- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

লন্ডনের প্রিমিয়ার শো-তে প্রতিবাদকারীরা জানালো, সত্যিকারের ‘হাঙ্গার গেইম’ এখন থাইল্যান্ডে

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, থাইল্যান্ড, চলচ্চিত্র, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, নাগরিক মাধ্যম, প্রতিবাদ, বাক স্বাধীনতা, রাজনীতি
The #DistrictThai demonstration in London, via the District Thai Facebook page [1]

লন্ডনে #ডিস্ট্রিকথাই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি নেয়া হয়েছে ডিস্ট্রিক থাই ফেসবুক পেইজ থেকে।

গত ১০ নভেম্বর সোমবারের ঘটনা। লন্ডনের লিশেস্টার স্কোয়ারের অডিয়ন হলে চলছে “দ্য হাঙ্গার গেইমস: মকিংজে পার্ট ওয়ান” সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার শো। কিন্তু হলের বাইরের রাস্তার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। থাইল্যান্ডের একদল মানুষ জড়ো হয়েছেন সেখানে। তারা জানাচ্ছেন, সত্যিকারের ‘হাঙ্গার গেইম’ হচ্ছে থাইল্যান্ডে। কারণ, সেখানে গণতন্ত্র হুমকির মুখে, নেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চলছে সামরিক শাসন।

থাইল্যান্ডের অনেকের কাছে সিনেমাটির বেশ গুরুত্ব রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ডে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ইংলাক সিনাওয়াত্রা [2] সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধীতাকারীরা সিনেমায় দেখানো তিন আঙুলে অভিবাদন দেয়ার বিষয়টি রপ্ত [3] করেছেন। দেশের সামরিক জান্তার [4] বিরুদ্ধে এই অভিবাদন বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যদিও আরো অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে এটাকেও সামরিক জান্তা নিষিদ্ধ করেছেন। সাবেক ডেপুটি হাউস স্পিকার আপিওয়ান উইরিয়াচাইয়ের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে ইংলাক সিনাওয়াত্রা যখন আসেন তখন শত শত থাই নাগরিক তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এই অভিবাদন ব্যবহার করেন [5]

চলতি সপ্তাহে লন্ডনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচীর সময়ে অনেকেই মুখোশ পরেছিলেন। তারা ভয় পাচ্ছিলেন, তাদের পরিচয় সনাক্ত করে থাইল্যান্ডে তাদের যেসব আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব আছেন, তাদের উপর না সামরিক জান্তা প্রতিহিংসামূলক দমন-পীড়ন চালায়।

প্রতিবাদকারীরা তাদের কার্যক্রম সুসংগঠিতভাবে সম্পাদন করতে ফেসবুক পেজ [6] এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট [7] খুলেছেন। সেখানকার পোস্টসমূহে তারা ডিস্ট্রিকটথাই [8] হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন। “ডিস্ট্রিক” হচ্ছে ‘দ্য হাঙ্গার গেইম’ সিনেমার প্লটের একটি অংশ, যেখানে কেন্দ্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত স্বৈরাচারী একনায়কতান্ত্রিক সরকার ভিন্ন ভিন্ন ভৌগলিক এলাকায় (ডিস্ট্রিকট) তার শাসনকার্য চালায়। বেশিরভাগ ডিস্ট্রিকট-ই শোষণে নি:স্ব এবং”রাজধানী”র ক্রীতদাসে পরিণত।

আন্দোলনকারীরা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোর পোস্টগুলো থাই এবং ইংরেজি দু'ভাষাতেই দিচ্ছেন যাতে করে থাইল্যান্ড এবং বিশ্বব্যাপী সবার কাছেই তাদের বার্তা পৌঁছায়। তাদের ফেসবুক পেজ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সপ্তাহান্তের ছুটির সময়েই ১,০০০ এর বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী এটি লাইক দিয়েছেন। ডিস্ট্রিকট থাই পেজে প্রথম বার্তা [9] আসে নভেম্বরের ৭ তারিখ, শুক্রবারে:

districtthai message [9]

লন্ডনের অডিয়ন সিনেমা হলের একজন কর্মী ডিস্ট্রিকট থাই আন্দোলনকারীদের কর্মসূচী সঠিকভাবে হচ্ছে বলে টুইটারে মন্তব্য করেছেন:

ডিস্ট্রিকটথাই-রা এখন শহরে। তাদের দেখতে সুন্দর লাগছে। প্রচেষ্টার জন্য তারা'এ’ পাবে।