বিশ্বের প্রভাবশালী দেশের নেতারা বুধবার বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে এক দীর্ঘ সময় ধরে চলা উত্তেজনাকর, উচ্চ মাত্রার ঝুঁকি সম্পন্ন আন্তর্জাতিক অধিবেশনে অংশ নেয়।
বেলারুশের রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম দুই সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা জার্মানীর চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ফ্রাসোয়া ওলান্দ, সাথে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি পেট্রো পরোশেঙ্কো এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকেও স্বাগত জানান, যাদের সাথে এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের একদল কূটনৈতিক সহচর উপস্থিত ছিল, আর এই অধিবেশনের উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব ইউক্রেনে ক্রমশ বাড়তে থাকা সংঘর্ষ বন্ধে নাটকীয় এক কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ।
পরিশেষে, ১৬ ঘন্টার দীর্ঘ ক্লান্তিকর এই শান্তি আলোচনা অধিবেশন নেতারা বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়, তাদের এই প্রচেষ্টার ফল প্রদর্শিত হয় এক শান্তি চুক্তি [1] স্বাক্ষরের মাধ্যমে।
যখন এই আলোচনা শুরু হয়,তখন এর অগ্রগতির প্রতি নজর রাখার জন্য সারা বিশ্বের নাগরিকদের সাথে রাশিয়ার নাগরিকদের চোখ স্যোশাল মিডিয়ায় আটকে ছিল। আর ঘটনা হচ্ছে রাতের প্রায় বেশীর ভাগ সময় বিক্ষিপ্ত ভাবে এই বিষয়ে সংবাদ প্রদান করা হচ্ছিল, যেহেতু এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এক রুদ্ধদ্বার কক্ষে, আর বিষয়টি বড় জোর মাঝে মাঝে সামান্য সময়ের জন্য ইন্টারনেটকে ধীরগতির করে ফেলছিল।
সম্ভবত এই ছবিটি স্যোশাল নেটওয়ার্কে সবচেয়ে জনপ্রিয় এক ছবি হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে:
রাজনৈতিক ধারাভাষ্য [3] এবং রসিকতার জন্য অজস্র স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এই ছবিটি ব্যবহার করেছে:
This thing will be memed from here to eternity #MinskSummit [4] pic.twitter.com/xuOPsn33bC [5]
— Exen (@Exen) February 12, 2015 [6]
এখন থেকে এই সীমাহীন ভাবে এই ছবিটি মীম (ইন্টারনেট বিদ্রূপ) হিসেবে ব্যবহার হবে।
বেশী করে তুলে ধরা মন্তব্য এবং পোস্টের অনেকগুলোতে একইরকম সূক্ষ্ম রাজনৈতিক মেজাজের সমন্বয়ে রসিকতার সুর ধরা পড়ে।
রুনেটইকোর এক জনপ্রিয় একাউন্ট যে কিনা হালকা রসিকতার জন্য আলাদা ভাবে পরিচিত, সে সাম্প্রতিক নেটফ্লিক্সের হাউস অফ কার্ডস নামক জনপ্রিয় ধারাবাহিকের আগামীতে প্রচারিতব্য কাহিনীর দুর্ঘটনাক্রমে ফাঁস হয়ে যাওয়া [7] সংবাদের সাথে মিনস্কের এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে যুক্ত করেছে:
Смотрят третий сезон House of Cards. pic.twitter.com/8ZhyK06MGX [8] — Все Плохо (@sranysovok) February 11, 2015 [9]
তারা হাউজ অফ কার্ডস নামক ধারাবাহিকের তৃতীয় পর্বের ঘটনাগুলো দেখছে। .
ভ্লাদিমির পুতিনের মিনস্কে পৌছানোর এক শাদামাটা ছবি এবং আর এ কারণে রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতা আলেক্সি নাভালনির একাউন্ট পেয়েছে এক হাস্য রসাত্মক শিরোনাম যা পুনরায় শত শত বার টুইট করা হয়েছে।
Двойника в Минск отправили. На случай, если там подстава pic.twitter.com/epAWqB1eto [10] — Alexey Navalny (@navalny) February 11, 2015 [11]
যদি এটা সাজানো নাটক হয়ে থাকে, তাহলে তারা মিনস্কে পুতিনের মত দেখতে একজনকে পাঠিয়েছে।
আরেকটি জনপ্রিয় উপাদান দ্রুত স্যোশাল নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে আর তা হচ্ছে একটির সাথে যুক্ত করা আরেকটি দৃশ্যে দিয়ে তৈরী করা এক ভিডিও, দৃশ্যত যেখানে দেখা যাচ্ছে লুকাশেঙ্কো তখন পুতিনের চেয়ার টান দিয়ে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে যখন পুতিন সেটাতে বসার চেষ্টা করছে:
যারা এই অসাধারণ ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করেছে মনে হচ্ছিল প্রাথমিকভাবে তারা অসচেতন ভাবে এই কাজটি করেছে, তবে আদতে এটা ছিল এক সংবাদ দৃশ্য [12] যেটাতে রসিকতার আমেজ আনার জন্য ভিডিওকে উল্টো করে চালিত করে দেখানো হয়েছে
রাত যত গভীর হতে থাকে, তখন স্যোশাল মিডিয়ার অনেকে বিশেষ করে যারা সাংবাদিক, তারা ঘুম থকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে পোস্ট করতে থাকে।
Пресса в Минске перешла в режим стендбай. Ну и я пойду спать. pic.twitter.com/uJilozSrch [13] — Maro (@14720Maro) February 12, 2015 [14]
মিনস্কের সংবাদ মাধ্যম ঘুমের রেশের মাঝে প্রবেশ করেছে, বেশ এখন আমারও খানিকটা ঘুমিয়ে নেওয়ার পালা।
When #Ukraine [15] peace talks going on for almost 12 hours ago, reporters and local staff try to get some rest pic.twitter.com/lhQOEJateR [16] — Andrey Ostroukh (@AndreyOstroukh) February 12, 2015 [17]
যখন ইউক্রেন বিষয়ক শান্তি আলোচনা ১২ ঘন্টা ধরে চলছে, তখন সাংবাদিক এবং স্থানীয় কর্মীরা খানিকটা জিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
যখন আলোচনার পরের দিন ভোর পর্যন্ত গড়ায় তখন রেইন টিভি এমনকি পরেশেঙ্কোর হাই তোলা এক ছবি টুইট করার জন্য ব্যবহার করে।
Переговоры затянулись до глубокой ночи http://t.co/oKEaTxVrdV [18] pic.twitter.com/JZQ9FTlkvm [19] — Телеканал ДОЖДЬ (@tvrain) February 11, 2015 [20]
স্যোশাল মিডিয়ার কিছু একাউন্ট বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার কাজে ব্যস্ত ছিল। যেমন উদাহরণ হিসেবে ইউক্রেনের এক ফেসবুক একাউন্টের কথা বলা যায়, যে তাৎক্ষণিক ঘটনাবলী [21] তার ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করে রাষ্ট্রপতি পরেশেঙ্কোর সাহায্য করছিল এবং জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাজা সংবাদ তুলে ধরার জন্য টুইটার একাউন্টের সাহায্য নিয়েছিল।:
Breaking: Agreement in #Minsk [22]. #MinskSummit [4]
— GermanForeignOffice (@GermanyDiplo) February 12, 2015 [23]
তাজা সংবাদঃ মিনস্কে উভয় পক্ষ শান্তি চুক্তিতে একমত হয়েছে।