শত ভিডিও আপলোড করেছে যা জাপান জুড়ে পুরোনো এলাকায় হাঁটার ঘটনাকে নথিবদ্ধ করেছে।

এই সব ভিডিওতে কোন ধারাবর্ণনা নেই। এটা অনেকটা আশে পাশের খানিকটা অপ্রচলিত রাস্তায় এলোমেলো ভাবে ঘুরে বেড়ানো। এটা অন্য রকম এক অনুভূতি, ধ্যানমগ্ন হয়ে উক্ত এলাকার পরিবেশের মাঝে এমন ভাবে মিশে যাওয়া, যা সাধারণ অবস্থায় সম্ভব নয়।.

মাৎসুসিমা (তাসুরুগা, ফুকুই জেলা)

তাসুরুগা হচ্ছে জাপানের পূর্ব সমুদ্র উপকূলের এক ছোট্ট শহর যা কয়োটো থেকে গাড়ি চালিয়ে গেলে এক ঘণ্টার পথ। মাৎসুসীমা হচ্ছে তাসুরগা-এর এক পুরোনো এলাকা, আর এই ভিডিও গ্রীষ্মের এক নীরব দিনের পরিবেশকে নিখুঁত ভাবে ধারণ করেছে ।  

এখানে;দ্বিতীয় খণ্ড এবং এখানে;তৃতীয় খণ্ড দেখুন।

ইয়োকোতা (তাকাওকা, তোয়ামা জেলা)

তাকাওকা হচ্ছে জাপানের সমুদ্র উপকূলের আরেকটি ছোট্ট শহর এবং এই এলাকায় অনেক পুরোনো ধাঁচের জাপানী গৃহ রয়েছে যেগুলো শত শত বছর ধরে তেমন একটা পরিবর্তিত হয়নি। এই ভিডিও আমাদের ইয়োকোতা এবং কানাইয়া এলাকার ভেতর দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যায়, পথে সে সমস্ত মঠ এবং মন্দির দেখা সেগুলোর ভেতরটাও ঘুরিয়ে আনে।

এখানে বিশেষ আগ্রহের জায়গা হচ্ছে কানাইয়ার সেনবোন-কোশি এলাকা, যা এক ঐতিহ্যবাহী এলাকা যার রাস্তার চারপাশে সারিবদ্ধ ভাবে পুরোনো ধাঁচের বাড়িগুলো অবস্থান করছে।

কেনাকাটার জন্য পরিচিত সোনডা নামক রাস্তা (আমাগাসাকি, হাইয়োগো)

এই ভিডিও আমাগাসাকির সোনোড নামক রাস্তায় ঐতিহ্যবাহী জাপানী শোতোনাগাই অথবা শামিয়ানা টানানো দোকানের এলাকাসমূহে এক নজর ঘুরিয়ে আনে, যা কোবের খানিকটা পশ্চিমে অবস্থিত।

জাপানের বেশীর ভাগ নাগরিকের কাছে শোতেনগাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে শহুরে মানুষের জীবনের কেন্দ্রে থেকে তাদের সেবা করে গেছে। ক্ষুদ্র এই পারিবারিক কেনাকাটা এবং খাবারে দোকান প্রধানত সস্তা এবং সুবিধাজনক উপায়ে সরবার করে গেছে, এবং মাথার উপর টাঙানো এই সকল শামিয়ানা বৃষ্টি, শীত এবং সূর্যের উষ্ণতা থেকে ক্রেতাদের রক্ষা করে গেছে। যখন জাপানের নাগরিকদের এক অংশ বুড়িয়ে যাওয়া শুরু করেছে, তার প্রেক্ষাপটে এখন খুব কম সংখ্যক পরিবার এই পুরোনো এলাকায় বাস করে। স্থানীয় ক্রেতাদের সংখ্যা ক্রমে স্বল্প হয়ে আসা মানে শোতেনগাই এখন ক্রমশ অতীতের ছায়ায় পরিণত হতে যাচ্ছে।

নিশিকি মার্কেট (কিয়োতো)

শামিয়ানা ঢাকা বাজার, এখনো জাপানের কিছু অংশে বেশ ভালই করছে, বিশেষ করে যদি তারা পর্যটকদের জন্য খাদ্য পরিবেশন করে। এই ভিডিও কিয়োটোর নিশিকি মার্কেটে ভেতরে আমাদের ইতঃস্তত ঘুরিয়ে আনে। এখনকার সকল কিছুর উপর এক নজর চোখ বুলানো দারুন এক অভিজ্ঞতা বিশেষ করে লাল রঙের কাঁকড়া থেকে শুরু করে ফুলের কুড়ি দিয়ে ফুলের গুচ্ছ সবই এখানে বিক্রি করা হয়।

Tsukiji (Tokyo)

তুসুকিজি (টোকিও)

এই ভিডিওতে আমরা টোকিওর প্রাণকেন্দ্রের উপর এক নজর চোখ বুলাতে পারি, যা বিশ্বের সর্ববৃহ শহর। এর ভেতর দিয়ে আমরা গিনজার খানিকটা পূর্বে তুসুকিজি এলাকায় এলোমেলো ভাবে ঘুরে আসব, যেখানে সরু রাস্তাগুলো পুরোনো বাড়ির পাশ দিয়ে ছুটে গেছে, যা এর মাত্র কয়েকটি এলাকা পরেই অবস্থিত চকচকে, উজ্জ্বল শহুরে চেহারার এক দারুণ বৈপরীত্য প্রকাশ করছে।

সোতোবো ৩১০৪ চ্যানেলে জাপানের এ রকম হেঁটে যাওয়া এলাকার ভিডিও পাওয়া যাবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .