ইয়েমেনের ২০১১ সালের জনপ্রিয় গণজাগরণ সে দেশের বিতাড়িত রাষ্ট্রপতি সালেহ-এর ৩৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটায়। এই ঘটনার পর দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ নাগরিকের এই দেশে আসলে কতটুকু পরিবর্তন ঘটেছে?
এই গণজাগরণের পর দেশটির আরো বেশী গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠার কথা,কিন্তু একটিভিস্টরা বলছে,এর লক্ষ্য কখনোই অর্জিত হয়নি। মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের হার এখনো তীব্র।একদিকে সরকার আল কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াই-এ তার সম্পদ অকাতরে ব্যয় করছে, অন্যদিকে সরকার দেশটির হোউথি যোদ্ধাদের সাথে লড়াই করছে, কিন্তু তাদের ধ্বংস করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
যখন সামরিক বাহিনী এবং হোউথি যোদ্ধারা সকল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ইয়েমেনের জনগণের কোন কণ্ঠস্বর নেই।
এক অভিনব এবং বিতর্কিত পরিবর্তিত প্রক্রিয়া, যা জাতীয় আলোচনা সম্মেলন (এনডিসি) নামে পরিচিত, সেই দিকে গণজাগরণ এগিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এনডিসি-এর দশ মাস সময়ে, ইয়েমেনের তরুণ,নারী, সুশীল সমাজ, প্রান্তিক সামাজিক গোষ্ঠী,এবং তাদের সাথে দেশটির রাজনৈতিক অভিজাত শ্রেণীর সামনে সুযোগ এসেছিল একসাথে বসে ইয়েমেনকে নতুন ভাবে গড়ার ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য।
প্রায় এক বছর আগে এই সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটেছে এবং ইয়েমেনের নাগরিকরা তাদের উপলব্ধির জন্য এনডিসির ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে।
জিভি অভিব্যক্তির এই সংখ্যায় একটিভিস্টদের সঙ্গে কথা বলব এনডিসির সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত ফল এবং ইয়েমেনের জন্য বর্তমানে যা জরুরী প্রয়োজন তা কি তারা পুরন করতে পারবে বলে মনে করে কিনা এই নিয়ে। ইয়েমেনের বর্তমানে যে কর্মকাণ্ড দেখা যাচ্ছে এবং ইয়েমেনের তরুণরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কি আশা করে ও কি ধরনের স্বপ্ন দেখে সে বিষয়েও তাদের সাথে কথা বলব।
আমাদের বক্তা:
হিশাম আল ওমেইসি: ইয়েমেনের সক্রিয় টুইটার ব্যবহারকারী এবং তথ্য বিশ্লেষক এবং যোগাযোগ বিষয়ক উপেদেষ্টা। বাস সানাতে।
আরাফ নাসের: ইয়েমেনের মানবাধিকার কর্মী, ব্লগার এবং ফিল্যান্স সাংবাদিক, ২০১১ সাল থেকে সুইডেনে বাস করছে।