দক্ষিণপূর্ব এশিয়া বেশ কয়েকটি বাঘের প্রজাতীর বাসস্থান যেগুলোকে বাসস্থান ধ্বংস হওয়া ও অবৈধ শিকারের ফলে বিপন্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মালয়শিয়াতে মাত্র ২৫০ থেকে ৩৪০টি মালয়ী বাঘ জীবিত আছে। কম্বোডিয়ার বন্য বাঘের সংখ্যা ৩০এর বেশী হবে না বলে অনুমান করা হয়। ভিয়েতনাম এবং লাওস উভয় দেশেই ৩০টি করে বাঘ আছ্। বৃহত্তর মেকং অঞ্চলে প্রায় ৩৫০টির মতো বিপন্ন ইন্দোচীনা বাঘ বেঁচে রয়েছে। এখন ইন্দোনেশিয়াতে শুধু প্রায় ৪০০-এর মতো সুমাত্রা বাঘ জীবিত আছে।
বন্য মালয়ী বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে বাঘের জন্য মালয়শিয় সংরক্ষণ জোট বা মাইক্যাট আরও বেশী বাঘ চৌকি দলকে টহলে বসানো এবং জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কার্যপরিকল্পনা এবং কেন্দ্রীয় বনভূমির মেরুদণ্ড মূখ্য পরিকল্পনার বাস্তবায়নের পর্যালোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছে। দলটি সরকাররের কাছে আর্জি জানিয়েছে যেন সরকার আর একটি জাতীয় বাঘ জরিপ পরিচালনা করে, এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বন্য বাঘের সংখ্যা ১,০০০এ উন্নিত করতে লক্ষ্য স্থির করে।
ইতোমধ্যে বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিল বা ডাব্লিউডাব্লিউএফ বন্য বাঘের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সম্মিলিত বাসস্থান হিসেবে বিবেচনা করা বৃহত্তর মেকং অঞ্চলে বন্য বাঘের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ার বিষয়ে সতর্কবাণী ব্যক্ত করেছে। ১৯৯৮ সালে কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের জঙ্গলে ১,২০০ ইন্দোচীনা বাঘ ছিল কিন্তু সেগুলোর সংখ্যা এখন ৩৫০এ নেমে গেছে।
ডাব্লিউডাব্লিউএফ-এর তথ্য অনুযায়ী অবৈধ শিকারীরা বাঘগুলোকে শিকার হিসেবে লক্ষ্যস্থির করেছে ‘যাতে সনাতন ঔষধ তৈরীতে ব্যবহৃত বাঘের দেহাংশের বর্ধিত চাহিদা মিটাতে পারে।’ বাঘগুলো ‘অটেকসই অবকাঠামোর উন্নয়ন’ দ্বারা সৃষ্ট ‘বাসস্থান ভাগ’ হয়ে যাওয়ার ফলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রেস্তরাঁগুলোতে বাঘের মাংসের বানিজ্যিক চাহিদাও বাঘগুলোকে অনবরত বনভূমি থেকে শিকার করে হত্যা করার আরও একটি কারণ। এদিকে সুমাত্রা দ্বীপের বনভূমির দ্রুত ধ্বংস বিপন্নপ্রায় সুমাত্রিয় বাঘদের জন্য প্রধান হুমকি।
একটি ক্যামেরা ফাঁদ থেকে তৈরী এই ভিডিওটি বন্য অবস্থায় সুমাত্রিয় ব্যঘ্রশাবকগুলোকে চিত্রায়িত করতে সক্ষম হয়েছে:
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সরকারগুলোকে পরিবেশবাদীদের সাথে একত্রে কাজ করতে হবে যাতে এই অঞ্চলে বাকী বাঘগুলোকে সুরক্ষা করা যায়। তাদের জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ যে বাঘগুলো মৃত থেকে জীবিত অবস্থাতেই সবচেয়ে বেশী মূল্যবান।