
সিরিয়ার কাফরানবেল-এর মাযাইয়া সেন্টারে কর্মরত নারী। সূত্র দি মাযাইয়া সেন্টার।
এই পোস্ট ইতোপূর্বে সিরিয়া আনটোল্ড-এ প্রকাশিত হয়েছে।
“রাত তখন তিনটা। যখন এলাকার নাগরিকরা ধোঁয়ার গন্ধ পেল, তখন তারা কেন্দ্রে গেল। সেখানে তখন আগুন ধরেছে। সবকিছু কালো হয়ে গিয়েছিল, বিশেষ করে যে ঘরটা লাইব্রেরী রয়েছে”।
মাযাইয়া সেন্টারের প্রধান নোউর, এই শব্দসমূহ দিয়ে সিরিয়া আনটোল্ডকে ঘটনার বর্ণনা প্রদান করছিল,যে প্রতিষ্ঠানটি নারীদের সাক্ষাৎ ও শিক্ষণের জন্য এক উষ্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। ১০ নভেম্বর ২০১৪–এটা জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
যদিও দুষ্কৃতিকারীদের এখনো কেউ চিহ্নিত করতে পারেনি, কিন্তু কাফরানবেল–এর নাগরিকরা শহর দখল করে রাখা উগ্রপন্থীদের দিকে অঙ্গুলী নির্দেশ করছে। মনে হচ্ছে কেন্দ্রের নারীর ক্ষমতায়ন বার্তা এবং নারী কেন্দ্রিক কর্মকাণ্ডকে কেউ কেউ হুমকি হিসেবে দেখছে।
একটিভিস্ট এবং শিল্পী রায়েদ ফারেস উল্লেখ করছে “নারীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা, যারা সিরিয়ার সমাজ নির্মাণের মূল উপাদান, তারা ওইসব উগ্রবাদী দলের লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে প্রধান নির্ধারক।
নোউর এর সাথে যোগ করেছে “ এই হামলার উদ্দেশ্য চুরি নয়, অন্তর্ঘাত”।
তবে, মাযাইয়ার নারীরা উগ্রবাদীদের হামলার মুখেও দৃঢ়তা প্রদর্শন করছে। তারা কেন্দ্রটি আবার গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, তারা ধোঁয়া থেকে বইগুলো পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে এবং সকল কিছু আবার তাঁকে এমনভাবে তুলে রাখছে, যেন কিছুই ঘটেনি।
দুষ্কৃতিকারীদের উদ্দেশ্য নোউর বলেন তারা যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার থেকে এই শক্তি অর্জিত হয়েছে। এই রকম ভয়ঙ্কর অপরাধ ঘটানোর যোগ্যতা থাকা সত্বেও, আপনার দূর্বল। আপনাদের ভাষা হচ্ছে খুনী, তস্করের, এবং যারা আগুন দেয় তাদের, এ এমন এক ভাষা যা আমরা বুঝতে পারি না।
এই ধরনের ঘটনা রোধ করার জন্য, সক্রিয় কর্মীরা রাতে টহল দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। এছাড়াও নোউর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দাবী করেছে এই কেন্দ্রে অস্তিত্বের বিষয়টি যেন তারা হিসেবের মধ্যে আনে, বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় একটি দলের জন্য। নোউর যারা এই একই বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে সেই সুশীল সমাজকে আরো ঐক্যবদ্ধ হবার এবং নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছে।
এর উপসংহারের, শিল্পী রায়েদ ফারেস গুরুত্ব দিয়েছে যে যদিও তা এক বেদনাদায়ক ঘটনা, তবে এটি মাযাইয়া নারীদের চেতনাকে ভাঙ্গতে পারেনি:
“কিছু হাত সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে কিছু করার এবং অন্যদের জীবন উন্নত করার জন্য, এদিকে অন্যরা ধ্বংস করছে এবং জ্বালিয়ে দিচ্ছে। মাযাইয়া কেন্দ্র আবার সক্রিয় হবে এবং তা কেবল কিছু দেওয়াল এবং যন্ত্রপাতির কেন্দ্র হবে না, তার বদলে এটি হবে অক্লান্ত পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টার শহর।
এই পোস্ট ইতোপূর্বে সিরিয়া আনটোল্ড-এ প্রকাশিত হয়েছে