আগামীর রাশিয়ার জন্য কি কেবল খালি তাকগুলো অপেক্ষা করছে?

Shopping in tomorrow's Russia? Images edited by Kevin Rothrock.

আগামীর রাশিয়ায় কেনাকাটা? ছবি সম্পাদনা কেভিন রুথরক-এর।

বোরিস ইয়েলৎসিনের শাসনকাল থেকে শুরু হবার পর রাশিয়া এখন তার সবচেয়ে বড় মুদ্রা সঙ্কটের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, দৃশ্যত এতে রুশ ক্রেতারা দোকানের দিকে দৌড়াচ্ছে, যেন সেখানে যা পাওয়া যায়, তাই কিনে নেওয়া যায়।

১৭ ডিসেম্বর তারিখ মস্কো সময় রাত দুটোয় লাইভজার্নালে ফটোব্লগার ইলিয়া ভারলামোভ সংবাদ প্রদান করেছে যে মস্কোর শহর জুড়ে নাগরিকরা স্টোরের সামনে লাইন দিয়েছে,তারা দোকানের সব তাক খালি করে জিনিসপত্র কিনে নিচ্ছে এই ভয়ে, যদি কর্মদিবসের শুরুতে রুবেলের আরো দর পতনে পণ্যের দাম আরো বেড়ে যায়। যে ভাবে পারছে রুশ নাগরিকরা তাদের নিজেদের পকেট থেকে রুবেল ঝড়ে ফেলছে-হয় তারা ডলার বা ইউরোর বিনিময়ে রুবেল বিক্রি করছে, অথবা ইলেকট্রনিক, নিত্য পণ্য অথবা পোষাক কিনে রুবেল শেষ করছে।

মনে হচ্ছে সাধারণ রুশ নাগরিকরা পুরোপুরি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে,এবং স্বাভাবিক ভাবে তারা এই সামগ্রিক মন্দার বিষয়টি ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে নথিবদ্ধ করছে। এই কাজে তারা #кризис (সঙ্কট) এবং #ЧерныйВторник (কৃষ্ণ মঙ্গলবার) হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছে। রুবেলের ক্রমশ দর পতন ঘটছে, কিন্তু এই নিয়ে রাশিয়ার ইন্টারনেট কার্যক্রম প্রচণ্ড গতিতে বাড়ছে

ভারলামভ লিখেছে:

Вы спите, а завтра с утра во многих магазинах будут пустые полки.

Пока одни бегут в обменные пункты скупать валюту, другие штурмуют магазины. Берут все, что не успело подорожать, в основном, конечно, технику, продукты, одежду. Люди спешат избавиться от рублей. В круглосуточных магазинах прямо сейчас стоят огромные очереди. Немного шокирующие фотографии сейчас люди публикуют в соцсетях.

Из-за резкого снижения стоимости рубля по отношению к другим валютам Россия в считаные недели превратилась в центр мирового шопинга. Процессинговые компании фиксируют рост транзакций по банковским картам нерезидентов в российских магазинах, да и сами ретейлеры говорят о притоке покупателей-иностранцев.

আপনি হয়ত এখন ঘুমোচ্ছেন, কিন্তু কালকে সকালে উঠে দেখবেন অনেক দোকানের তাক খালি।

এদিকে অনেকে মুদ্রা বিনিময় করার জন্য ছুটছে, যারা একই সাথে ডলার কিংবা ইউরো কিনছে, অন্যরা ঝড়ের গতিতে দোকানে ছুটছে। যে সব পণ্যের গায়ে লেখা দাম এখন আকাশ ছোঁয়নি (মূলত ইলেকট্রনিক্সের পণ্য, নিত্যপণ্য এবং পোষাক) এমন যে কোন পণ্য তারা ছো মেরে নিয়ে নিচ্ছে। নাগরিকরা দ্রুত তাদের কাছে থাকা রুবেল খরচ করে ফেলছে। যে সমস্ত দোকান সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে, সে সমস্ত দোকানের সামনে সারা রাত লম্বা লাইন ছিল। নাগরিকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় খানিকটা ভয় জাগানিয়া ছবি প্রকাশ করছে।

অন্য মুদ্রার তুলনায় খুব দ্রুত রুবেলের দর পতন ঘটার কারণে, এক সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়া বিশ্বের এক অন্যতম কেনাকাটার স্থানে পরিণত হয়। যে সমস্ত কোম্পানি ক্রেডিট কার্ড সরবরাহ করে তারা রুশ দোকানগুলোয় বিদেশীদের প্রচুর পরিমাণ লেনদেন চিহ্নিত করেছে এবং রুশ খুচরা বিক্রেতারা নিজেদের মধ্যে প্রচুর বিদেশী ক্রেতা নিয়ে কথা বলছে।

ভারলামভ উল্লেখিত ইনস্টাগ্রামের কিছু ছবি রুনেট ইকো সংগ্রহ করেছে, তারা সেগুলোর শিরোনাম রুশ থেকে ইংরেজীতে অনুবাদ করেছে।

#Икеа#очередь#ажиотаж#всескупают

A photo posted by Olga (@tishkina07) on


মস্কোয়, আইকার মেগা বেলাইয়া ডাচা শপিং মল

Ахаха, это моя новая любимая тефлоновая сковородка! Сегодня после работы отстоял двухчасовую очередь в М.Видео, чтобы ее купить. Там такой дикий ажиотаж! Народ, прекрасно понимая, что из-за грехопадения рубля буквально завтра утром цены взлетят вверх в два, а то и три раза, раскупает телевизоры и другую крупногабаритную бытовую технику, как горячие пирожки. #ЭкономическийКризис #ОбвалРубля #Ад #ЧерныйВторник #ЕвроСтоРублей #EconomicDepression #BlackTuesday #МВидео #Евро100 #Доллар80 #Очередь #Шоппинг #Shopping #Ахаха #Ahaha

A photo posted by Arkadiy (@arkadiymo) on

আহাহা, এটা আমার প্রিয় ননস্টিকি ফ্রায়িং প্যান! আজকে দিনের কাজ শেষে এটা কেনার জন্য এমভিডিওর সামনে দুই ঘণ্টা ধরে এক লাইনে, এবং এখনো দাঁড়িয়ে। সেখানে এক উন্মাদনা বিরাজ করছে! নাগরিকরা এই বিষয়টি ভালভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছে যে রুবেলের দামের পতনের কারণে আগামীকাল সকালে দাম বেড়ে তা, দুই থেকে তিন গুণে দাঁড়াবে । কাজেই তারা টিভি এবং অন্যান্য ইলেকট্রেনিক্স পণ্য সামগ্রী কিনছে

#সঙ্কট #অচল #এমভিডিও #ক্রেজিপ্যান্টস #এইহচ্ছেরাশিয়া #ডলার #শপিং #লাইন #অর্থনৈতিকঅবরোধ #ইউরো #খালিতাক

#кризис #дефолт #мвидео #дурдом #этороссия #доллар #шопинг #очередь #санкции #евро

A photo posted by Первая ДВЕРНАЯ ФАБРИКА (@roman_dveri) on

#সঙ্কট #অচল #এমভিডিও #ক্রেজিপ্যান্টস #এইহচ্ছেরাশিয়া #ডলার #শপিং #লাইন #অর্থনৈতিকঅবরোধ #ইউরো

#очередь

A photo posted by Александра (@aleksandranosevich) on

আর এখান থেকে আপনি বুঝতে পাবেন না এই লাইনের শেষ কোথায়, লাইনটি ডানে বেঁকে সড়ক দ্বীপের দিকে গিয়েছে।

В #мвидео творится что-то невероятное. Не доллары, так #техника, #кризис

A photo posted by Anastasia Zavertyaeva (@smailik_n) on

এমভিডিওতে অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটছে, যদি কারো কাছে ডলার না থাকে তাহলে সে ইলেকট্রনিক্সের পণ্য সামগ্রী কিনছে।

…এমনকি আমি কল্পনাও করিনি যে সোমবার বিকেলে আমি আইকার কোন স্টোরে ৫ ঘণ্টা কাটাবো…

Решили съездить в #ikea

A photo posted by @stilet_designer on

আমরা আইকা স্টোরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।

অর্থনৈতিক অবরোধ কি সকলকে আতঙ্কিত করেছে? নাকি এটা এমনই এক কেনাকাটা। নতুন বছরের উপহার কেনার জন্য এখন মানুষ যে রকম কেনাকাটা করে?

যারা, দোকানের সামনে লম্বা লাইন এমন ছবি প্রদর্শন করেছে, রাশিয়ার কয়েকজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তাদের সমালোচনা করেছে, তার বলছে এটা রাশিয়ার সঙ্কট-কে অতিরঞ্জিত রূপে প্রদর্শন করা। যেমন একজন লাইফজার্নাল ব্যবহারকারী বলছে যে নাগরিকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়ানোর আরেকটা প্রচেষ্টা মাত্র:

не понимаю в чем новость вообще. на календаре 17 декабря, последние годы эти очереди с безумцами в магазинах и пробки вокруг торговых центров – обычное дело для предновогодней истерии.

আমি জানি না সংবাদটি আসলে কিসের। এটা ১৭ ডিসেম্বর, আর বিগত কয়েক বছর ধরে দোকানের সামনে উন্মাদ লোকেরা লাইন ধরে এবং শপিং মলের আশেপাশে ট্রাফিক জ্যাম বাঁধায়, নববর্ষের শুরুর আগে যে উন্মাদনা এটি তার এক স্বাভাবিক দৃশ্য।

ছুটির সময় উপহার প্রদানের জন্য কেনাকাটার কারণে তৈরী হওয়া চাপ অথবা ইনস্টাগ্রামের প্ররোচনায় তৈরী হওয়ায় আতঙ্ক, সে যাই হোক না কেন, রুবেলের ক্রয় ক্ষমতা ক্রমশ কমে আসতে থাকার বিষয়টি রাশিয়ার ক্রেতারা যে উপলব্ধি করতে পেরেছে সে বিষয়টি অস্বীকার করা যায় না। তারা দ্রুত ডলার, ইউরো, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, জ্যাকেট, খাবার এবং কে জানে কোন জিনিসে তাদের মুদ্রা বিনিয়োগ করছে, যা দেখাচ্ছে যে দেশের অর্থনীতির প্রতি নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কম আত্মবিশ্বাস-আর সেই আত্মবিশ্বাস এতটাই কমে এসেছে যে তা এমনকি মঙ্গলবার রাতেও নাগরিকদের আইকার স্টোরের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করছে।

কেভিন রুথরক এই প্রবন্ধটি তৈরীতে সাহায্য করেছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .