জাপানে এখন মাখনের ঘাটতি চলছে। এই ঘাটতিই ক্রিসমাসের আয়োজনকে শঙ্কার মুখে ফেলে দিয়েছে। জাপানিরা প্রতিবছর শীতের সময়ে ক্রিসমাস কেক বানিয়ে সবাইকে উপহার দিতে পছন্দ করেন। আর এই কেক বানাতেই দরকার পড়ে মাখনের।
【クリスマス中止のお知らせ】今年は深刻なバター不足によりクリスマスケーキが買えなくなる可能性が浮上 http://t.co/ZUlRQJeBzn pic.twitter.com/De8HhnGUKm
— はちま起稿 (@htmk73) November 12, 2014
সবার মনোযোগ আকর্ষণ করছি: মাখন ঘাটতির কারণে জাপানে ক্রিসমাস উদযাপন স্থগিত করা হয়েছে। জাপানে ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস কেক কিনে বড়দিন পালন করা সম্ভব হবে না।
যদিও জাপানে বড়দিনের কোনো ছুটি নেই। তবে তারা ঐতিহ্যগতভাবে রোস্ট, ডুবোতেলে ভাজা মুরগি এবং ক্রিসমাস কেক দিয়ে দিনটি উদযাপন করে থাকেন। জাপানের ক্রিসমাস কেক সাধারণত স্পঞ্জ কেক অথবা শর্টকেক হয়ে থাকে। আর এর উপরের দিকে স্ট্রবেরি এবং হুইপ ক্রিম দেয়া থাকে।
কেকের উপরিভাগে দেয়ার জন্য মাখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ:
ピアノのクリスマスケーキ! 成城風月堂 バタークリームのピアノケーキ pic.twitter.com/GDfZNzmTSc
— クリスマスケーキ2014が町にやってきた (@Christmascake14) November 20, 2014
পিয়ানো সদৃশ ক্রিসমাস কেক। সেইজুফিউগেটসুডোর মাখন দেয়া পিয়ানো কেক।
জাপানে মাখনের ঘাটতি প্রথম দেখা দেয় ২০১৪ সালের শুরুর দিকে। সে সময়ে সরকার ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে মাখন আমদানির প্রতিশ্রুতি দেয়।
জাপানের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মতে, মাখনের ঘাটতির সাথে জাপানের গ্রীষ্মকালের উষ্ণতা বৃদ্ধির একটা সম্পর্ক রয়েছে। কারণ অতিরিক্ত গরমে পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ায় গাভীগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ দিতে পারে না।
কৃষি মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, জাপানের গ্রামগুলোতে বয়ষ্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এতে করে গরু পালন করবেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কমে গেছে:
There were some 82,000 dairy-farming households in fiscal 1985, raising around 2.11 million domestic animals. The figures have dropped since then, however, and the number of farmers this fiscal year totals around 19,000, with some 1.4 million animals. In just five years from fiscal 2009, the volume of raw milk production has dropped by about 5 percent, from 7.88 million metric tons to 7.45 million tons.
১৯৮৫ সালে জাপানে গরু পালন করেন এমন পরিবারের সংখ্যা ছিল প্রায় ৮২,০০০। সেসব পরিবারে গৃহপালিত গরুর সংখ্যা ছিল প্রায় ২.১১ মিলিয়ন। পরে এই সংখ্যা অনেক কমে যায়। আর এখন গরু পালন করেন এমন পরিবারের সংখ্যা প্রায় ১৯,০০০। আর গরুর সংখ্যা ১.৪ মিলিয়ন। ২০০৯ সাল থেকে গত পাঁচ বছরে দুগ্ধ উৎপাদন ৫ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে। পরিমাণে দেখতে গেলে ৭.৮৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন থেকে ৭.৪৫ মিলিয়ন টনে এসে দাঁড়িয়েছে।
(কেউ আগ্রহী হলে, জাপান মাখন উৎপাদন নিয়ে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে তা এনএইচকে ব্যাকগ্রাউন্ডার-এ গিয়ে দেখতে পাবেন। )
বিদেশ থেকে মাখন আমদানি করা হলেও সাথে সাথে তা ফুরিয়ে যায়।
本当にバター売ってないな~。 pic.twitter.com/5C9r1cBC08
— 小林 健志 (@cobatake) November 15, 2014
হা হা হা! বেচার মতো কোনো মাখন তাদের কাছে নেই।
জাপানে ক্রিসমাসের আগে মাখন ঘাটতি পড়ায় ইন্টারনেটে “উদ্বাস্তু মাখন” নামে নতুন একটি মিম বানানো হয়েছে:
『バターがない(゚Д゚)』全国から届く深刻なバター難民のツイート – NAVER まとめ http://t.co/HltjvzTH6g
— justastarter (@justastarter1) November 2, 2014
কোথাও মাখন নেই। “উদ্বাস্তু মাখন” নিয়ে জাপানের সবাই টুইটারে আলোচনা করছেন। সবার মন্তব্য এখানে সংকলন করা হয়েছে: http://t.co/HltjvzTH6g
バター不足って一時的なものなのかと思って調べてみたら、かなり深刻じゃないか……
— 絆を紡ぐちよ (@bunealopunny) November 20, 2014
আমি ভাবছিলাম মাখনের ঘাটতি বোধহয় সাময়িক কোনো সমস্যা। কিন্তু আমি আরো একটু গবেষণা করে দেখলাম যে, এটা আসলে গভীর একটা সমস্যা।
ক্রিসমাস আয়োজনে প্রভাব পড়ার বিষয়টি উপলদ্ধি করে অনেক টুইটার ব্যবহারকারী সজাগ হয়েছেন।
クリスマスを前に近所のスーパーからバターが消えた。生乳不足は恒常的になりつつあるのかもですが、クリスマスケーキシーズンが終わるまでの辛抱なのかなあ。
— うつぼざる (@marmot02) November 9, 2014
সামনেই ক্রিসমাস। আর এ সময়েই কিনা আমার বাড়ির পাশের সুপারমার্কেট থেকে মাখন লাপাত্তা!মনে হচ্ছে সমস্যাটা দীর্ঘস্থায়ী রুপ পেতে যাচ্ছে। তবে আমি আশা করি ক্রিসমাস সময়ে আমরা এটা পেয়ে যাবো হয়তো।
যারা ক্রিসমাসের সময়ে নিখুঁত কেক বানাতে চান, তাদের সব আশা শেষ হয়ে যায়নি যদিও। জাপানি ভাষায় ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিওতে স্ক্র্যাচ থেকে কীভাবে মাখন বানানো যায়, সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।