তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগানের লজ্জাশরম একটু কমই আছে। সুযোগ পেলেই তিনি অদ্ভুত সব কথা বলে থাকেন। সম্প্রতি তিনি দাবি করেছেন, কলম্বাসের আগে মুসলিমরা আমেরিকা আবিস্কার করেছে। এ ঘটনার সম্মানে তিনি কিউবাতে একটি মসজিদ স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন।
১৫ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে লাতিন আমেরিকার মুসলিমদের এক সম্মেলনে এরদোগান বলেন:
It is alleged that the American continent was discovered by Columbus in 1492.In fact, Muslim sailors reached the American continent 314 years before Columbus, in 1178…in his memoirs, Christopher Columbus mentions the existence of a mosque atop a hill on the coast of Cuba. A mosque would look perfect on that hill today.
বলা হয়ে থাকে, ১৪৯২ সালে কলম্বাস আমেরিকা মহাদেশ আবিস্কার করেছেন। কিন্তু ঘটনা হলো, মুসলিম নাবিকরা কলম্বাসের ৩১৪ বছর আগে ১১৭৮ সালে আমেরিকায় পৌঁছায়। কলম্বাস তার স্মৃতিকথায়, কিউবার উপকূলে একটি পাহাড়ের ওপর একটি মসজিদের অবস্থানের কথা উল্লেখ করেছিলেন। আজকে ওই পাহাড়ে একটা মসজিদ চমৎকার মানাবে।
অরে ইজিন নামের একজন কলামিস্ট টুইটারে দেখিয়েছেন এরদোগান কোথায় মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন:
Apparently illiterate Erdogan thinks that Columbus saw a mosque in Cuba. Here's what actually happened. pic.twitter.com/E9NLkALJaq
— Oray Egin (@OrayinEnglish) November 15, 2014
অশিক্ষিত এরদোগান ভেবেছে যে, কলম্বাস কিউবায় মসজিদ দেখেছে। কী হয়েছিল এখানে তা দেয়া আছে।
এই বক্তব্য এরদোগানের নিজের না হয়ে তার পিছনে থাকা রক্ষণশীল কলামিস্ট এবং উপদেষ্টাদেরও হতে পারে। এদেরই একজন হলেন আবদুররহমান দিলিপাক। ১৯৮৪ সালে তিনি Coğrafi Keşiflerin İçyüzü বা দ্য রিয়েলিটি অব জিওগ্রাফিক্যাল ডিসকভারি নামে একটি বই লিখেন। বইটি সে সময়ে মুসলিম পাঠকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়েছিল।
দিলিপাক এরদোগানকে সমর্থন করে টুইট করেছেন:
Colomb ABD ye gitmeden önce İstanbulda kızıldeirli gelin vardı ya hu!
— Abdurrahman Dilipak (@aDilipak) November 17, 2014
কলম্বাস আমেরিকা যাওয়ার আগে ইস্তাম্বুলে ইন্ডিয়ান বধু ছিল!
তবে তুর্কি নেটিজেনরা এরদোগানের মন্তব্য নিয়ে হাসিতামাশায় মেতে উঠেন।
বোবিলার নামে একটি তুর্কি মিম ওয়েবসাইট, “এরদোগান কিউবায় একটি মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন” লেখা দিয়ে মিম বানায়। পরের দিন এটি চে গুয়েভারায় রূপ নেয়:
অন্য একটি মিম জেনারেটর হাভানার প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে, তার মিম প্রকাশ করে:
প্রেসিডেন্টের তত্ত্ব নিয়ে গুগল অনুসন্ধানেও বিপুল সংখ্যক অশোভনীয় ছবি এসেছে।
সবশেষে নেটিজেনরা প্রেসিডেন্টকে মহাজাগতিক স্তরে নামিয়ে এনেছে:
এখানে নীল আর্মস্ট্রং নিচের আত্মজীবনী লিখেছেন:
When we landed on the moon, we saw the ruins of a magnificent building. Buzz Aldrin and I were amazed as we approached the ruins. This was a small, elaborately-built Ottoman mosque. When we came back to earth, NASA and the American government ordered us not to talk about it… Neil Armstrong – Autobiography, 1997.
আমরা যখন চাঁদে অবতরণ করি, সেসময়ে আমরা একটি পুরোনো ভবনের ধ্বংসস্তুপ দেখতে পেয়েছিলাম। বাজ অলড্রিন এবং আমি ধ্বংসস্তুপ দেখে আশ্চর্য হয়েছিলাম। সেটা খুব ছোট ছিল। এটা ছিল একটি অটোমান মসজিদ। আমরা যখন পৃথিবীতে ফিরে আসি, তখন নাসা এবং মার্কিন সরকার এগুলো নিয়ে আমাদের কথা বলতে নিষেধ করে। নীল আমর্স্ট্রং- আত্মজীবনী, ১৯৯৭।