জানুয়ারি মাসের শেষে এসে ইকুয়েডোরের [1] বিভিন্ন প্রদেশে গুয়াইয়াকান [2] নামক বৃক্ষ পুষ্পশোভিত হতে শুরু করে। এর মানে হচ্ছে দেশটিতে বসন্তের আগমন ঘটেছে আর হাজার হাজার নাগরিক প্রকৃতির এই অসাধারণ রঙে সাজার ঘটনা দেখতে এসব এলাকায় গিয়ে হাজির হয়।
দক্ষিণ ইকুয়েডোরে অবস্থিত লোজা প্রদেশের [3] বোলাসপাম্বা অঞ্চলের কাজেদেরোস সীমান্ত এবং জাপোতিলো অঞ্চলের মানগাহুরকো [4] এলাকার কিছুটা অংশ জুড়ে প্রায় ৪০,০০০ হেক্টর (৯৮,৮৪২ একর) এলাকার এক শুষ্ক বন রয়েছে। এ সময় বিশাল এই অঞ্চল জুড়ে দেখা যাবে গুয়াইয়াকান বৃক্ষের এক যাদু, এই সব গাছে চমৎকার ও মনোহর হলুদ এক ফুল এমন ভাবে ফুটে থাকে যেন প্রকৃতির পটে আঁকা এক ছবি।
দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয় গুয়াইয়াকানেসাআইসিআই [5] এবং মানগাহুরকো [6] নামক দুটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে এই সকল বৃক্ষের ভিডিও প্রদর্শন করছে:
২০১৪ সালে অনলাইনে গুয়াইয়াকান গাছের ভিডিও দেখার জন্য কতজন নাগরিক অনলাইনে প্রবেশ করেছে, সরকারের টুইটার একাউন্ট @টুরিসমোইকো তার এক আকর্ষণীয় পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে:
Cerca de 23.000 personas a escala mundial siguieron la transmisión florecimiento #GuayacanesEc [5] http://t.co/MfJZZMWPMQ [7] #RCConsejoProduccion [8] — Turismo Ecuador (@TurismoEc [9]) marzo 27, 2014 [10]
বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২৩,০০০ নাগরিক গুয়াইয়াকান গাছের ফুল ফোটার ভিডিও দেখেছে।
গুয়াইয়াকানেসাআইসিআই [5] হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে অনেকে নাগরিক এই বিষয়ে নিজেদের তোলা ছবি এবং মন্তব্য প্রকাশ করেছে। ওয়াটোলেডো নামক ব্যবহারকারী গুয়াইকান গাছের উপর নির্মিত তথ্যচিত্রের রস আস্বাদনের বিষয়টি তুলে ধরেছেন এবং সেই একই হ্যাশট্যাগের অধীনে টুইট করেছেন।
Muy buen reportaje @TurismoEc [9] #GuayacanesEc [5] @EcuadorTravel [11] Loja-Zapotillo-Mangaurco pic.twitter.com/JKZ3RnHeKh [12] — WToledoQ (@wtoledo2011) marzo 16, 2014 [13]
লোজা জাপোতিলো– মানগাহুরকোর পর্যটনের উপর ভিত্তি করে ইকুয়েডোরের পর্যটন বিভাগের দারুন ভাবে তৈরী করা এক সংবাদ।;
এদিকে মানগাহুরকো থেকে সুজানা পাজিমিনো তাদের পারিবারিক এক ছবি প্রদর্শন করেছে :
Jorge Enrique y José Salvador en Mangahurco viviendo el Florecimiento de los #GuayacanesEc [5] pic.twitter.com/fgppLAm7Yy [14] — Susana Salas Pazmiño (@susanasalaspaz [15]) marzo 15, 2014 [16]
মানগাহুরকোতে জর্জ এনরিকে এবং হোজে সালভাদর গুয়াইয়াকান-এর প্রস্ফুটিত ফুল দেখছে।
টুইটার ব্যবহারকারী পাইপ বলছে যে তার এই ভ্রমণ ছিল অবিস্মরণীয়:
Nunca olvidaré la experiencia del Florercimiento de los #GuayacanesEc [5] #retodeldia [17] pic.twitter.com/dsY5eeFczQ [18] — (Pipe) (@viperbro [19]) marzo 14, 2014 [20]
গুয়াইয়াকানের ফুল ফোঁটার দৃশ্য অবলোকনের অভিজ্ঞতা আমি কোনদিন ভুলব না।
গুয়াইয়াকান-এর ফুল ফোটার সময়ের বিশেষ শুরু বা শেষ নেই, যদিও এ বছর-এর সময়কাল ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
উক্ত এলাকা থেকে নাগরিকদের করা পোস্টে স্যোশাল মিডিয়া ভরে গেছে। কার্লোস জাম্বো এই সংক্রান্ত হ্যাশট্যাগে তার নিজের টুইটার ভরে ফেলেছেন:
#Loja [21] #Zapotillo [22] #Guayacanes [23] #Turismo [24] #Próximos [25]😉 (Y) http://t.co/zgN5XM7Wwj [26]
— CARLOS JUMBO L. (@carlosjumboLoja [27]) enero 5, 2015 [28]
লোজা, জাপোতিলো, গুয়াইয়াকানেস, ট্রুসিমো, প্রক্সিমোস (সবগুলো টুইটার হ্যাশট্যাগের নাম;)
মাচালা মোভিল নামের অনলাইন সংবাদপত্র নাগরিকদের আহ্বান জানাচ্ছে যেন তারা তাদের ব্যাগ গুছিয়ে নেয় এবং এই ফুল ফোঁটার দৃশ্য দেখার জন্য দক্ষিণ ইকুয়েডোর ভ্রমণে আসে।
#Loja [21] | Con el inicio del invierno se observa el florecimiento de los #Guayacanes [23]. ¡Aliste sus maletas! #Turismo [24]. pic.twitter.com/naB35rVGln [29]
— Machala Movil (@MachalaMovil [30]) enero 8, 2015 [31]
শীতের শুরুতে আপনারা দেখতে পাবেন গুয়াইয়াকান গাছে ফুল ফুটেছে। আর দেরি কেন, আপনার ব্যাগ গুছিয়ে ফেলুন;
রিকার্ডো মেদিনা গুয়াইয়াকান বৃক্ষের সৌন্দর্য্য ছবির মাধ্যমে ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে, যা সে অনলাইনে পোষ্ট করেছে:
“@MaryuryVegaH [32]: #Loja [21] #Guayacanes [23] Deslumbrante matiz colores y belleza natural anuncian primavera #Ecuador [33] #Turismo [24] pic.twitter.com/qWgfffDhji [34]” — Ricardo Medina O. (@ricardomedinao [35]) enero 8, 2015 [36]
রঙের উজ্জ্বল ছায়া এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ঘোষণা করছে যে ইকুয়েডোর এখন বসন্তে বিভোর।
উক্ত এলাকার বাসিন্দা এবং কর্মকর্তারা এই বিষয়ের সাথে এক সময়সূচি যুক্ত করেছে, যার আওতায় পর্যটকেরা অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে স্থানীয় প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী আবিষ্কার করতে পারবে, যার মধ্যে রয়েছে নির্দেশীত পথে ভ্রমণ, সাইকেল চালানো, ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে ঘুড়ে বেড়ানো, ম্যুরাল, হস্তশিল্প মেলা, ছবি প্রদর্শনী এবং নিজে এক গুয়াইয়াকান গাছ রোপন এবং এটিকে স্পনসর করা।