ভিডিও গেমের মাধ্যমে ইনুপিয়াক জনগোষ্ঠির ঐতিহ্যবাহী কাহিনী জীবন্ত হয়ে উঠেছে

ইনুপিয়াক জনগোষ্ঠীর কুননুউকসাইয়ুকা নামক এক ঐতিহ্যবাহী কাহিনী রয়েছে, যার কথক রবার্ট নাসরুক ক্লিভল্যান্ড এবং এটি “কৃষ্ণ নদীর জনগোষ্ঠীর কাহিনী” নামক বইয়ে অর্ন্তভুক্ত, এখন তা কম্পিউটার এবং অন্যান্য জনপ্রিয় গেম কনসোলের জন্য বানানো ভিডিও গেমের কারণে নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। নতুন এই ভিডিও গেমের নাম “কখনো একা নও” (কিসিমা ইনিনিটচুনা), আর এই গেম ডেভলপমেন্ট প্রক্রিয়ায় আলাস্কার আদিবাসী সম্প্রদায়কে যুক্ত করার মত ভিন্ন মনোভাবের কারণে এই গেম ক্রমাগত প্রশংসা লাভ করে যাচ্ছে।

ইংরেজি সাব-টাইটেল সহকারে ইনুপিয়াট ভাষায় এই গেমসের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে রয়েছে নুনা নামের এক তরুণী এবং তার সঙ্গী মেরু শিয়াল, তাদের সম্প্রদায়কে আঘাত হানা প্রচণ্ড এক তুষার ঝড়ের উৎপত্তি ও কারণ অনুসন্ধানে তারা দুজন এক অভিযানে বের হয়। যদিও ক্লিভল্যান্ড বর্ণিত কাহিনীতে এই চরিত্রটি ছিল এক বালকের, তবে এই গেমের ডেভলপাররা, কাহিনীর এই পরিবর্তন অনুমোদনে ক্লিভল্যান্ড এর মেয়ে মিননিয়ে গ্রেকে খুঁজে বের করে

কুক ইনলেট ট্রাইবাল কাউন্সিল-এর সাথে মিলে, এক সমন্বিত উদ্যোগ হিসেবে এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়, যারা ই-লাইন মিডিয়া এবং আপার ওয়ান গেমসের সাথে কাজ করে, যা প্রথম আদিবাসী-সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন ভিডিও গেমস ডেভলপার প্রতিষ্ঠান। এই ভিডিও গেমের ব্লগে, এর নির্মাতারা গেম নির্মাণের প্রক্রিয়া নথিবদ্ধ করেছে, একই সাথে পর্দার পেছনের কাজ নিয়ে এই ভিডিও (যা উপরে রয়েছে) তৈরী করেছে, যেটি দেখাচ্ছে কি ভাবে প্রবীণ, তরুণ এবং ভাষাবিদ সকলে গর্বের সাথে এই গেমের উন্নয়নে অংশীদার হয়েছে।

এই গেম নিয়ে পর্যালোচনা চলছেই, এবং নেটিভ পিপলস ব্লগে রয় বোনেই লিখেছে যে “কখনো একা নও” সাধারণ এক ভিডিও গেমসের চেয়ে বেশী কিছু। এটি সুন্দর এবং চিন্তাশীল এক ডিজিটাল শিল্পের ভেতরে সংস্কৃতির অভিজ্ঞতার এক প্যাকেজ।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .