কাজাখস্তানের বিজ্ঞানীরা ইবোলা রোগের ভ্যাকসিন আবিস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেন

ebola

অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে ইবোলা ভাইরাস। ছবি নেয়া হয়েছে ফ্লিকার ব্যবহারকারী এনআইএইড-এর কাছ থেকে। সিসি বিওয়াই ২.০।

গত কয়েক মাসজুড়ে সারাবিশ্বেই ইবোলা রোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। মধ্য এশিয়ার দেশগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে সবচে’ আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, কাজাখস্তানের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে তারা ইবোলা রোগের ভ্যাকসিন আবিস্কারের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রথম ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে এর ভয়াবহতা উপলদ্ধি করে হাজার মাইল দূরের মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতেও এটা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। নিরাপত্তার খাতিরে উজবেকিস্তান আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় অংশগ্রহণের জন্য পশ্চিম আফ্রিকার পাঁচটি দেশ থেকে খেলোয়াড় আসা নিষিদ্ধ করে। তাছাড়া দেশটির সবগুলো বিমানবন্দরে থার্মাল ক্যামেরাসহ পরীক্ষার জন্য নানা ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপন করে। কিরগিজস্তানও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করে। ফলমূলের মাধ্যমে ইবোলার জীবাণু ছড়ানোর আশংকায় তাজিকিস্তান সকল কলা বিক্রেতাকে ক্ষুদেবার্তা দিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়। যদিও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ফলমূলের মাধ্যমে ইবোলার জীবাণু ছড়ায় না। তাছাড়া দেশটির শুল্ক বিভাগের বক্তব্য হচ্ছে, তাজিকিস্তান পশ্চিম আফ্রিকা থেকে কলা আমদানি করে না।

তবে এ ধরনের ভ্রমগ্রস্ত অবস্থার মাঝেও ইবোলা নিয়ে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করেছেন কাজাখস্তানের বিজ্ঞানীরা। তারা দাবি করেছেন, খুব দ্রুতই তারা ইবোলার ভ্যাকসিন আবিস্কার করতে পারবেন। তবে কাজাখ নেটিজেনরা বিজ্ঞানীদের বক্তব্য খণ্ডনের চেষ্টা করেছেন

মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর চিকিত্সাবিজ্ঞান এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা অন্য অঞ্চলের তুলনায় খুব ভালো অবস্থানে নেই। তাছাড়া তাদেরকে প্রায়ই কঠিন সমস্যার মুখে পড়তে হয়।

তবে কাজাখ রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সিকিউরিটি-এর জেনারেল ডিরেক্টর আবিলাই সানসিজবাই এবং তার দল ভ্যাকসিন আবিস্কারের ব্যাপারে খুব আত্মবিশ্বাসী। যদিও দেশটির চারটি গবেষণাগারে ভাইরাস নিয়ে কাজ করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক নির্দেশিত প্রয়োজনীয় জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।

Если мы от ВОЗ получим новый штамм Эболы, мы можем у себя потихоньку начать работу в лаборатории третьего уровня безопасности. Для этого должна приехать комиссия, рассмотреть условия

যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন ইবোলা ভাইরাসের নমুনা দেন, তাহলে আমরা আমাদের জৈব নিরাপত্তা সম্পন্ন তিনটি গবেষণাগারে কাজ শুরু করতে পারি। একটি কমিশন এসে আমাদের গবেষণাগারের সুবিধাগুলো দেখে যেতে পারেন।

Tengrinews.kz-এ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ব্যঙ্গবিদ্রুপ শুরু হয়:

Видимо директор не знает о гибели наших граждан от неправильного диагноза в наших больницах!!!! Может сначала научиться там, а потом эбола….

মনে হচ্ছে আমাদের পরিচালক সাহেব জানেন না, কিছু কিছু হাসপাতালে ভুল চিকিত্সার কারণে রোগী মারা যান। ভালো হয় এই ইস্যুগুলো নিয়ে আগে কাজ করলে। পরে না হয় ইবোলা নিয়ে কাজ করা যাবে…

অন্য একজন নেটিজেন কট-কটিক মন্তব্য করেছেন:

ВОЗ, умоляю, – не давайте нашим псевдоучённым штамм Эбола!!!! Они то то с “сонной болезнью” в Калачах разобраться не могут, это как детям – нельзя давать опасные игрушки!

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আপনাদের কাছে মাফ চাই। দয়া করে আমাদের ভণ্ড বিজ্ঞানীদের কাছে ইবোলা ভাইরাসের নমুনা পাঠাবেন না। তারা কালাচি গ্রামের “স্লিপি সিকনেস” নিয়েই কাজ করতে পারে না। এটা বাচ্চাদের হাতে বিপদজনক খেলনা তুলে দেয়ার সমতুল্য হবে।

অল্প কয়েকজন নেটিজেনের একজন হলেন টাউলি যিনি সানসিজবাইয়ের আত্মবিশ্বাসকে সবার সাথে শেয়ার করেছেন:

Не надо ребята. это не шутки, этому институту более 80 лет.Поэтомувполне возможно создание.Самый сильный институт Снг или может в мире.поэтому я верю

ভদ্র মহোদয়গণ, বিষয়টি এতোটা বাজেভাবে নিয়েন না। এটা নিছক কোনো মজা নয়। ইনস্টিটিউট ৮০ বছরের পুরোনো। তাছাড়া এটা অবশ্যই করতে পারার মতো একটা কাজ। এটি কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি শক্তিশালী গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সম্ভবত বিশ্বের মধ্যেও। আমি বিশ্বাস করি এটি সম্ভব।

তবে আলবিনা মোটেও প্রভাবিত হননি:

От этой новости я чуть со смеху не умерла,не дожидаясь эболы. Наши. Могут. Создать. Вакцину.??? Что за брееееед. 

ইবোলা নয়, এই খবর শুনে আমি মারাই যাচ্ছিলাম। আমাদের বিজ্ঞানীরা কি ভ্যাকসিন আবিস্কার করতে পারবেন? কী আজেবাজে কথা?

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .