
ইউটিউবে হোস্ট করা ভিডিও কন্টেন্টের উপর কোরিয়ান ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে এমবিসি এর বিজ্ঞপ্তি।
দক্ষিণ কোরিয়ান প্রধান প্রধান টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো দেশটিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্লক করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ইউটিউবে তাদের প্রচার সূচী আর দেখতে পাবেন না। মুলত বিজ্ঞাপন থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ বাড়াতে ইউটিউব ছেড়ে তাঁরা এখন অন্যান্য অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্মে চলে যাচ্ছে।
সিদ্ধান্তটি অনেক কোরিয়ানকেই রাগিয়ে তুলছে। বিশেষকরে তারা যখন দেখছেন, নেটওয়ার্কগুলো তাদের প্রচার সূচী ইউটিউবে আন্তর্জাতিক ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত রেখেছে।
ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের শুরুতে এমবিসি, এসবিএস, টিভিএন এবং জেটিবিসি সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সম্প্রচার এবং ক্যাবল নেটওয়ার্ক কোরিয়ান আইপি ঠিকানা ব্যবহারকারীদের প্রতিরোধ করতে শুরু করে। ইউটিউবে কোরিয়ান ব্যবহারকারীদের আইপি ঠিকানা দেখে দেখে তাদের ভিডিও দেখতে পাওয়া থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি প্রচার মাধ্যম চ্যানেল জানিয়েছে যে এমন পদক্ষেপ গ্রহণের পেছনে অর্থ লাভ অন্যতম উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করছেঃ ইউটিউব নেটওয়ার্কগুলোকে অন্যান্যদের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম বিজ্ঞাপনের লভ্যাংশ (শতকরা ৫৫ ভাগের কাছাকাছি, কেউ কেউ দাবি করেছেন তা শতকরা ৪০ শতাংশ) প্রদান করে থাকে। অন্যদিকে নাভের এবং দাউম কাকাও এর মতো কোরিয়ান পোর্টাল ওয়েবসাইটগুলো নেটওয়ার্কগুলোর সাথে এক ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পন্ন করেছে, যেখানে তারা আনুমানিক শতকরা ৯০ শতাংশ লভ্যাংশ পাবেন। গত জুন মাসে সাত কোরিয়ান সম্প্রচারকারী জোটভুক্ত হন। জোটভুক্ত হওয়ার পর তাদের লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়ানোর প্রচেষ্টা স্বরূপ ইউটিউবের সাথে ঐক্যমত্যে আসার জন্য আলোচনা করেন। তবে তারা ইউটিউবের সাথে কোন রকম ঐক্যমত্যে পৌছাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
নেটওয়ার্কগুলোর এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে কোরিয়ানরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মন্তব্যের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। তারা এ সিদ্ধান্তকে বিচারবুদ্ধিহীন, অদূরদর্শি এবং তাদের নিজ দেশের দর্শকদের প্রতি বৈষম্যমূলক বলে আখ্যায়িত করেছেন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় ভিডিও প্ল্যাটফর্মগুলো ইউটিউবের মতো এতোটা দক্ষতার সাথে সম্প্রচার করতে পারে না। এ প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারকারীদের কয়েকটি বাড়তি সফটওয়্যার ইন্সটল করতে বাধ্য করে। এ সফটওয়্যারগুলো তাদের কম্পিউটারকে ভবিষ্যৎ হ্যাকিং আক্রমনের (গ্লোবাল ভয়েসেসের পূর্ববর্তী কভারেজ, “সক্রিয় এক্সের সাথে কোরিয়ান ব্যবহারকারীদের দ্বন্দ্ব” পড়ুন) শিকার হওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি অরক্ষিত করে তোলে।
유튜브로 국내외 영상 즐기는 이용자로서, 이번 국내 방송사들의 국내 유튜브 서비스 중단은 짜증만 난다. 해외에는 허용하고.. 차별하냐? 네이버로 옮긴다니.. 거기 동영상 서비스 무겁고 화질 짜증나는데. 액티브 떡칠에 광고 떡칠.. 최악의 헛짓이다.
— 펄퍼러스 Purpureus (@aestas21) November 24, 2014
ব্যবহারকারিরার [কোরিয়ান] ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও উপভোগ করেন। কিন্তু কোরিয়ান টেলেভিশন নেটওয়ার্ক কোরিয়াতে ইউটিউব সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে বিদেশি ব্যবহারকারীরা ইউটিউবে দিব্যি তাদের প্রচার সূচী দেখতে পাচ্ছেন। এটা সত্যিই বেশ বিরক্তিকর। এটা কোরিয়ান দর্শকদের প্রতি এক ধরনের পরস্পর বিরোধী বৈষম্য। এখন থেকে তারা নাভের ব্যবহার করবেন। তবে নাভেরের ভিডিও সেবা বেশ ধীর এবং এটির ভিডিও পরিচ্ছন্নতা আমাকে বেশ যন্ত্রণা দেয়। উপরন্তু এটি আবার সক্রিয় এক্স এবং প্রচারিত আরও অনেক বিজ্ঞাপনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করে। নেটওয়ার্কগুলো এখন পর্যন্ত যতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর মাঝে এটি সবচেয়ে খারাপ একটি সিদ্ধান্ত।
유튜브 왜 서비스 중단하는지 검색해보니까 광고수익이 각 방송사에 적게 배분되니까 그런 거구만? 야이 미친… 해외 시청자들 의식해서 우리나라에서만 서비스 중단하는 나쁜 것들아ㅠㅠㅠ
— 슬러쉬 (@SoSlushy) December 1, 2014
নেটওয়ার্কগুলো কেন তাঁদের [কোরিয়ানদের জন্য] ইউটিউব সেবা বন্ধ করে দিয়েছে, তার উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমি দেখেছি যে টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো ইউটিউবের কাছ থেকে অপেক্ষাকৃত কম লভ্যাংশ পেয়ে থাকে। এই উন্মাদ লোকগুলো এত কিছুর পরেও কেবলমাত্র তাদের আন্তর্জাতিক দর্শকদের কথা চিন্তা করে শুধুমাত্র কোরিয়াতে তাদের সেবা প্রদান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
유튜브나 구글이 세상의 정의일리 만무하지만, 방송사의 유튜브 서비스 중단은 거의 확실하게 퇴행이 아닐까. 차라리 자체 유료서비스를 위해서라면 모를까. 경우에 따라서는 과거 아카이브까지 업로드하며 의욕을 보이더니..
— mimyo (@mimyo_) November 28, 2014
আমি বলছি না যে ইউটিউব অথবা গুগল হচ্ছে আমাদের সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান। তবে নেটওয়ার্কের ইউটিউব সেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্তটি একেবারেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। তারা যদি তাদের প্রচারসূচী সম্প্রচার করতে তাদের নিজস্ব ভিডিও প্ল্যাটফর্ম চালু করতে পারতেন তবে আমি বুঝতাম। তাছাড়া তাদের আগের বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে এই সিদ্ধান্তটি একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তারা কখনও কখনও তাদের সংগৃহীত ভিডিও স্বপ্রণোদিত হয়ে আপলোড করেছেন। মাঝে মাঝে সক্রিয়ভাবে ইউটিউব ব্যবহার করেছেন। [সম্পাদকের বাণীঃ কেন্দ্রগুলো প্রায়ই তাদের জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিকের একেবারে পূর্ণ-দৈর্ঘ্য পর্বগুলো আপলোড করে থাকে।]
@_room321 우회하니 넘 느려요..ㅠㅜ 외국 서비스 써보려고 우회해본 적은 있지만 국내 컨텐츠 보려고 우회해야 한다니 어처구니가 없어욬ㅋㅋㅋㅋㅋㅋㅋㅋㅋㅋ
— Rotring (@Rotring_) December 1, 2014
আমি অন্য উপায়ে দেখার চেষ্টা [কোরিয়াতে ইউটিউবে প্রচারসূচী দেখা] করি এবং এক পর্যায়ে ব্লক হবার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। এটা এতোটাই ধীর যে তা অত্যন্ত যন্ত্রণা দায়ক। আগেও আমি প্রক্সি ওয়েবসাইট ব্যবহার করেছি। তবে এইবার কেবল বিদেশি প্রচারসূচি দেখতে পেয়েছি, কোরিয়ান স্থানীয় প্রচারসূচী দেখতে পাইনি। এই পরিস্থিতি একেবারেই হাস্যকর।