বড়দিনের আগের সন্ধ্যায়, দক্ষিণ পশ্চিম ফ্রান্সের অ্যাঁগুলেম [2] শহরের বাসিন্দারা আবিষ্কার করে যে শহরের কেন্দ্রস্থলে জনগণের বসার জন্য রাখা বেঞ্চগুলো ধাতব বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে [3], যাতে গৃহহীন নাগরিকেরা এখানে আসতে বা এর উপর শুয়ে মদ খেতে না পারে (নগর ভবনের এক স্মারক লিপিতে এমনটাই দেখা যাচ্ছে)।
এই পদক্ষেপে ফরাসি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ক্ষুব্ধ:
WTF RT @sudouest [4]: #Angoulême [5] : des grillages anti-SDF installés sur des bancs publics http://t.co/GjhpSmlJbv [6] pic.twitter.com/Uk3rwo50vz [7]
— fo0 (@fo0_) 24 Décembre 2014 [8]
উন্মুক্ত স্থানে রাখা বেঞ্চে যাতে গৃহহীন লোকেরা বসতে না পারে তার জন্য লোহার বেষ্টনী দিয়ে উক্ত স্থান ঘেরা দেওয়া হয়েছে।
নগর ভবন এই সিদ্ধান্তের সকল দায় গ্রহণ করেছে, আর এই ক্ষেত্রে তারা যুক্তি প্রদান করেছে যে উপশহরের স্টোরসমূহের অনুমোদন ক্রমে তারা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এই বিষয়ে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং তখন এটি আরো তীব্র হয়ে ওঠে যখন এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে যে, স্বয়ং মেয়র নিজে এই নির্দেশ প্রদান করেছে।
Le maire d’ #Angoulème [9] prend des mesures ANTI-SDF et s'augmente de …62% ! Et y'a des gens qui votent pr des mecs comme ça ?
— stefappriou (@stefappriou) 25 Décembre 2014 [10]
অ্যাঁগুলেমে মেয়র গৃহহীন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, কিন্তু তার প্রতি…৬২ শতাংশ সমর্থন! আর এমন অনেক বাসিন্দা রয়েছে, যারা এ রকম রাজনীতিবিদের পক্ষে ভোট প্রদান করে।
কিছু ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পরামর্শ প্রদান করেছে যে এর প্রতিবাদে কার্টুনিস্টদের এনগোয়েলেমে কার্টুন উৎসব বয়কট করা উচিত।
Les dessinateurs boycotteront-il la ville qui met les bancs en cage pour éviter les SDF? #Angouleme [11]
— Valérie de Saint-Do (@Val_Do) 25 Décembre 2014 [12]
কার্টুনিস্টরা কি এই শহরকে বয়কট করবে, যে শহর গৃহহীন মানুষদের বেঞ্চে প্রবেশে বিরুদ্ধে বেষ্টনী তৈরী করে
ফ্রাঙ্ক-ইনফো ওয়েবসাইট একদল কার্টুনিস্ট কর্তৃক প্রস্তাবিত এক বয়কটের সংবাদ প্রদান করেছে [13]। ডেনিস রবার্ট, একজন লেখক, কার্টুনিস্ট, আর সে উক্ত উৎসবের এক বিচারক, ডেনিস এই বয়কটের পক্ষে নয়, তার বদলে সে তার ফেসবুকের পাতায় [14] একটি লেখা লিখেছেন যেখানে তিনি তার মত কার্টুনিস্টদের সরাসরি মেয়রকে এই বিষয়ে লেখার জন্য অনুরোধ করছে।
Je ne suis pas un dingue des pétitions, mais avec quelques amis nous avons écrit ce court texte et l’avons expédié à la mairie d’Angoulême à cette adresse : communication@mairie-angouleme.fr
A recopier, à diffuser largement et à expédier à fond les manettes…Mr le Maire,
Au début, nous avons cru à un gag mais il a bien fallu nous rendre à cette évidence. Vous avez réellement fait grillager les bancs publics d'Angoulême pour éviter que les sdf et autres punks à chien ne s'y posent. Il est très délicat pour nous, dessinateurs, journalistes, éditeurs, amateurs de bandes dessinées ou simples passants d'accepter cette manifestation d'intolérance, de laideur et d'indignité sans broncher. Nous vous demandons donc de retirer ces grilles et de rendre aux bancs publics d'Angoulême leur fonctionnalité. Nous aimerions y poser nos fesses lors du prochain festival. Cela vous éviterait des embarras et des manifestations supplémentaires de notre désarroi.
আমি দরখাস্ত প্রদানের জন্য পাগল নই, কিন্তু কয়েকজন বন্ধু সহ, আমরা সংক্ষিপ্ত এই টেকস্ট লেখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম এবং তা এনগোয়েলেমের মেয়রের কাছে পাঠালাম, তার এই মেইল এড্রেসে: communication@mairie-angouleme.fr।
এখানে এই চিঠির একটি কপি রয়েছে, যদি আপনি চান তাহলে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারেন।জনাব মেয়র
প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম যে এটা এক ধরনের রসিকতা, কিন্তু বেদনাদায়ক ভাবে এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করার উপায় ছিল না। আপনি এনগোয়েলেমেতে জনগণের বসার বেঞ্চের চারপাশে বেষ্টনী দিয়ে দিয়েছেন যাতে গৃহহীন নাগরিক এবং কুকুর সহ উদ্বাস্তু নাগরিকরা সেথায় শুতে না পারে। এটা আমাদের জন্য খুব কঠিন, ডিজাইনার, সাংবাদিক, সম্পাদক সহ কমিকস স্ট্রিপ এর ভক্ত অথবা খুব সাধারণ ভাবে বলতে পথিক, বিদ্যমান ক্ষতিকর এই সিদ্ধান্ত সহ্য করে নেবে না, যা কুৎসিত এবং লজ্জাজনক। যার ফলে আমরা আপনাকে এই বেষ্টনী অপসারণ করতে অনুরোধ করছি এবং অ্যাঁগুলেমের বেঞ্চগুলোকে তার আগের ভূমিকা ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি। আগামী উৎসবে আমরা সেখানে আমাদের বসার স্বাধীনতা চাই…এটি আপনাকে বিব্রত এবং সাথে আমাদের ক্ষোভ প্রকাশ থেকে নিরাপদ রাখবে।
এজেন্সি ফ্রান্সপ্রেসকুয়ে নামক একটি ব্যাঙ্গাত্মক টুইটার একাউন্ট বিদ্রূপাত্মক ভাবে আরো মানবিক এক সিদ্ধান্তের পরামর্শ প্রদান করেছে:
#Angoulême [5]: les SDF pourraient finalement utiliser les bancs publics mais les visiteurs auraient interdiction de leur jeter des cacahuètes.
— agencefrancePRESQUE (@afPRESQUE) 25 Décembre 2014 [15]
অ্যাঁগুলেমের গৃহহীন নাগরিকদের অবশ্য উন্মুক্ত বেঞ্চে বসার অধিকার দেওয়া হবে, কিন্তু পর্যটকেরা তাদের বাদাম খাওয়াতে পারবে না।
এনগোয়েলেমের গৃহহীন নাগরিকদের অবশ্য উন্মুক্ত বেঞ্চে বসার অধিকার দেওয়া হবে, কিন্তু পর্যটকেরা তাদের বাদাম খাওয়াতে পারবে না।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী @নিটোর পলিটিক্স নিজেকে দারিদ্র্য, বর্ণবাদ,এবং মিথ্যাবাদী রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে সক্রিয় একজন হিসেবে বর্ণনা করেছে” তিনি সেই বাণিজ্যিক ব্র্যান্ডকে চিহ্নিত করেছে যা এই পদক্ষেপে অনুমোদন দিয়েছে:
Les bancs grillagés anti #SDF [16] d’#Angoulême [5] avec les marques. Retrouvez les sur: http://t.co/wFoGpKm842 [17] pic.twitter.com/vUUCaHfJMz [18]
— DeNitro_Politic (@Nitro_Politic) 26 Décembre 2014 [19]
গৃহহীন ব্যক্তিদের প্রতিরোধে বেঞ্চকে ঘিরে রাখা বেষ্টনীতে যে ব্র্যান্ডের নাম রয়েছে, সেটি এই বেষ্টনীর সাথে জড়িত। এর সম্বন্ধে দুটি লিঙ্কের মাধ্যমে আরো বিস্তারিত তথ্য জানুন।http://t.co/wFoGpKm842, http://t.co/vUUCaHfJMz
কয়েকজন কিশোর কিশোরী গৃহহীন নাগরিকদের প্রতি সমর্থনের চিহ্ন প্রদর্শন করছে:
Deux ados dans la cage anti-SDF à #Angoulême [5] (vidéo) http://t.co/w7pNOkwjqA [20] via @charentelibre [21] pic.twitter.com/LecIR6b1Fq [22]
— Pierre L. CONSTANT (@PLConstant) 26 Décembre 2014 [23]
গৃহহীনদের প্রতিরোধে তৈরী করা বেষ্টনীর ভেতর দুই কিশোরী বসে আছে (ভিডিও)। http://t.co/w7pNOkwjqA [20] ভায়া@charentelibre [21] pic.twitter.com/LecIR6b1Fq [22]
বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার মত ঘটনার কারণে, মেয়র ২৫ ডিসেম্বর তারিখে বেষ্টনীগুলো সরিয়ে ফেলে (অস্থায়ী অথবা চিরস্থায়ী ভাবে):
Honteux, le Maire d’#Angoulême [5] démonte discrètement les #grillages [24] anti-SDF dans la nuit… http://t.co/Y4WDOFziEu [25] pic.twitter.com/uOd0RXUA50 [26]
— bembelly (@bembelly) 26 Décembre 2014 [27]
লজ্জিত, মেয়র গতকাল বুদ্ধি খরচ করে খাঁচাগুলো সরিয়ে ফেলেছে।
তবে এই ক্ষেত্রে এনগোয়েলেমে একমাত্র ঘটনা নয়। ফ্রান্সের অন্য সকল বড় বড় শহরগুলো একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যেমন ফ্রান্সের এক ব্যাংকের সামনে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।:
Cages anti-#SDF [16] à #Angouleme [11]: pas beaucoup mieux à #Paris [28]. Le législateur doit intervenir! http://t.co/NM3309fOOZ [29] pic.twitter.com/utxRex810l [30]
— Paul Denton (@paul_denton) 25 Décembre 2014 [31]
অ্যাঁগুলেমের সামনে এক বেড়ার খাঁচা বানানো হয়েছে, কিন্তু প্যারিসে তার চেয়ে ভাল কিছু নেই। আইন প্রণেতাদের এই বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
বিশ্বের অনেক স্থানে, গৃহহীনদের আরো অনেক বেশী স্বাগত জানানোর মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, যেমন কানাডা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে:
“@alicecoffin [32]: Au Canada, des bancs … pour les SDF http://t.co/o7HPxjZHGz [33] via @KonbiniFR [34]@fsoulabaille [35]pic.twitter.com/6rizmAKVsm [36]” #Angoulême [5]
— Alain Rivet (@AlainsurTwit) 25 Décembre 2014 [37]
কানাডায় জনগণের বসার বেঞ্চ… গৃহহীন নাগরিকদের স্বাগতম জানাচ্ছে http://t.co/o7HPxjZHGz [33], @KonbiniFR [34]@fsoulabaille [35]pic.twitter.com/6rizmAKVsm [36]” #Angoulême [5]-এর মাধ্যমে