৪ নভেম্বর ২০১৪, বুধবার, মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে ইগুয়েলার প্রাক্তন মেয়র হোসে লুইস আব্রাকা এবং তার স্ত্রী মারিয়া দে লস এঞ্জেলেস পিনেদাকে কেন্দ্রীয় পুলিশ গ্রেফতার করে।
২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে গুয়েরারো এলাকার আয়োতজিনাপায় অবস্থিত রায়ুল ইসিদ্রো বার্গোস রুরাল স্কুলের ছাত্রদের উপর পুলিশ এবং অপরাধী গুণ্ডার দল যে হামলা চালায় তাতে সরকার এবং প্রচার মাধ্যম উভয়ে তাদের দোষী হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যে ঘটনায় ছয়জন নিহত, ২০ জন আহত এবং ৪৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।
আয়োতজিনাপার নিখোঁজ ৪৩ জন ছাত্রকে নিয়ে গ্লোবাল ভয়েসেস এক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আব্রাকা এবং পিনেদাকে তথাকথিত “রাজকীয় দম্পতি” বলে অভিহিত করা হয় এবং তারা পার্টি অফ দি ডেমোক্রেটিক রেভুলুশ্যন (পিআরডি)-এর সক্রিয় সদস্য, যে দলটি স্বয়ং দাবী করে তারা বাম মতাদর্শের দল। ছাত্রদের উধাও হবার এই ঘটনার আগে সোশ্যাল মিডিয়া পিনেদাকে #লেডিইগুয়ালা নামে অভিহিত করেছিল, তিনি এবং তাঁর স্বামীর আচরণ ছিল খামখেয়ালিপনায় ভরা এবং স্বৈরতান্ত্রিক। ইগুয়ালা নামক শহরটি আয়োতজিনাপা–এর কাছে অবস্থিত, উধাও হয়ে যাওয়া ছাত্ররা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত এটি সেই শহরে অবস্থিত।
এদিকে ৩৯ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও আয়োতজিনাপার অবৈধভাবে স্বাধীনতা হরণ করা এই সকল ছাত্রের এখন পর্যন্ত বিস্তারিত অজানাই রয়ে গেছে। মেক্সিকো কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে আর্জেন্টিনার একদল ফরেনসিক নৃতাত্ত্বিক-এর দল দেশের দক্ষিণে অবস্থিত গুয়েরারো প্রদেশের ইগুয়ালার আশেপাশে খুঁজে পাওয়া অনেক গণ কবর খুড়ে দেখছে। এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার কাহিনীর এই সংস্করণকে সমর্থন করেছে যে কবরস্থানগুলোয় পাওয়া মানুষের অবশিষ্ট অংশ নিখোঁজ ছাত্রদের নয়, কিন্তু সরকার এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে যে উক্ত কবরস্থানে শায়িত ডজন ডজন মৃতদেহ আসলে কাদের।
আব্রাকা এবং তাঁর স্ত্রীর গ্রেফতার হওয়া নিয়ে বেশ কয়েকজন টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছে। হোসে এ্যাডলাফো মুরাত বলছে:
Empieza la novela político policíaca. Lo que declaren #Abarca y su esposa permitirá profundizar en líneas de investigación por #Ayotzinapa
— José Adolfo Murat M. (@JAMurat) noviembre 4, 2014
আর শুরু হল রাজনৈতিক চালের গল্প। আব্রাকা এবং আর স্ত্রীর ঘোষণা আয়োতজিনাপার এই ঘটনা নিয়ে গবেষণাকে আরো জোরালো করবে।
আব্রাকার নামের শেষ অংশ নিয়ে মজা করে এবং স্প্যানিশ ভাষার এই প্রবাদ যত গর্জায় তত বর্ষায় না উল্লেখ করে মারুলিয় হেরেরা সেই সমস্ত ঘটনা স্মরণ করছেন যেখানে অভিযুক্তরা আদালতে খালাস পেয়েছে, যার মধ্যে ফ্লোরেন্স কাসেজও-এর ঘটনাও রয়েছে:
El que mucho aprieta poco Abarca…esperemos q integren bien el expediente y algún juez no los deje libres por algún tecnisismo #Ayotzinapa
— Marilú Herrera (@MariluHerrera) noviembre 4, 2014
যত গর্জায় তত বর্ষায় না … আশা করি তারা তাদের এই কাজ উত্তমরূপে সমন্বয় করবে এবং সে একই বিচারক কিছু কৌশলগত কারণে তাদের বিনা বিচারে ছেড়ে দেবে না।
অন্য ব্যবহারকারী যেমন হেরজগ স্মরণ করছেন যে কিছুদিন আগে উল্লেখ করা হয়েছিল যে আব্রাকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু পরবর্তীতে তা অস্বীকার করা হয়:
Ya quedó el montaje de #Iztapalapa? A #Abarca #Ayotzinapa #Iguala lo tenían desde hace 10 días! https://t.co/Iyy2XUxWK3 urge RT!
— @Jan_Herzog (@Jan_Herzog) noviembre 4, 2014
ইজাতাপালাপার ঘটনা সাজানো শেষ হয়েছে? দশদিন আগেও আব্রাকাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল!জরুরী ভিত্তিতে পুনরায় টুইট করুন!
এনাইদ ভিলানুয়েভা নিচের বার্তাটি তুলে ধরেছেন:
#PRD exige a PGR aplicar todo el peso de la ley contra los #Abarca pic.twitter.com/YCa8bdkSX6
— Anaid Villanueva (@AnaisVillanue) November 4, 2014
পিআরডি দাবী করছে যে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস আব্রাকার বিরুদ্ধে আইনের পূর্ণ প্রয়োগ করবে।
তাঁর নিজের লেখায় ডেমেইন কোকো উল্লেখ করছে যে এই “রাজকীয় দম্পতির” গ্রেফতার নিয়ে প্রচার মাধ্যমের উন্মাদনা এক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে আর তা হচ্ছে নিখোঁজ ৪৩ জন ছাত্রের জীবন্ত ফিরে আসা।
Detuvieron a #Abarca pero falta lo mas importante, la aparición de los 43 normalistas. Vivos se los llevaron, vivos los queremos.
— demian coco (@axkana_cv) November 4, 2014
তারা আব্রাকাকে গ্রেফতার করেছে, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ছাত্ররা এখনো নিখোঁজ, এই ৪৩ জন ছাত্রের ফিরে আসা জরুরী। তারা এই সকল ছাত্রকে জীবন্ত ধরে নিয়ে গেছে, আমরা তাদের জীবিত ফেরত চাই।;
অভিযুক্ত দোষীদের গ্রেফতারের পর, তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্তের ফলাফলের সমন্বয় সাধন করবে এবং বিচার বিভাগের কাছে পাঠাবে যাতে বিচার বিভাগ প্রাক্তন এই মেয়রের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।