নতুন এক বই, ফেসবুক পোস্টে সৃষ্টি ইউক্রেনের ইউরোমেইদান-এর কাহিনী তুলে ধরছে

A new Ukrainian book tells the story of Euromaidan in hundreds of Facebook posts. Photo from Facebook.

নতুন এক বই ফেসবুকের শত শত পোস্টের মাধ্যমে ইউরোমেয়দান-এর কাহিনী বর্ণনা করছে। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।

গত শরতে ইউক্রেনে যে ইউরোমেয়দান বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় তাতে সোশ্যাল মিডিয়া এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ঘটনায় ইউক্রেনের নাগরিকরা ফেসবুক এবং টুইটারে লক্ষ লক্ষ তাজা সংবাদ প্রদান করছে, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে হাজার হাজার ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। এর মানে হচ্ছে এই বিক্ষোভের একটা উল্লেখযোগ্য অংশের ইতিহাস শুধুমাত্র অনলাইনে সংরক্ষিত রয়েছে।

একটি নতুন পুস্তক, যার পুরোটাই লেখা হয়েছে ফেসবুকের ৭০০ পোস্ট দিয়ে, যা নভেম্বর ২০১৩ –থেকে ২০১৪-এর জুন পর্যন্ত চলা আন্দোলনের ঘটনাপঞ্জি তুলে ধরছে, আর সেগুলো ধারণ ও উল্লেখ করছেইউক্রেনের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। এই বইয়ের শিরোনাম “ফ্যান্টমপেইন#মেইদান” এই যুগান্তকারী পরিবর্তন-এর স্মৃতির প্রবহমান ধরনকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে যা এই বিক্ষোভ ঘনিয়ে ওঠা এবং তার পরে ঘটেছিল, এবং এটি সেই সমস্ত ব্যক্তিকে স্মরণ করছে যারা এই বিক্ষোভের সময় সংঘঠিত দাঙ্গা জীবন হারিয়েছে। এই বইয়ের লেখিকা এবং লেখক যারা উভয়ে একই সাথে ইউরোমেয়দানের একটিভিস্ট, সেই আনাস্তাসিয়া সাভায়তস্কা এবং আন্দ্রেই মেরোহোরোদেস্কি বলছে যে প্রথমে চিন্তাটা ছিল একটা ছবির এ্যালবাম তৈরী করা, যার সাথে থাকবে ফেসবুকের পোস্ট থেকে লেওয়া কিছু লেখা, কিন্তু পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ার লেখাগুলো এই বইয়ে জায়গা নিয়ে নিয়েছে। আনাস্তাসিয়া উল্লেখ করেছে, কোন কোন পোস্ট গ্রহণ করা হবে এই সিদ্ধান্ত নিতে তার দুই মাস সময় লেগেছে।

Можна сказати, що відтепер ми маємо матеріальне втіленні революції, яка сталася у Facebook. Що стосується відгуків читачів, то люди у більшості випадків кажуть, що поки не можуть прочитати книгу – надто живими і болючими є спогади.

এখন আপনারা বলতে পারেন এই বিপ্লবের এক বস্তুগত প্রতিনিধি রয়েছে যা ফেসবুকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই বিষয়ে পাঠকদের থেকে আসা প্রতিক্রিয়ায় জানা গেছে, বইটি পড়তে এখনো তাদের সমস্যা হচ্ছে-কারণ এর স্মৃতি বড্ড যন্ত্রণাকর এবং বেদনাদায়ক।

এই বইয়ের ৩,০০০ কপি ছাপা হয়েছে, কিন্তু মনে হচ্ছে এর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে তৈরী হওয়া এই ইউরোমেয়দান বিক্ষোভের ঘটনা বইয়ের আকারে ছাপা হওয়ার পর,তা পাঠ করে কয়েকজন পাঠক এই বিষয়ে তাদের অনুভূতি নিয়ে মন্তব্য করেছে- তবে এসব মন্তব্য এসেছে ফেসবুকে। ব্যবহারকারী ভিক্টোরিয়া আরবুজোভা পাওয়েল মনে করে এই বইটি অতি মূল্যবান, কারণ এটি যৌথভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।

Написанная не одним автором, а всеми. Всеми теми, кто делал историю. Написанная не после, а во время. […] Эту книгу можно разобрать на цитаты.

এই বইটি একজন নয়, সকলে মিলে লিখেছে। সকলে, যারা এক ইতিহাস রচনা করেছে। এটা ঘটনা পরবর্তী সময়ে নয়, ঘটনার সময়ে লেখা হয়েছে […], এই বইতে উদ্ধৃতির পর উদ্ধৃতি রয়েছে।

পাঠক সের্গেই গিনিদেত স্বীকার করেছেন কিছু পোস্ট পুনরায় পাঠ করার সাথে সাথে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন:

Отримав. Читаю ці сторінки і мурашки по шкірі. Нахлинули спогади тих подій.

আমি বইটি হাতে পেয়েছি। আমি এর পাতাগুলোয় চোখ বুলাচ্ছি, আর আমার গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে। পড়ছি, আর এই ঘটনার সময় তৈরী হওয়া স্মৃতির ভেতর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।

ফ্যান্টমপেইন#মেইদান সোশ্যাল মিডিয়া নামক সাগরের বাছাইকৃত সামান্য অংশ ধারণ করেছে, যা বুঝিয়ে দিচ্ছে যে ইউরোমেইদান এখন অতীত, কিন্তু সূক্ষ্ম এক শিল্পবস্তু হিসেবে এটা হয়ত আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে ওই সমস্ত ঘটনাবলী আসলে অনেক বেশী বাস্তব, এবং যে সমস্ত নাগরিক ওই সকল শব্দ এবং বাক্য তুলে ধরেছে, তারাও বাস্তব জগতের বাসিন্দা- আমাদের অনেকে ভুলে গেছে যে ইউক্রেনের বিক্ষোভ প্রচার মাধ্যমের আরেকটি কাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .