আফগানিস্তান তাদের প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ উপভোগ করছে

Demotix image ID: 4058137.  Afghanistan cricket fans wave flags during the match against Bangladesh in Asia Cup 2014 at Khan Saheb Osman Ali Stadium in Fatullah, Narayanganj. Image by md Manik.

ডেমোটিক্স-এর ছবি, আইডি নং- ৪০৫৮১৩৭। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সময় আফগান ক্রিকেট ভক্তরা দেশের পতাকা উড়াচ্ছে। ছবি মোঃ মানিকের।

আফগানিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট দল তাদের প্রথম বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। যা ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আফগান দলের কোচ এন্ডি মোলেস এবং এর অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি এসাহাকি, যে দলটি ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে গেছে এবং তারা ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে

যথেষ্ট আর্থিক তহবিল এবং সুবিধার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, আফগানিস্তানে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে, যা দেশটিকে একসুতায় গাথার এক উপাদান সরবরাহ করছে।

২০১৫ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বিশ্বকাপ ১৪ টি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, ভারত, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, স্কটল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং জিম্বাবুয়ে।

আফগান রাষ্ট্রপতি গণির সাথে জাতীয় ক্রিকেট দল। ছবি আফগানিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের ফেসবুক পাতা থেকে নেওয়া।

বাছাইপর্বে নেপালের বিরুদ্ধে জয়ের পর হাজার হাজার আফগান নাগরিক দলের এই জয় উদযাপনে রাস্তায় নেমে আসে। এই প্রজাতন্ত্রে খেলাটি নতুন নয়, যে দেশটির সীমান্ত ক্রিকেট পাগল পাকিস্তান এবং ভারতের সাথে যুক্ত, কিন্তু দশকের পর দশক ধরে চলা যুদ্ধে, খেলাধুলা দেশটিতে অনেক পেছনে পড়ে গেছে।

বিশেষ করে তালেবান শাসনের সময় এই ঘটনা ঘটে, যাদের সময়ে ফুটবল খেলার উপর নিষেধাজ্ঞার মত বিখ্যাত ঘটনা ঘটে এবং তারা জনসম্মুখে শাস্তি প্রদানের জন্য স্টেডিয়ামগুলোকে ব্যবহার করত। এই উগ্রবাদী শাসকদের সময়ে ক্রিকেট ছিল সেই সমস্ত গুটিকয়েক খেলার মধ্যে অন্যতম যেগুলো অহিংস শারীরিক কসরত বা খেলা যা তারা পছন্দ করত, তবে সে সময়ে এর উন্নয়নে খুব সামান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

টুইটারে বিল্লাল সারোয়ারি দেশটির একদল নাগরিকের ছবি প্রদর্শন যারা দেশটির প্রিয় খেলা খেলছে:

চিত্তাকর্ষকঃ আফগানিস্তানে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। ছবি মোহাম্মদ নবীর সৌজন্যে।

আফগান এক সাংবাদিক শায়েস্তা সাদাত লামেহ দলের সাফল্য কামনা করছে:

আমি আমার দলের সাফল্য কামনা করছি! আজ আফগান জাতীয় ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে।

এবং এক প্রতিপত্তিশালী ব্যবসায়ী প্রথম খেলায় প্রথম যে আফগান ক্রিকেটার সেঞ্চুরি করবে তাকে পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে:

আফগানিস্তানের প্রথম খেলায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে খেলোয়াড় সেঞ্চুরি করবে আব্দুল ইয়াসিনি তাকে ১৫,০০০ ডলার পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।

মুদ্দাসের ইসলামি উপসংহার টেনেছেন এই বলে যে অন্য দেশকে সমর্থন করার দিন শেষ, এখন দেশটির গর্ব করার মত একটি দল রয়েছে:

সেই দিন আর নেই, যখন ভারতের বিরুদ্ধে খেলায় আমাদের পাকিস্তানের হয়ে জয়োল্লাস ধ্বনি প্রদান করতে হত। আজ, আমরা আমাদের আফগানিস্তান দলের জন্য উত্তেজিত। আফগানিস্তানের সৌভাগ্য কামনা করছি।

প্রতিযোগিতা শুরুর আগে প্রস্তুতিমূলক খেলায় ভারতের বিপক্ষে পরাজিত হলেও, আফগানিস্তান অন্য দুটি প্রস্তুতিমূলক খেলায় আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড উভয়কে পরাজিত করেছে। এই দুটি জয় আফগানিস্তানকে প্রথম বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলায় ভাল ফলাফলের ব্যাপারে আশাবাদী করে তুলেছে। তবে অনেক সাধারণ আফগানিস্তান নাগরিকদের কাছে বছরের পর বছর ধরে দূর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দর্শক হয়ে থাকার প্রেক্ষিতে, সেখানে নিজেদের দলকে দেখতে পাওয়া তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .