জাপানের দীর্ঘ শীতকালের কেবল শুরু

japan cold snap

এএনএন সংবাদ সংস্থার একটি সংবাদের স্ক্রিনশট

বিগত আট বছরের মধ্যে এই প্রথম জাপান ডিসেম্বরের ঠিক শুরুতে হিমেল বায়ুপ্রবাহ (寒波, অথবা কানপার) অভিজ্ঞতা লাভ করেছে।

আবহাওয়াবিদদের মতে,১ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাপানে ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে, তবে জাপানে সাধারণত কেবল ফেব্রুয়ারী মাসে এই ধরনের আবহাওয়া দেখা যায়।

এই ঠাণ্ডা শীতের আবহাওয়া টিভিতে দারুণ ভাবে একের পর এক বায়ুর কারণে সৃষ্টি ঝড়,বিপর্যস্ত গাড়ি চালানোর মত পরিস্থিতি এবং বরফে ঢাকা দৃশ্যাবলী তৈরী করেছে, বিশেষ করে যখন তীব্র শীত জাপানের দ্বীপপুঞ্জে হানা দিয়েছে, এই ঘটনা দেশজুড়ে নানান ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

সাধারণত জাপানের শীতের মাঝামাঝি সময়ের যে ধরন, তখন সাইবেরিয়া থেকে এক ঠাণ্ডা বাতাস জাপান সাগরের উপর দিয়ে বয়ে যায়, অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বে ক্ষেত্রে তৈরী হওয়া “হ্রদ প্রভাব” –এর মত, যে সময় জাপানে ঠাণ্ডা, মহাদেশ থেকে বয়ে আসা শুষ্ক বাতাস আদ্রতা শুষে নেয় যা সে তুলনামূলক ভাবে জাপান সাগরের উষ্ণ স্রোত থেকে গ্রহণ করে।

এর ফলে মহাদেশীয় মূল ভূখণ্ডে প্রবেশের আগে জাপান সাগরের উপকূলে ভারী তুষারপাত ঘটায়।

জাপানের উত্তর থেকে পূর্ব দিকে যে পাহাড় শ্রেণী দাঁড়িয়ে আছে তা এক দেওয়ালের কাজ করছে, এটি বরফপাত ঘটায় এমন ধরনের আবহাওয়াকে ঠেকিয়ে রাখে। টোকিও এবং প্রশান্ত উপকূলীয় অঞ্চলের শহরগুলো সাধারণ ঠাণ্ডা, শুষ্ক,এবং রৌদ্রজ্জ্বল শীত উপভোগ করে থাকে, যদিও জাপানের সমুদ্র উপকূল মার্চের শেষ পর্যন্ত বরফে ঢাকা এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।

সাম্প্রতিক ঠাণ্ডা আবহাওয়া নেমে আসার সাথে সাথে, ইতোমধ্যে হোক্কাইডোর সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপ-এর আঘাতে বিপর্যস্ত, যেমনটা এর ইনস্টাগ্রামে তুলে ধরা রুমোই-ছবিতে প্রদর্শিত:

るもいのよるは吹雪

A photo posted by kuma chu (@bearbrichu) on

রুমোই-এ তুষারঝড়

দক্ষিণে, বছরের প্রথম তুষারপাতে আমোরি ঢেকে গেছে, শহরের কেন্দ্রস্থলে সাত সেন্টিমিটারের মত তুষারপাত ঘটেছে:

এক অসাধারণ সুন্দর দৃশ্য! বরফই সেরা!

কিয়োটোর উত্তরে অবস্থিত মিয়াজু শহরের কাছে অবস্থিত বিখ্যাত “স্বর্গের ঝুলন্ত সেতু” আমানোহাশিদাতে দুর্লভ ভাবে বরফে ঢেকে আছে:

A photo posted by 太田あや乃 (@ayanoncham) on

হোক্কাইডোতে ফিরে আসা যাক, শিমুকাপ্পু শহরের কাছে সিঙ্গাপুরের পর্যটক ভর্তি এক বাস বরফ দ্বারা ঢাকা এক রাস্তায় পিছলে পড়ে গেলে তা জাতীয় সংবাদের শিরোনামে পরিণত হয়:

পর্যটকে পরিপূর্ণ এক বাস রাস্তার কিনারে পড়ে গছে, এই ঘটনায় ১৮ জন সামান্য আহত হয়েছে। রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

নিগাতা শহরের দক্ষিণ পশ্চিমে ৪০২ নাম্বার সড়কে , বাতাসের গর্জন শোনা যাচ্ছে, যা ৩৩.৮ মিটার/ সেকেন্ডে বয়ে গিয়ে জাপানের উপকূলে ঝড়ের সৃষ্টি করছে :

#日本海#西蒲区

A photo posted by 佐藤 謙太 (@kkkkenta) on


#Japan Sea #Nishiura District

হোনশু পর্বত মালার ইয়োকোটো চূড়ার এই দৃশ্য প্রদর্শন করছে, জাপানের দীর্ঘ শীতকালের কেবল শুরু:

দুঃস্বপ্নের শেষ হতে এখনো দীর্ঘ সময় বাকী।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .