
যখন পাকিস্তানী কিশোরী মালালা ইউসুফজাই তার নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করছিলেন, তখন মেক্সিকোর এক ছাত্র আডান কোর্টেজ লাফিয়ে মঞ্চে উঠে পড়ে। স্ক্রিনশট ইউটিউব থেকে নেওয়া।
নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিঘ্ন ঘটানো মেক্সিকোর উক্ত ছাত্রের মা একটি ভিডিও তৈরী করেছে, যেটিতে তিনি বলছেন অসলোতে তার সন্তান কি অবস্থায় আছে তা তিনি জানেন না,এবং যারা তার ছেলের এই কাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে তাদের তিনি সমালোচনা করেছেন।
২১ বছর বয়স্ক আডান কোর্টেজ, যে দি ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি অফ মেক্সিকোর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক ছাত্র, মালালা ইউসুফজাই-এর নোবেল শান্তি পুরস্কার ভাষণে বাঁধা প্রদান করে। কোর্টেজ মেক্সিকোর জাতীয় পতাকা নিয়ে দ্রুত মঞ্চে উঠে পড়ে এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করা ও সে ভবন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে সে কোন রকমে উচ্চারণ করতে সমর্থ হয়, মালালা,দয়া করে মেক্সিকোর কথা বল!
উক্ত ছাত্রের ভাই ফেসবুকে তার মায়ের গণ আবেদন পোস্ট করেছে, সেখানে সে লিখেছে, এখানে একটি ভিডিও পোস্ট করা হল যার মধ্যে দিয়ে আমার মা, আমার ভাই আডান কোর্টেজ-এর বর্তমান পরিস্থিতি সম্বন্ধে সবাইকে জানাতে চায়। দয়া করে এটা সবাইকে জানান। ধন্যবাদ”। কোর্টেজের ভাইয়ের মতে নিখোঁজ এবং সম্ভবত গণ হত্যার শিকার মেক্সিকোর আয়োতজিনাপার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ৪২ জন ছাত্রের ঘটনার প্রতি সে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করতে চেয়েছিল।
অসলো পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র জন ফ্রেডরিকসেন সাংবাদিকদের বলে যে আডান, “মেক্সিকোর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি আগ্রহী এবং রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন জানিয়েছে”, কিন্তু এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে যে নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের এই ঘটনার আগে তার দরখাস্ত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং তাকে নরওয়ে থেকে চলে যেতে হবে।
কোর্টেজের মা, সাংবাদিক জোয়াকিন লোপেজ ডোরিগার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে সে তার ছেলের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা থেকে তার তরুণ বয়সের এক ছবি নিয়ে জনগণকে তার বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছে।
মাত্র ১৭ বছরে বয়স্কা মালালা ইউসুফজাই ( যার ভাষণের সময় কোর্টেজ তাকে থামিয়ে দিয়েছিল) বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়স্ক নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। ভারতীয় শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থীর সাথে যৌথ ভাবে সে এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেছে।
কোর্টেজের ভাই, তার ফেসবুক একাউন্টে কোর্টেজ সম্বন্ধে তাজা সংবাদ প্রদান করে যাচ্ছে।